ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আর নেই

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরে তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয় সরকারের। কিন্তু ওই বছরেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে দুর্নীতির।

এরপর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের দেয়া প্রতিবেদনে সেতুর ঠিকাদার নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বব্যাংক ৩০ জুন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে।

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলাও হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলে ৫ বছর। অবশেষে ২০১৭ সালে কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল তার কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আর নেই

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরে তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয় সরকারের। কিন্তু ওই বছরেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে দুর্নীতির।

এরপর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের দেয়া প্রতিবেদনে সেতুর ঠিকাদার নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বব্যাংক ৩০ জুন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে।

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলাও হয়। বিচার প্রক্রিয়া চলে ৫ বছর। অবশেষে ২০১৭ সালে কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল তার কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি।