পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজে শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি হলেও তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এসব পণ্য সরাসরি আমদানি হওয়ায় খরচ ও সময় সাশ্রয়ী হয়েছে। দেড় দশক পর পাকিস্তানি পণ্য আমদানি লাল-তালিকামুক্ত হওয়ায় ব্যাপক হারে বাড়ছে আমদানি। এ ঘটনা নিয়ে চলমান বিতর্ক ব্যবসায়িক ফন্দি থেকে করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পন্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ। বন্দরে ৩২৮টি কন্টেইনার নামিয়ে ইন্দোনেশিয়া চলে যায় জাহাজটি। এর পরপরই শুরু হয় এ জাহাজে কি পণ্য ছিল তা নিয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, জাহাজটির কনটেইনারে ছিল ৬ হাজার ৩৩৭ টন শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসবের মধ্যে রয়েছে-সোডিয়াম কার্বনেট,ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট। ছিল শুকনো খেজুর, আলু আর পেঁয়াজের মত নিত্যপণ্যও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই জাহাজ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পন্য রপ্তানি করেছে। আমদানিতে সময় কমায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে, বললেন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, পাকিস্তান থেকে ৫২ মেট্রিক টন খেজুর এনেছে খাতুনগঞ্জের ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। আমদানির নতুন দুয়ার খোলার ফলে বাড়বে ব্যবসা, আশা তার ও শিপিং ব্যবসায়ীদের।
পাকিস্তান ছাড়াও দুবাইয়ের জেবেল আলী বন্দর থেকে থেকেও একই সময় এসেছে ৬৪টি কনটেইনার।