ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? যা বললেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

সড়ক সাজাতে গিয়ে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা বিল বাকি রাসিকের

সড়কবাতি দিয়ে শহরকে আলোকিত করতে গিয়ে বিপাকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। মাত্র ২৩ কিলোমিটার পথ আলোকিত করতে গিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিলের দেনা। সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি বলে রাজশাহী সিটি করপোরেশকে অবহিত করেছে নেসকো কর্তৃপক্ষ।

রাজনৈতিক সমঝতার জন্য এতদিন চুপ ছিল বলে জানিয়েছে নেসকো। আর সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এ ধরনের রাজনৈতিক প্রকল্প শুধু সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়, এটা অপচয়। এর দায়ভার বহন করতে হবে জনসাধারণকে।

তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমানো হচ্ছে সড়কে আলোক বাতির সংখ্যা।

‘গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি’ কিংবা ‘শিক্ষানগরী’ এসব কিছুকে ছাপিয়ে এক সময় দেশব্যাপী রাজশাহী আলোচনায় আসে নান্দনিক এসব সড়কবাতির জন্য। নগর অবকাঠামোর জন্য বরাদ্দকৃত তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১০৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে নান্দনিক সড়ক বাতিগুলো স্থাপন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রাতের আঁধারকে যেন হার মানায় চীন, ইতালি থেকে নিয়ে আসা এসব সড়কবাতি। আলোর ঝলকানিতে শহর সাজাতে ২৩ কিলোমিটার পথ জুড়ে বসানো হয় আধুনিক এসব সড়কবাতি। আর এতেই করপোরেশনের কাঁধে চাপে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল। তবে এরইমধ্যে সড়কের বাতি কমিয়ে ফেলেছে সিটি করপোরেশন। একটির পর একটি বাতি জ্বালাচ্ছে তারা।

ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বাণিজ্যিক পরিচালন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা তাদের একটি চিঠি দিয়েছি। তাদের মোট বকেয়া সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি। আমরা তাদের পরিশোধের জন্য জানিয়েছি। তারা এটি পরিশোধের উদ্যোগ নেবে।

তবে নাম না প্রকাশ করে নেসকোর এক উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, এতদিন রাজনৈতিক সমঝোতাই চলেছে, এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই এসব বকেয়া উদ্ধারে আমরা তৎপর হয়েছি।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমানো হচ্ছে অতিরিক্ত সড়ক বাতি।

তিনি বলেন, এটা ঘিঞ্জিভাবে লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে অর্থ অপচয় করা হয়েছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

রাজশাহী জেলা সুজনের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, বাড়তি এই টাকা সিটি করপোরেশনের জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য থেকে আদায় করা হবে। এই বাতিগুলো ছিল রাজনৈতিক প্রকল্প। এমন বিলাসিতার খেসারত দিতে হবে খোদ নগরবাসীকে। এটি কাম্য নয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

সড়ক সাজাতে গিয়ে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা বিল বাকি রাসিকের

আপডেট টাইম : ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সড়কবাতি দিয়ে শহরকে আলোকিত করতে গিয়ে বিপাকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। মাত্র ২৩ কিলোমিটার পথ আলোকিত করতে গিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ বিলের দেনা। সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বাকি বলে রাজশাহী সিটি করপোরেশকে অবহিত করেছে নেসকো কর্তৃপক্ষ।

রাজনৈতিক সমঝতার জন্য এতদিন চুপ ছিল বলে জানিয়েছে নেসকো। আর সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এ ধরনের রাজনৈতিক প্রকল্প শুধু সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়, এটা অপচয়। এর দায়ভার বহন করতে হবে জনসাধারণকে।

তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমানো হচ্ছে সড়কে আলোক বাতির সংখ্যা।

‘গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি’ কিংবা ‘শিক্ষানগরী’ এসব কিছুকে ছাপিয়ে এক সময় দেশব্যাপী রাজশাহী আলোচনায় আসে নান্দনিক এসব সড়কবাতির জন্য। নগর অবকাঠামোর জন্য বরাদ্দকৃত তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১০৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে নান্দনিক সড়ক বাতিগুলো স্থাপন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রাতের আঁধারকে যেন হার মানায় চীন, ইতালি থেকে নিয়ে আসা এসব সড়কবাতি। আলোর ঝলকানিতে শহর সাজাতে ২৩ কিলোমিটার পথ জুড়ে বসানো হয় আধুনিক এসব সড়কবাতি। আর এতেই করপোরেশনের কাঁধে চাপে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল। তবে এরইমধ্যে সড়কের বাতি কমিয়ে ফেলেছে সিটি করপোরেশন। একটির পর একটি বাতি জ্বালাচ্ছে তারা।

ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বাণিজ্যিক পরিচালন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা তাদের একটি চিঠি দিয়েছি। তাদের মোট বকেয়া সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বেশি। আমরা তাদের পরিশোধের জন্য জানিয়েছি। তারা এটি পরিশোধের উদ্যোগ নেবে।

তবে নাম না প্রকাশ করে নেসকোর এক উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, এতদিন রাজনৈতিক সমঝোতাই চলেছে, এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই এসব বকেয়া উদ্ধারে আমরা তৎপর হয়েছি।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কমানো হচ্ছে অতিরিক্ত সড়ক বাতি।

তিনি বলেন, এটা ঘিঞ্জিভাবে লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে অর্থ অপচয় করা হয়েছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

রাজশাহী জেলা সুজনের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, বাড়তি এই টাকা সিটি করপোরেশনের জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য থেকে আদায় করা হবে। এই বাতিগুলো ছিল রাজনৈতিক প্রকল্প। এমন বিলাসিতার খেসারত দিতে হবে খোদ নগরবাসীকে। এটি কাম্য নয়।