ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি যে কারণে চাকরি ছাড়লেন শহিদ আবু সাঈদের ২ ভাই আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ ট্রাম্পের নতুন ‘সীমান্ত জার’ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবেন জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী

সিলেটে শিশু মুনতাহাকে হত্যা: প্রতিবেশী ৩ জন আটক

সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মুনতাহা (৬) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওইদিন কোন এক সময় শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ পাশে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে কল্পনাও করিনি।’

তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকে জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশের প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মুনতাহাকে অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি ডোবায় কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আজ ভোরে আলীফজান বেগম মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।’

ওসি বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রবিবার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। মূলত হত্যাকারীর উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ পুকুরে ফেলে মূল ঘটনা ব্যাহত করার চেষ্টা করা।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি

সিলেটে শিশু মুনতাহাকে হত্যা: প্রতিবেশী ৩ জন আটক

আপডেট টাইম : ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মুনতাহা (৬) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওইদিন কোন এক সময় শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ পাশে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে কল্পনাও করিনি।’

তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকে জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশের প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মুনতাহাকে অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়। ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশের একটি ডোবায় কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। আজ ভোরে আলীফজান বেগম মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।’

ওসি বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রবিবার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। মূলত হত্যাকারীর উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ পুকুরে ফেলে মূল ঘটনা ব্যাহত করার চেষ্টা করা।’