সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করবেন। এ জন্য শুক্রবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ করেছেন তারা। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ করবেন তারা।
তাদের ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে—সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এর পর থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রয়েছেন তাঁরা।
শুক্র ও শনিবার দুই দিন কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে ফের কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া।