ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

এমপি-মন্ত্রীরা কত টাকার মালিক হয়েছেন, জানতে চান শেখ হাসিনা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলমান দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী এমপিরা বাদে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদের ৩০০ এমপির মধ্যে ২১৪ জন তথা ৬৯ শতাংশ এমপি ব্যবসায়ী। ৪৮ জন রয়েছেন আইনজীবী। আর রাজনীতিকে পেশা বলেছেন মাত্র ২২ জন। হাতেগোনা কয়েক এমপি ছাড়া বাকি সবাই কোটিপতি। শতশত কোটি টাকার মালিকও রয়েছেন অনেক। ব্যবসায়ী মোট ২১৪ জন এমপির মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই ১৭০ জন, জাতীয় পার্টির ২৪ জন, স্বতন্ত্র ১৪ জন এবং জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপি মিলিয়ে ৬ জন। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে এমপিদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানানো তথ্য পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপিদের আমলনামা দেখতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গোয়েন্দা সংস্থারগুলোর কাছ থেকে নিয়মিত প্রার্থী এবং এমপিদের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টের পাশাপাশি তারা কি পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন সেটিও জানিতে চান বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৫৪ সালে এমপিদের মধ্যে কোটিপতি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। এরপর সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ব্যবসায়ী, সম্পদশালী ও প্রভাবশালীদের ডেকে ডেকে এমপি করা হয়েছে। মাত্র ৬ বছরে ১৯৭৯ সালে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এরপর এ ধারা বাড়তেই থাকে। ১৯৯৬ সালে এসে কোটিপতি ব্যবসায়ী এমপির হার হয়েছে ৪৮ শতাংশ, পরে ২০০১ সালের সংসদে এ হার হয় ৫১ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে হয় ৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ও অতীতের ধারাবাহিকতায় মোট এমপির চারভাগের প্রায় তিনভাগই দখল করেছেন কোটিপতিরা। সদ্য নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের কোটিপতি এমপির সংখ্যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) একটি গবেষণা অনুসারে, দশম সংসদের ২২৬ জন অর্থাত্ ৬৫ শতাংশ এমপির কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯৪ জন এমপি অর্থাৎ ৭১ শতাংশই কোটিপতি। জাতীয় পার্টির ১৮ জন বা ৪৫ শতাংশ এমপির কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। জাসদের ৬ জন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এমপি কোটিপতি। তরিকত ফেডারেশনের দুই এমপির দু’জনই কোটিপতি। স্বতন্ত্র এমপিদের মধ্যে ৮ জন কোটিপতি। সম্পদের বাইরে আয়ের বিবেচনায় ৫৫ জন এমপির বার্ষিক আয় কোটি টাকার ওপরে বলে জানিয়েছিল সুজন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

এমপি-মন্ত্রীরা কত টাকার মালিক হয়েছেন, জানতে চান শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলমান দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী এমপিরা বাদে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদের ৩০০ এমপির মধ্যে ২১৪ জন তথা ৬৯ শতাংশ এমপি ব্যবসায়ী। ৪৮ জন রয়েছেন আইনজীবী। আর রাজনীতিকে পেশা বলেছেন মাত্র ২২ জন। হাতেগোনা কয়েক এমপি ছাড়া বাকি সবাই কোটিপতি। শতশত কোটি টাকার মালিকও রয়েছেন অনেক। ব্যবসায়ী মোট ২১৪ জন এমপির মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই ১৭০ জন, জাতীয় পার্টির ২৪ জন, স্বতন্ত্র ১৪ জন এবং জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপি মিলিয়ে ৬ জন। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে এমপিদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানানো তথ্য পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপিদের আমলনামা দেখতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গোয়েন্দা সংস্থারগুলোর কাছ থেকে নিয়মিত প্রার্থী এবং এমপিদের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টের পাশাপাশি তারা কি পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন সেটিও জানিতে চান বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৫৪ সালে এমপিদের মধ্যে কোটিপতি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। এরপর সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ব্যবসায়ী, সম্পদশালী ও প্রভাবশালীদের ডেকে ডেকে এমপি করা হয়েছে। মাত্র ৬ বছরে ১৯৭৯ সালে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এরপর এ ধারা বাড়তেই থাকে। ১৯৯৬ সালে এসে কোটিপতি ব্যবসায়ী এমপির হার হয়েছে ৪৮ শতাংশ, পরে ২০০১ সালের সংসদে এ হার হয় ৫১ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে হয় ৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ও অতীতের ধারাবাহিকতায় মোট এমপির চারভাগের প্রায় তিনভাগই দখল করেছেন কোটিপতিরা। সদ্য নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের কোটিপতি এমপির সংখ্যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) একটি গবেষণা অনুসারে, দশম সংসদের ২২৬ জন অর্থাত্ ৬৫ শতাংশ এমপির কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯৪ জন এমপি অর্থাৎ ৭১ শতাংশই কোটিপতি। জাতীয় পার্টির ১৮ জন বা ৪৫ শতাংশ এমপির কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। জাসদের ৬ জন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এমপি কোটিপতি। তরিকত ফেডারেশনের দুই এমপির দু’জনই কোটিপতি। স্বতন্ত্র এমপিদের মধ্যে ৮ জন কোটিপতি। সম্পদের বাইরে আয়ের বিবেচনায় ৫৫ জন এমপির বার্ষিক আয় কোটি টাকার ওপরে বলে জানিয়েছিল সুজন।