ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউটিউবে শাবনূরের রেকর্ড গড়া ‘সেঞ্চুরি

ক্যারিয়ারে তিন দশক পূর্ণ করেছেন গত বছর। যদিও গত এক দশক অভিনয়ে অনিয়মিত শাবনূর। তবু ভক্তদের ভালোবাসা কমেনি এতটুকু। এই অভিনেত্রীর ঠোঁটে জনপ্রিয় হয়েছে বহু গান।

তেমনই ১০০ গান ইউটিউবে পেয়েছে কোটি ভিউয়ের তকমা।এহতেশামের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনূর। ‘চাঁদনি রাতে’ হিট না করলেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। অকালপ্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন ‘তোমাকে চাই’ অভিনেত্রী।

একসঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সালমান-শাবনূর। সেসব ছবির বেশির ভাগ গানই জনপ্রিয়। পরে রিয়াজ, ফেরদৌস, মান্না, শাকিব খানসহ অনেকের সঙ্গেই জুটি বাঁধেন শাবনূর। তাঁদের সঙ্গেও শাবনূরের হিট ছবি রয়েছে, রয়েছে হিট গানও।
ইউটিউবের যুগে এসেও আবেদন কমেনি গানগুলোর।হিসাব করে দেখা গেছে, শাবনূরের ঠোঁটে ১০০টিরও বেশি গান ইউটিউবে পেয়েছে কোটির ওপরে ভিউ। ২০টি গানই রয়েছে পাঁচ কোটি ভিউয়ের ঘরে। এফ আই মানিকের ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ছবির ‘বধূ বেশে কন্যা যখন এলোরে’ শাবনূর অভিনীত সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া গান—১৮ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মমতাজ ও রথীন্দ্রনাথ রায়ের গাওয়া গানটি ২০১৮ সালে অনুপম মুভিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।

দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ ছবির ‘বিধি তুমি বলে দাও আমি কার’— ৯ কোটি ৬৫ লাখের বেশি ভিউ। এন্ড্রু কিশোর, কনকচাঁপা ও বিপ্লবের গাওয়া গানটিও অনুপম ইউটিউবে আপলোড করেছিল ২০১৮ সালে। গ্রাম বাংলার যাত্রা পালায় এখনো পারফরম করতে দেখা যায় এ গানটি। একই ছবির ‘দুধে আলতা বদন তোমার’ ও ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’ গান দুটিও যথাক্রমে সাত কোটি ২২ লাখ ও ছয় কোটি ৯৭ লাখ ভিউ পেয়েছে। ‘ভুলনা আমায়’ ছবির ‘একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাকো’ গানটি অনুপমের চ্যানেলে ভিউ পেয়েছে সাত কোটি ৭৪ লাখের বেশি বার। একই গান এসবি নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিউ পেয়েছে ৪৫ লাখের বেশি। জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটির ভিউ ৩৮ লাখ।

সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির গান ‘তুমি আমার এমনই একজন’ দেখা হয়েছে আট কোটি ৪৯ লাখের বেশিবার। এই জুটির ‘তোমাকে চাই’ ছবির টাইটেল গান দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৯৭ লাখের বেশিবার। গত সপ্তাহে গানটি নতুন সংগীতায়োজনে রাজীব ও ঝিলিকের কণ্ঠে প্রকাশ করেছে অনুপম। সেখানেও লাখের ওপর ভিউ।

‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ ছবির ‘তুমি হবে বউগো আমি হবো শালি’ ভিউ পেয়েছে ছয় কোটি ৬৫ লাখের বেশি। অনুপমের বাইরে একই গান মিম নামের চ্যানেলে দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশিবার। সালমান শাহ ও শাবনূরের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ [১৯৯৫] ছিল ব্লকবাস্টার। ছবির ‘ও সাথিরে যেয়ো না কখনো দূরে’ অনুপমের ইউটিউবে দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৫০ লাখের বেশিবার। এই গান আরো বেশ কয়েকটি চ্যানেলেও রয়েছে। সব মিলে গানটির ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি। মান্নার সঙ্গে শাবনূরের ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবির ‘ভালোবাসতে গিয়ে আমি দুঃখই পেলাম’ দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৪২ লাখের বেশিবার।

শাকিব খানের সঙ্গে শাবনূরের ‘গোলাম’ ছবির ‘দুটি মন লেগে গেছে জোড়া’ দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৪১ লাখেরও বেশিবার। মাত্র তিন বছর আগে গানটি ইউটিউবে আপলোড করেছিল অনুপম। ওমর সানীর সঙ্গে জুটি বেঁধে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবনূর। তার মধ্যে ‘কে অপরাধী’ ছবির ‘কত ভালোবাসী কী যে ভালোবাসি’ দেখা হয়েছে ছয় কোটিরও বেশিবার, একই ছবির আরেক গান ‘কী ছিলে আমার’ ১১ কোটি ৬০ লাখের ঘর পেরিয়েছে। ফেরদৌসের সঙ্গে শাবনূরের সুপারহিট ছবি ‘প্রেমের জ্বালা’। এই ছবির ‘সাগরের মতোই গভীর’ অনুপমের চ্যানেলে দেখা হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখেরও বেশিবার। এ ছাড়া গোল্ডেন টাইম সং ও টিএফকে ফিল্মের ইউটিউব চ্যানেলেও গানটি পেয়েছে লাখ ভিউ।

এ ছাড়া ‘হৃদয় শুধু তোমার জন্য’ ছবির ‘ভালোবাসা ছাড়া জানি বাঁচে না হৃদয়’, ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ ছবির ‘পাখিরে ও পাখিরে’, ‘নাচনেওয়ালী’ ছবির ‘ছুঁইয়ো না ছুঁইয়ো না’ গানগুলোর প্রতিটিই পাঁচ কোটির বেশিবার দেখেছেন দর্শক। ‘খেয়া ঘাটের মাঝি’ ছবির ‘কোন কাননের ফুল গো তুমি’ ও ‘স্বপ্নের বাসর’ ছবির ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’ গান দুুটিও পাঁচ কোটি ভিউয়ের দ্বারপ্রান্তে। প্রথমটি দেখা হয়েছে চার কোটি ৯০ লাখ, দ্বিতীয়টি চার কোটি ৭৩ লাখ।

এই অভিনেত্রীর ঠোঁট মেলানো ১০০টিরও বেশি গান ইউটিউবে কোটি ভিউয়ের তকমা পেয়েছে, এই দাবি করেছেন অনুপম মুভিজের সিইও মহসীন মেহেদী। বাংলাদেশের আর কোনো অভিনেত্রীর এত গান ইউটিউবে কোটি ভিউ হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

মহসীন মেহেদী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের গোল্ডেন পিরিয়ডের অভিনেত্রী শাবনূর। নব্বইয়ের দশকে প্রতি সপ্তাহে ছবি মুক্তি পেত। হলে যাওয়ার রীতি ছিল তখন। সে সময় নির্মাতারা গানের প্রতি আলাদা নজর দিতেন। দারুণ সব গানও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, তখনকার দর্শকই গানগুলো নতুন করে আবার শুনছেন। হয়তো তারা এখন কেউ প্রবাসী কেউ বা চাকরিজীবী। গানগুলোর সঙ্গে তাঁদের নস্টালজিয়া আছে। সে কারণেই বারবার দেখেন। শাবনূর এখন হয়তো নিয়মিত অভিনয় করেন না। তবু তার অডিয়েন্স কিন্তু কমেনি। আমাদের দেশে শাবানার পরেই কিন্তু শাবনূর বড় নারী তারকা। এখনো তাঁকে নিয়ে চর্চা হয়। সে কারণেও গানগুলো ভিউ পাচ্ছে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ইউটিউবে শাবনূরের রেকর্ড গড়া ‘সেঞ্চুরি

আপডেট টাইম : ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
ক্যারিয়ারে তিন দশক পূর্ণ করেছেন গত বছর। যদিও গত এক দশক অভিনয়ে অনিয়মিত শাবনূর। তবু ভক্তদের ভালোবাসা কমেনি এতটুকু। এই অভিনেত্রীর ঠোঁটে জনপ্রিয় হয়েছে বহু গান।

তেমনই ১০০ গান ইউটিউবে পেয়েছে কোটি ভিউয়ের তকমা।এহতেশামের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাবনূর। ‘চাঁদনি রাতে’ হিট না করলেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। অকালপ্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন ‘তোমাকে চাই’ অভিনেত্রী।

একসঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সালমান-শাবনূর। সেসব ছবির বেশির ভাগ গানই জনপ্রিয়। পরে রিয়াজ, ফেরদৌস, মান্না, শাকিব খানসহ অনেকের সঙ্গেই জুটি বাঁধেন শাবনূর। তাঁদের সঙ্গেও শাবনূরের হিট ছবি রয়েছে, রয়েছে হিট গানও।
ইউটিউবের যুগে এসেও আবেদন কমেনি গানগুলোর।হিসাব করে দেখা গেছে, শাবনূরের ঠোঁটে ১০০টিরও বেশি গান ইউটিউবে পেয়েছে কোটির ওপরে ভিউ। ২০টি গানই রয়েছে পাঁচ কোটি ভিউয়ের ঘরে। এফ আই মানিকের ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ছবির ‘বধূ বেশে কন্যা যখন এলোরে’ শাবনূর অভিনীত সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া গান—১৮ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মমতাজ ও রথীন্দ্রনাথ রায়ের গাওয়া গানটি ২০১৮ সালে অনুপম মুভিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।

দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ ছবির ‘বিধি তুমি বলে দাও আমি কার’— ৯ কোটি ৬৫ লাখের বেশি ভিউ। এন্ড্রু কিশোর, কনকচাঁপা ও বিপ্লবের গাওয়া গানটিও অনুপম ইউটিউবে আপলোড করেছিল ২০১৮ সালে। গ্রাম বাংলার যাত্রা পালায় এখনো পারফরম করতে দেখা যায় এ গানটি। একই ছবির ‘দুধে আলতা বদন তোমার’ ও ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’ গান দুটিও যথাক্রমে সাত কোটি ২২ লাখ ও ছয় কোটি ৯৭ লাখ ভিউ পেয়েছে। ‘ভুলনা আমায়’ ছবির ‘একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাকো’ গানটি অনুপমের চ্যানেলে ভিউ পেয়েছে সাত কোটি ৭৪ লাখের বেশি বার। একই গান এসবি নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিউ পেয়েছে ৪৫ লাখের বেশি। জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটির ভিউ ৩৮ লাখ।

সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির গান ‘তুমি আমার এমনই একজন’ দেখা হয়েছে আট কোটি ৪৯ লাখের বেশিবার। এই জুটির ‘তোমাকে চাই’ ছবির টাইটেল গান দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৯৭ লাখের বেশিবার। গত সপ্তাহে গানটি নতুন সংগীতায়োজনে রাজীব ও ঝিলিকের কণ্ঠে প্রকাশ করেছে অনুপম। সেখানেও লাখের ওপর ভিউ।

‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ ছবির ‘তুমি হবে বউগো আমি হবো শালি’ ভিউ পেয়েছে ছয় কোটি ৬৫ লাখের বেশি। অনুপমের বাইরে একই গান মিম নামের চ্যানেলে দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশিবার। সালমান শাহ ও শাবনূরের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ [১৯৯৫] ছিল ব্লকবাস্টার। ছবির ‘ও সাথিরে যেয়ো না কখনো দূরে’ অনুপমের ইউটিউবে দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৫০ লাখের বেশিবার। এই গান আরো বেশ কয়েকটি চ্যানেলেও রয়েছে। সব মিলে গানটির ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি। মান্নার সঙ্গে শাবনূরের ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবির ‘ভালোবাসতে গিয়ে আমি দুঃখই পেলাম’ দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৪২ লাখের বেশিবার।

শাকিব খানের সঙ্গে শাবনূরের ‘গোলাম’ ছবির ‘দুটি মন লেগে গেছে জোড়া’ দেখা হয়েছে ছয় কোটি ৪১ লাখেরও বেশিবার। মাত্র তিন বছর আগে গানটি ইউটিউবে আপলোড করেছিল অনুপম। ওমর সানীর সঙ্গে জুটি বেঁধে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবনূর। তার মধ্যে ‘কে অপরাধী’ ছবির ‘কত ভালোবাসী কী যে ভালোবাসি’ দেখা হয়েছে ছয় কোটিরও বেশিবার, একই ছবির আরেক গান ‘কী ছিলে আমার’ ১১ কোটি ৬০ লাখের ঘর পেরিয়েছে। ফেরদৌসের সঙ্গে শাবনূরের সুপারহিট ছবি ‘প্রেমের জ্বালা’। এই ছবির ‘সাগরের মতোই গভীর’ অনুপমের চ্যানেলে দেখা হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখেরও বেশিবার। এ ছাড়া গোল্ডেন টাইম সং ও টিএফকে ফিল্মের ইউটিউব চ্যানেলেও গানটি পেয়েছে লাখ ভিউ।

এ ছাড়া ‘হৃদয় শুধু তোমার জন্য’ ছবির ‘ভালোবাসা ছাড়া জানি বাঁচে না হৃদয়’, ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’ ছবির ‘পাখিরে ও পাখিরে’, ‘নাচনেওয়ালী’ ছবির ‘ছুঁইয়ো না ছুঁইয়ো না’ গানগুলোর প্রতিটিই পাঁচ কোটির বেশিবার দেখেছেন দর্শক। ‘খেয়া ঘাটের মাঝি’ ছবির ‘কোন কাননের ফুল গো তুমি’ ও ‘স্বপ্নের বাসর’ ছবির ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’ গান দুুটিও পাঁচ কোটি ভিউয়ের দ্বারপ্রান্তে। প্রথমটি দেখা হয়েছে চার কোটি ৯০ লাখ, দ্বিতীয়টি চার কোটি ৭৩ লাখ।

এই অভিনেত্রীর ঠোঁট মেলানো ১০০টিরও বেশি গান ইউটিউবে কোটি ভিউয়ের তকমা পেয়েছে, এই দাবি করেছেন অনুপম মুভিজের সিইও মহসীন মেহেদী। বাংলাদেশের আর কোনো অভিনেত্রীর এত গান ইউটিউবে কোটি ভিউ হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

মহসীন মেহেদী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের গোল্ডেন পিরিয়ডের অভিনেত্রী শাবনূর। নব্বইয়ের দশকে প্রতি সপ্তাহে ছবি মুক্তি পেত। হলে যাওয়ার রীতি ছিল তখন। সে সময় নির্মাতারা গানের প্রতি আলাদা নজর দিতেন। দারুণ সব গানও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, তখনকার দর্শকই গানগুলো নতুন করে আবার শুনছেন। হয়তো তারা এখন কেউ প্রবাসী কেউ বা চাকরিজীবী। গানগুলোর সঙ্গে তাঁদের নস্টালজিয়া আছে। সে কারণেই বারবার দেখেন। শাবনূর এখন হয়তো নিয়মিত অভিনয় করেন না। তবু তার অডিয়েন্স কিন্তু কমেনি। আমাদের দেশে শাবানার পরেই কিন্তু শাবনূর বড় নারী তারকা। এখনো তাঁকে নিয়ে চর্চা হয়। সে কারণেও গানগুলো ভিউ পাচ্ছে।’