খুলনায় আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ধোধন করেন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল তিনটা ২০ মিনিটের পর এসব প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। প্রকল্প উদ্বোধন শেষে জেলা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
ইতিমধ্যে সমাবেশস্থল লোকজনে কানায় কানায় ভরে গেছে। এর আশেপাশের এলাকাতেও জড়ো হয়েছেন মানুষ। এখনও মিছিলের স্রোত সমাবেশস্থলের দিকে ছুটছে।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্য পর্ব শুরু হয়। সমাবেশের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে সভাপতিত্ব করছেন। অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহাজাহান খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সার্কিট হাউস মাঠে জড়ো হন। এখনো বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের মিছিল আসছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
সরকারপ্রধানের আগমনকে ঘিরে গোটা খুলনা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মহাসমাবেশকে ঘিরে পুরো নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ।