খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘শুধু রমজান নয়, সারা বছরই চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’
আজ বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক অনুষ্ঠানে মিল মালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাসহ অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘একটি চাল কল লাইসেন্সের অনুকূলে একটি অফিস, নির্ধারিত গোডাউন এবং একটি ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
একটি অফিস দিয়ে একাধিক চাল কল পরিচালনা করা যাবে না।’তিনি আরো বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালের মূল্য নির্ধারণসহ চাল কল নীতিমালা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কুষ্টিয়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগর পরিদর্শনে যান। এ সময় সুবর্ণা অটোরাইস মিলের মালিক জিন্নাহ আলমের অন্য একটি মিলের গুদামে অবৈধভাবে ৪০০ টন ধান মজুদ দেখতে পান।
অভিযানে তা ধরা পড়ে। এ ছাড়াও একই মালিকানাধীন আটা মিলের গুদামে ১৫০ টন গমের মজুদ পাওয়া যায়। পরে মন্ত্রীর নির্দেশে মিল দুটি তাৎক্ষণিক সিলগালা করা হয়।মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে খাজানগর মোকামের অন্যতম মিনিকেট চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশ অ্যাগ্রো ফুড, সুর্বণা অ্যাগ্রো, স্বর্ণা অ্যাগ্রো ফুড, আল্লার দান অ্যাগ্রো এবং রশিদ অ্যাগ্রো ফুডে যান।
প্রায় প্রতিটি মিলেই কিছু না কিছু অসংগতি খুঁজে পান তিনি।এ সময় খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজাসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং চাল কল মালিক সংগঠনের নেতা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস