ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি হারানোর শঙ্কায় ৫৪ লাখ মানুষ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে সরকারি সংস্থা এটুআই এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপ্লবের ফলে দেশের অর্থনীতিতে আশঙ্কার পাশাপাশি তৈরি হতে পারে নতুন সম্ভাবনাও। সমস্যা মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নতুন কৌশলপত্র তৈরি প্রয়োজন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানা যায়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-উস-সাকিব।

এ প্রবন্ধে বলা হয়, এ বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ২৭ লাখ, ফার্নিচার খাতের প্রায় ১৪ লাখ, কৃষিপণ্য ও পর্যটন খাতের ৬ লাখ করে ১২ লাখ এবং চামড়া শিল্পের ১ লাখ-মোট ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে দেশের এসএমই খাত। এ অবস্থায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন কৌশলপত্র তৈরি হলে এসএমই খাতের পণ্য রপ্তানি, নতুন বিজনেস মডেল তৈরি এমনকি নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে এসএমই খাতে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরি হারানোর শঙ্কায় ৫৪ লাখ মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে সরকারি সংস্থা এটুআই এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপ্লবের ফলে দেশের অর্থনীতিতে আশঙ্কার পাশাপাশি তৈরি হতে পারে নতুন সম্ভাবনাও। সমস্যা মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নতুন কৌশলপত্র তৈরি প্রয়োজন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানা যায়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-উস-সাকিব।

এ প্রবন্ধে বলা হয়, এ বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ২৭ লাখ, ফার্নিচার খাতের প্রায় ১৪ লাখ, কৃষিপণ্য ও পর্যটন খাতের ৬ লাখ করে ১২ লাখ এবং চামড়া শিল্পের ১ লাখ-মোট ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে দেশের এসএমই খাত। এ অবস্থায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন কৌশলপত্র তৈরি হলে এসএমই খাতের পণ্য রপ্তানি, নতুন বিজনেস মডেল তৈরি এমনকি নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে এসএমই খাতে।