ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কার্যকারিতা ফেরানোর চেষ্টায় মুস্তাফিজ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তারপর ১৩ ওয়ানডেতে ১৮ উইকেট, দুই টেস্টে আট উইকেট, চার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এ বাঁহাতি পেসার। যদিও ম্যাচগুলো বিদেশের মাটিতে খেলেছেন তিনি। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচে সাত উইকেট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচে এক উইকেট নিয়েছেন এ তরুণ।
পারফরম্যান্স যাই হোক, অস্ত্রোপচারের পরের সময়টাতে বল হাতে আগের ছন্দে দেখা যায়নি আবির্ভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া জাগানো মুস্তাফিজকে। প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে থাকলেও বল হাতে কার্যকর ভূমিকায় দেখা যায়নি তাকে।
তবে নিজেকে ফিরে পেতে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে বোলিং নিয়ে কাজ করছেন মুস্তাফিজ। প্রতিদিনই বিসিবি একাডেমি মাঠে বল হাতে অনুশীলনে ব্যস্ত তিনি।
কোর্টনি ওয়ালশ থাকলেও এসময় বাঁহাতি এ পেসারের সঙ্গে কাজ করছেন বিসিবির বোলিং কোচ মাহবুব জাকি। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায় থেকে যিনি দেখে আসছেন মুস্তাফিজের বেড়ে উঠা। তার আশা, নিকট ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে ফিরে আসবেন বাংলাদেশের এ তরুণ বোলার। তিনি জানিয়েছেন, ক্যাম্পে মুস্তাফিজের শক্তির জায়গা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বোলিংয়ে কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। এবং গত কয়েকদিনে তার উন্নতিতে সন্তুষ্ট বিসিবির এই কোচ।
মুস্তাফিজ নিজেই নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পে ডেকে নিয়েছেন মাহবুব জাকিকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমরা আসলে বোলিং নিয়ে কাজ করছি। ওর বোলিংয়ে কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছি। কিছুটা টেকনিক্যাল পারফরম্যান্স ভিত্তিক। ওর শক্তির জায়গা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।’
বলার অপেক্ষা রাখে না, বল হাতে মুস্তাফিজের বড় শক্তির জায়গা কাটার ও স্লোয়ার। যা দিয়েই ব্যাটসম্যানদের সামনে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এ বাংলাদেশি তরুণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুস্তাফিজের বিচরণ প্রায় দুই বছর। তাই কাজের সময় তার চাওয়াও গুরুত্ব পাচ্ছে। মাহবুব জাকি বলেন, ‘ও যেভাবে চাইছে সেভাবে আমরা ওকে সাহায্য করছি। অনেকক্ষণ ওর সঙ্গে বসে বোলিংয়ের ভিডিও দেখছি। আলোচনা করছি। ও কি করতে চায়, ভবিষ্যতে কি দেখতে চায় তা জানতে চেয়েছি।’
মূলত বোলিংয়ে কার্যকর মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য। মাহবুব জাকি বলেন, ‘ওর বোলিংয়ের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যেন আগের চেয়ে আরো বেশি কার্যকর হয়। পুরোটাই পারফরম্যান্স ভিত্তিক কাজ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিজের বোলিং নিয়ে কিছুটা হতাশায় পড়েছিলেন মুস্তাফিজ। বোলিং নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে যা কেটে গেছে। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেই মুস্তাফিজ যোগাযোগ করেছেন বিসিবির বয়সভিত্তিক দলগুলোতে অনেক বছর ধরে কাজ করা মাহবুব জাকির সঙ্গে। তারপর থেকেই প্রিয় শিষ্যের বোলিং নিয়ে কাজ করছেন এই পেস বোলিং কোচ। আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজেই ২১ বছর বয়সী এ পেসারকে চেনা ছন্দে দেখা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
জানালেন, ‘হয়তো নতুনভাবে, আরো ভালোভাবে দেখতে পাবেন। হয়তো আরো বেশি মুগ্ধ হবেন যে, আরো ভালো অবস্থানে আসছে।’ বোলিংয়ে ধারাবাহিকভাবে একটা গতিতে কার্যকর বোলিং করার দিকেই মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে বেশি।
স্বরূপে ফিরতে মুস্তাফিজের উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। মাহবুব জাকি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। আজ (গতকাল) একটা বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। তিন দিন কাজ করলাম আমরা। আমি ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে এগুব। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। ও অনেক দ্রুত বিষয়গুলো ধরতে পেরেছে। শেখার ক্ষমতা অনেক। ধরতে পারছে খুব সহজে।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কার্যকারিতা ফেরানোর চেষ্টায় মুস্তাফিজ

আপডেট টাইম : ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর গত বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তারপর ১৩ ওয়ানডেতে ১৮ উইকেট, দুই টেস্টে আট উইকেট, চার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এ বাঁহাতি পেসার। যদিও ম্যাচগুলো বিদেশের মাটিতে খেলেছেন তিনি। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচে সাত উইকেট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ম্যাচে এক উইকেট নিয়েছেন এ তরুণ।
পারফরম্যান্স যাই হোক, অস্ত্রোপচারের পরের সময়টাতে বল হাতে আগের ছন্দে দেখা যায়নি আবির্ভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া জাগানো মুস্তাফিজকে। প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে থাকলেও বল হাতে কার্যকর ভূমিকায় দেখা যায়নি তাকে।
তবে নিজেকে ফিরে পেতে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে বোলিং নিয়ে কাজ করছেন মুস্তাফিজ। প্রতিদিনই বিসিবি একাডেমি মাঠে বল হাতে অনুশীলনে ব্যস্ত তিনি।
কোর্টনি ওয়ালশ থাকলেও এসময় বাঁহাতি এ পেসারের সঙ্গে কাজ করছেন বিসিবির বোলিং কোচ মাহবুব জাকি। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায় থেকে যিনি দেখে আসছেন মুস্তাফিজের বেড়ে উঠা। তার আশা, নিকট ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে ফিরে আসবেন বাংলাদেশের এ তরুণ বোলার। তিনি জানিয়েছেন, ক্যাম্পে মুস্তাফিজের শক্তির জায়গা নিয়ে কাজ হচ্ছে। বোলিংয়ে কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। এবং গত কয়েকদিনে তার উন্নতিতে সন্তুষ্ট বিসিবির এই কোচ।
মুস্তাফিজ নিজেই নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পে ডেকে নিয়েছেন মাহবুব জাকিকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমরা আসলে বোলিং নিয়ে কাজ করছি। ওর বোলিংয়ে কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছি। কিছুটা টেকনিক্যাল পারফরম্যান্স ভিত্তিক। ওর শক্তির জায়গা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।’
বলার অপেক্ষা রাখে না, বল হাতে মুস্তাফিজের বড় শক্তির জায়গা কাটার ও স্লোয়ার। যা দিয়েই ব্যাটসম্যানদের সামনে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এ বাংলাদেশি তরুণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুস্তাফিজের বিচরণ প্রায় দুই বছর। তাই কাজের সময় তার চাওয়াও গুরুত্ব পাচ্ছে। মাহবুব জাকি বলেন, ‘ও যেভাবে চাইছে সেভাবে আমরা ওকে সাহায্য করছি। অনেকক্ষণ ওর সঙ্গে বসে বোলিংয়ের ভিডিও দেখছি। আলোচনা করছি। ও কি করতে চায়, ভবিষ্যতে কি দেখতে চায় তা জানতে চেয়েছি।’
মূলত বোলিংয়ে কার্যকর মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য। মাহবুব জাকি বলেন, ‘ওর বোলিংয়ের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে হবে। যেন আগের চেয়ে আরো বেশি কার্যকর হয়। পুরোটাই পারফরম্যান্স ভিত্তিক কাজ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিজের বোলিং নিয়ে কিছুটা হতাশায় পড়েছিলেন মুস্তাফিজ। বোলিং নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে যা কেটে গেছে। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেই মুস্তাফিজ যোগাযোগ করেছেন বিসিবির বয়সভিত্তিক দলগুলোতে অনেক বছর ধরে কাজ করা মাহবুব জাকির সঙ্গে। তারপর থেকেই প্রিয় শিষ্যের বোলিং নিয়ে কাজ করছেন এই পেস বোলিং কোচ। আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজেই ২১ বছর বয়সী এ পেসারকে চেনা ছন্দে দেখা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
জানালেন, ‘হয়তো নতুনভাবে, আরো ভালোভাবে দেখতে পাবেন। হয়তো আরো বেশি মুগ্ধ হবেন যে, আরো ভালো অবস্থানে আসছে।’ বোলিংয়ে ধারাবাহিকভাবে একটা গতিতে কার্যকর বোলিং করার দিকেই মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে বেশি।
স্বরূপে ফিরতে মুস্তাফিজের উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। মাহবুব জাকি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। আজ (গতকাল) একটা বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। তিন দিন কাজ করলাম আমরা। আমি ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে এগুব। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। ও অনেক দ্রুত বিষয়গুলো ধরতে পেরেছে। শেখার ক্ষমতা অনেক। ধরতে পারছে খুব সহজে।