ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কার সঙ্গে বিয়ে হবে এটি কি নির্ধারিত

ইসলাম,মুনকার নাকির,rtvonline,

প্রশ্ন: কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে এটা কি পূর্ব থেকে নির্ধারিত? এই সম্পর্কে সহিহ হাদিস কি বলে? যে যেমন সে সেরকম কাউকেই জীবনসঙ্গী পাবে । কথাটির সত্যতা কতটুকু?

উত্তর: জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে। তাকদিরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাকদিরে যার সঙ্গে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে, তার সঙ্গেই বিয়ে হবে।

হ্যাঁ, তাকদিরে যা লিখা রয়েছে, তা দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

শত চেষ্টা করলেও কাউকে বিয়ে করা যাবে না, যদি না তাকদিরে লেখা থাকে বা আল্লাহর হুকুম হয়। তাকদির আল্লাহ লিখে রেখেছেন। এবং পরবর্তীতে আল্লাহ তাকদিরকে পরিবর্তনও করে দিতে পারেন।

তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভালো পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে। এটি তাকদিরের বিষয়।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাসূল সা. নিষেধ করেছেন।

হজরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হজরত আয়েশা রা. এর কাছে গেলেন। তখন তিনি তাকদির বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হজরত আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলকে সা. বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদির বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।  (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৮৪)

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কার সঙ্গে বিয়ে হবে এটি কি নির্ধারিত

আপডেট টাইম : ১৩ ঘন্টা আগে

প্রশ্ন: কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে এটা কি পূর্ব থেকে নির্ধারিত? এই সম্পর্কে সহিহ হাদিস কি বলে? যে যেমন সে সেরকম কাউকেই জীবনসঙ্গী পাবে । কথাটির সত্যতা কতটুকু?

উত্তর: জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে। তাকদিরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাকদিরে যার সঙ্গে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে, তার সঙ্গেই বিয়ে হবে।

হ্যাঁ, তাকদিরে যা লিখা রয়েছে, তা দোয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

শত চেষ্টা করলেও কাউকে বিয়ে করা যাবে না, যদি না তাকদিরে লেখা থাকে বা আল্লাহর হুকুম হয়। তাকদির আল্লাহ লিখে রেখেছেন। এবং পরবর্তীতে আল্লাহ তাকদিরকে পরিবর্তনও করে দিতে পারেন।

তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভালো পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে। এটি তাকদিরের বিষয়।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাসূল সা. নিষেধ করেছেন।

হজরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হজরত আয়েশা রা. এর কাছে গেলেন। তখন তিনি তাকদির বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হজরত আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলকে সা. বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদির বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।  (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৮৪)