যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এতে করে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এর আগে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে দেননি জো বাইডেন। কিন্তু নিজের প্রেসিডেন্সি আমলের শেষ সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন বাইডেন।
কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই অনুমতি চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যেন নিজেদের সীমান্তের অনেক দূর থেকেও রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে তারা হামলা চালাতে পারেন।
ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হলো।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাশিয়ার গভীরে দূরপাল্লার মিসাইল ব্যবহার করে হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সূত্র বলছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রথম হামলা সম্ভবত এটিএসিএমএস রকেট দিয়ে চালানো হবে। এসব রকেট ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
তবে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালালে যুদ্ধের গতিবেগ বদলে যাবে- এমন আশা করেন না খোদ মার্কিনিরাই। কিন্তু যেহেতু এখন যুদ্ধবিরতির একটি আলোচনা চলছে। তাই কিছুটা শক্ত অবস্থানে থেকে যেন ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে যেতে পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র এই অনুমতি দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেনকে দেওয়া এই অনুমতি আবারও বাতিল করা হতে পারে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সবার আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করবেন।