ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবিক তারেক রহমানের প্রশংসায় নেটিজেনরা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ষড়যন্ত্র ও সমালোচনার শিকার হয়েও থেমে যাননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে, সংকট ও শোককে সামাল দিয়েও এগিয়ে চলেছেন তিনি।

সংকটকালে রাজনৈতিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম দিয়েও সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তারেক রহমান। যদিও তিনি সেবামূলক কাজকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন না, তবুও অসংখ্য অসহায়, বৃদ্ধ, এতিম, ও পঙ্গু ব্যক্তির সহায়তায় নিয়োজিত আছেন।

বিএনপির নেতৃত্ব সামাল দিয়ে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ নয়। তবুও তারেক রহমান এই দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। সঙ্গত কারণেই মানবিক তারেক রহমানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।

সর্বশেষ ১ নভেম্বর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার মিরপুর, সাভার ও উত্তরায় গুলিতে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরআগেও কয়েক দফা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। সম্প্রতি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও দাঁড়ান তিনি।

তারেক রহমানের এসব মানবিক কর্মকাণ্ড, দৃঢ় নেতৃত্ব ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকার তাকে দেশের অন্যতম প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদে পরিণত করেছে।

জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোপনে, নীরবে তিনি এসব মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। যারা সাহায্য বা সহযোগিতা পাচ্ছে তারাও জানতে পারেন না এটি তারেক রহমান করছেন। সাহায্যপ্রাপ্তরা সাধারণত জানেন, এ সহযোগিতা বিএনপি দিয়েছে।

তারেক রহমান মূলত ২০০৫ সাল থেকে আর্তমানবতার সেবায় জড়িত। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, অসহায়দের সহায়তা, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা—এমন বহু কাজ তিনি নীরবে করে চলেছেন। তার তত্ত্বাবধানে বহু অসহায় পরিবার নতুন জীবন পেয়েছে, যা তার মানবিক ব্যক্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে।

বগুড়ার গাবতলী থানায় লাঠিগঞ্জের তিন মাথার মোড়ে এতিমদের জন্য একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এ মাদ্রাসায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি নেই বা আংশিক আছে। এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকও অন্ধ। তার উদ্যোগেই এ মাদ্রাসা করা হয়।বগুড়ার এ এতিমখানার মতো সারা দেশে আরও ৫টি এতিমখানার দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। সারা দেশে ১৪৪টি পরিবারকে প্রতি মাসে ভাতা দিচ্ছেন তিনি।

ফেসবুকে তারেক খান নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, আন্দোলন থেকে শুরু করে আন্দোলন পরবর্তী চিকিৎসা, বিভিন্ন শহীদের পরিবারকে সাহায্য সব জায়গায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন তারেক রহমান। সত্যি বলতে আগে তার সম্পর্কে জানতাম না, যা জানতাম তা আওয়ামীরা যতটা বলতো সেটাই। ইদানীং তার বক্তব্য গুলো শুনতেছি। মনে হচ্ছে উনি দেশকে ভালো কিছু দিতে পারবেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কি আসবেনা তা জনগণ বিচার করবে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হচ্ছে তারেক রহমান দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে যাচ্ছেন। যদি কথা এবং কাজের সাথে মিল থাকে তাহলে আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর ও বৈষম্যহীন হবে।

প্রিন্স শাহিন নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ বিএনপির কর্মী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। আপনি একটু নিজে চিন্তা করে দেখেন যেই লিডার মানুষের পাশে থাকার জন্য আহ্বান করতেছে নেতাকর্মীদেরকে এমন লিডার পেয়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক গর্ববোধ করি।

তারেক রহমানের মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসায় মুক্ত লিখেছেন, আপনার প্রতিক্ষায় দেশের ১৬ কোটি বাঙালি। বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের উপর দিয়ে বিগত স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া দুর্বিষহ জীবন থেকে মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার মাধ্যমে মুক্ত করবে চলমান পরিস্থিতি থেকে।মহান সৃষ্টিকর্তা দেশের সকল মানুষকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করুন_ আমীন।

তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে মনির হোসাইন পাটোয়ারী লিখেছেন, আপনি সফল হন মহান আল্লাহ আপনাকে সুস্থাতা ও নেক হায়াত দান করুক, আল্লাহুম্মা আমীন। দেশের দুর্যোগ সংগ্রাম সমরে সব সময়ই শহীদ জিয়ার মতো জনতার পাশে ছিলেন।আপনি বাংলার কোটি প্রাণের স্পন্দন। আপনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ/মোরা গড়বো স্বনির্ভর বাংলাদেশ/আপনার নেতৃত্বেই সম্ভব বাংলাদেশের উন্নয়ন, উৎপাদন, রাষ্ট্র সংস্কার, মেরামত। আমরা ঠিক চিনেছি আপনিই জিয়া।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মানবিক তারেক রহমানের প্রশংসায় নেটিজেনরা

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ষড়যন্ত্র ও সমালোচনার শিকার হয়েও থেমে যাননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে, সংকট ও শোককে সামাল দিয়েও এগিয়ে চলেছেন তিনি।

সংকটকালে রাজনৈতিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম দিয়েও সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তারেক রহমান। যদিও তিনি সেবামূলক কাজকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন না, তবুও অসংখ্য অসহায়, বৃদ্ধ, এতিম, ও পঙ্গু ব্যক্তির সহায়তায় নিয়োজিত আছেন।

বিএনপির নেতৃত্ব সামাল দিয়ে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ নয়। তবুও তারেক রহমান এই দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করে চলেছেন। সঙ্গত কারণেই মানবিক তারেক রহমানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।

সর্বশেষ ১ নভেম্বর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানী ঢাকার মিরপুর, সাভার ও উত্তরায় গুলিতে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরআগেও কয়েক দফা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের চিকিৎসা খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। সম্প্রতি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও দাঁড়ান তিনি।

তারেক রহমানের এসব মানবিক কর্মকাণ্ড, দৃঢ় নেতৃত্ব ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকার তাকে দেশের অন্যতম প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদে পরিণত করেছে।

জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোপনে, নীরবে তিনি এসব মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। যারা সাহায্য বা সহযোগিতা পাচ্ছে তারাও জানতে পারেন না এটি তারেক রহমান করছেন। সাহায্যপ্রাপ্তরা সাধারণত জানেন, এ সহযোগিতা বিএনপি দিয়েছে।

তারেক রহমান মূলত ২০০৫ সাল থেকে আর্তমানবতার সেবায় জড়িত। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, অসহায়দের সহায়তা, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা—এমন বহু কাজ তিনি নীরবে করে চলেছেন। তার তত্ত্বাবধানে বহু অসহায় পরিবার নতুন জীবন পেয়েছে, যা তার মানবিক ব্যক্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে।

বগুড়ার গাবতলী থানায় লাঠিগঞ্জের তিন মাথার মোড়ে এতিমদের জন্য একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এ মাদ্রাসায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি নেই বা আংশিক আছে। এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকও অন্ধ। তার উদ্যোগেই এ মাদ্রাসা করা হয়।বগুড়ার এ এতিমখানার মতো সারা দেশে আরও ৫টি এতিমখানার দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। সারা দেশে ১৪৪টি পরিবারকে প্রতি মাসে ভাতা দিচ্ছেন তিনি।

ফেসবুকে তারেক খান নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, আন্দোলন থেকে শুরু করে আন্দোলন পরবর্তী চিকিৎসা, বিভিন্ন শহীদের পরিবারকে সাহায্য সব জায়গায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন তারেক রহমান। সত্যি বলতে আগে তার সম্পর্কে জানতাম না, যা জানতাম তা আওয়ামীরা যতটা বলতো সেটাই। ইদানীং তার বক্তব্য গুলো শুনতেছি। মনে হচ্ছে উনি দেশকে ভালো কিছু দিতে পারবেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কি আসবেনা তা জনগণ বিচার করবে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হচ্ছে তারেক রহমান দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে যাচ্ছেন। যদি কথা এবং কাজের সাথে মিল থাকে তাহলে আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর ও বৈষম্যহীন হবে।

প্রিন্স শাহিন নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ বিএনপির কর্মী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। আপনি একটু নিজে চিন্তা করে দেখেন যেই লিডার মানুষের পাশে থাকার জন্য আহ্বান করতেছে নেতাকর্মীদেরকে এমন লিডার পেয়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক গর্ববোধ করি।

তারেক রহমানের মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসায় মুক্ত লিখেছেন, আপনার প্রতিক্ষায় দেশের ১৬ কোটি বাঙালি। বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের উপর দিয়ে বিগত স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া দুর্বিষহ জীবন থেকে মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার মাধ্যমে মুক্ত করবে চলমান পরিস্থিতি থেকে।মহান সৃষ্টিকর্তা দেশের সকল মানুষকে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করুন_ আমীন।

তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে মনির হোসাইন পাটোয়ারী লিখেছেন, আপনি সফল হন মহান আল্লাহ আপনাকে সুস্থাতা ও নেক হায়াত দান করুক, আল্লাহুম্মা আমীন। দেশের দুর্যোগ সংগ্রাম সমরে সব সময়ই শহীদ জিয়ার মতো জনতার পাশে ছিলেন।আপনি বাংলার কোটি প্রাণের স্পন্দন। আপনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ/মোরা গড়বো স্বনির্ভর বাংলাদেশ/আপনার নেতৃত্বেই সম্ভব বাংলাদেশের উন্নয়ন, উৎপাদন, রাষ্ট্র সংস্কার, মেরামত। আমরা ঠিক চিনেছি আপনিই জিয়া।