ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি পেল বসুন্ধরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ওই জমিতে ‘বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (বিআইইজেড)’ নামের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এককভাবে বিনিয়োগ করবে দেশের অন্যতম শীর্ষ এই শিল্পগ্রুপ।

বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে পাল্প ও বোর্ড মিল শিল্প গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৫ হাজারের বেশি নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তাদের আশা।

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে জমির ইজারাপত্রে সই করেন।

১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এককোটি মানুষের কর্মসংস্থান, ২০২১ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় ও ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করে বেজা।

এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান গ্রুপ, আব্দুল মোনেম গ্রুপ, বে- গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ ও মাইশা গ্রুপসহ এক ডজনের বেশি বেসরকারি শিল্প গ্রুপ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশ রকেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছেন। আমরা এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই।”

দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আরও সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর জায়গা রয়েছে। যারাই বিদেশে টাকা রেখেছেন- ন্যায্যভাবে, অন্যায্যভাবে, যেভাবেই হোক; সরকারের উচিত তাদেরকে ন্যূনতম পেনাল্টির মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়া।”

চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, বাংলাদেশি একটি কোম্পানি লাভ করলে আরও ৪০টি কোম্পানি গড়ে তুলবে। আর বিদেশিরা যা লাভ করবে তা সঙ্গে নিয়ে চলে যাবে। এজন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করতে হবে।

দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়নি বলে অভিযোগ করেন শীর্ষ এই বিনিয়োগকারী।

“আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন, অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে কাজও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়নি। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কথা অনেক দিন ধরে শুনছি, কিন্তু কার্যকারী হচ্ছে না।”

এক বছর আগে ঢাকার অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নিজস্ব ভূমিতে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক অনুমোদন পায় বসুন্ধরা গ্রুপ।

২২৪ একর জমির ওপর ‘বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ এবং ২১৮ একর জমির ওপর ‘ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ গড়ে তুলছে শিল্প গ্রুপটি।

অনুষ্ঠানের অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বাংলাদেশ সরকার সঠিক সময়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছে। আইনি কাঠামো এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছায় এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে প্রশাসনে এ জটিলতা থাকলেও এখন তা অনেকাংশে দূর হয়েছে।

“আমরা আইন প্রণয়নে হাত দিয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী বিধিও তৈরি করেছি। সেই বিধি অনুযায়ী কাজও শুরু হয়ে গেছে। কাজের স্থবিরতা দূর হওয়ার এটাও একটা প্রমাণ।”

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, “অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এতদূর এসেছি। শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়ে যে কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত কঠিন। কাজ করার মাধ্যমে আমরা সেই অভিজ্ঞতা পাচ্ছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি পেল বসুন্ধরা

আপডেট টাইম : ০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  ওই জমিতে ‘বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (বিআইইজেড)’ নামের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এককভাবে বিনিয়োগ করবে দেশের অন্যতম শীর্ষ এই শিল্পগ্রুপ।

বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে পাল্প ও বোর্ড মিল শিল্প গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৫ হাজারের বেশি নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তাদের আশা।

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে জমির ইজারাপত্রে সই করেন।

১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এককোটি মানুষের কর্মসংস্থান, ২০২১ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় ও ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করে বেজা।

এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান গ্রুপ, আব্দুল মোনেম গ্রুপ, বে- গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ ও মাইশা গ্রুপসহ এক ডজনের বেশি বেসরকারি শিল্প গ্রুপ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশ রকেট গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছেন। আমরা এই উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই।”

দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আরও সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর জায়গা রয়েছে। যারাই বিদেশে টাকা রেখেছেন- ন্যায্যভাবে, অন্যায্যভাবে, যেভাবেই হোক; সরকারের উচিত তাদেরকে ন্যূনতম পেনাল্টির মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়া।”

চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, বাংলাদেশি একটি কোম্পানি লাভ করলে আরও ৪০টি কোম্পানি গড়ে তুলবে। আর বিদেশিরা যা লাভ করবে তা সঙ্গে নিয়ে চলে যাবে। এজন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করতে হবে।

দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়নি বলে অভিযোগ করেন শীর্ষ এই বিনিয়োগকারী।

“আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন, অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে কাজও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হয়নি। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কথা অনেক দিন ধরে শুনছি, কিন্তু কার্যকারী হচ্ছে না।”

এক বছর আগে ঢাকার অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নিজস্ব ভূমিতে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক অনুমোদন পায় বসুন্ধরা গ্রুপ।

২২৪ একর জমির ওপর ‘বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ এবং ২১৮ একর জমির ওপর ‘ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ গড়ে তুলছে শিল্প গ্রুপটি।

অনুষ্ঠানের অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বাংলাদেশ সরকার সঠিক সময়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দিয়েছে। আইনি কাঠামো এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছায় এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে প্রশাসনে এ জটিলতা থাকলেও এখন তা অনেকাংশে দূর হয়েছে।

“আমরা আইন প্রণয়নে হাত দিয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী বিধিও তৈরি করেছি। সেই বিধি অনুযায়ী কাজও শুরু হয়ে গেছে। কাজের স্থবিরতা দূর হওয়ার এটাও একটা প্রমাণ।”

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, “অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এতদূর এসেছি। শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়ে যে কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত কঠিন। কাজ করার মাধ্যমে আমরা সেই অভিজ্ঞতা পাচ্ছি।