ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসিরের গোলে ড্র থেকে রক্ষা পেল আবাহনী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আর একটু হলেই ম্যাচ ড্র হতে যাচ্ছিল। অনেকটা নিশ্চিত ড্র থেকে আবাহনীকে রক্ষা করলেন নাসিরউদ্দিন। এমেকার জোড়া গোলে এগিয়ে থেকে ঢাকা আবাহনী যেখানে বড় ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, সেখানে কি না প্রতিপক্ষ দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে! কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ম্যাচ শেষে জয়ী দলের নাম ঢাকা আবাহনীই। শেষের দিকে নাসিরউদ্দিনের গোলে আকাশি-হলুদরা ৩-২ গোলে জিতেছে নবাগত সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে। সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি প্রিমিয়ার লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শুভসূচনা বলতে হবে। অন্যদিকে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সাইফ স্পোর্টিং উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে একটি পয়েন্টও নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ ছিল ঢাকা আবাহনীর। আধিপত্য দেখিয়ে দুই গোলে এগিয়ে থাকে। তবে শুরুর দিকে তাদের চাপে রাখে নবাগতরা। ১৮ মিনিটে কলম্বিয়ান এম্বের আর্লে ভ্যালেন্সিয়ার আচমকা নেওয়া শট শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টায় ফেরান শহীদুল আলম সোহেল। ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা আবাহনী ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায়। ইমন বাবুর ছোট কর্নার থেকে ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন, ১-০। ২৮ মিনিটে গোছালো আক্রমণে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় শিরোপাধারীরা। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকা এমেকার ছোট পাস সাদউদ্দিনকে খুঁজে পায়। সাদকে আটকাতে ডি-বক্সের মধ্যে রহমত মিয়া ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আনিসুর রহমান জিকোকে অনায়াসে পরাস্ত করতে সমস্যা হয়নি এমেকার। ৪২ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন এ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ওয়ালীর ছোট ফ্রি-কিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সোহেল রানার ডানদিক দিয়ে ঢুকে শট নেন। গোলকিপার জিকোর হাত ছুঁয়ে বল বেরিয়ে যাওয়ার আগে পা ছোঁয়ানোর কাজটুকু করতে পারেননি গোলমুখে থাকা এমেকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সাইফ স্পোর্টিং সুযোগ খুঁজতে থাকে। ততক্ষণে আবাহনীর খেলাতে কিছুটা ধীরগতি চলে আসে। প্রথমার্ধের শেষদিকে ছন্দ ফিরে পায় কিম্বার্লি গ্রান্টের শিষ্যরা। বাঁদিক থেকে রহিমউদ্দিনের ক্রসে কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড এম্বেরের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় দলটিকে। তবে ইনজুরি সময়ে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক সতীর্থের মাথা ছুঁয়ে আসার পর তপু বর্মণ হেড করে বল জালে জড়িয়ে দিলে ঘুরে দাঁড়ায় সাইফ স্পোর্টিং, ২-১। বিরতির পরও একই ধারা। আবাহনী কিছুটা চাপে। শুরুতেই তৈরি করা সুযোগটি কাজে লাগায় সাইফ স্পোর্টিং। ৪৮ মিনিটে বাঁদিক থেকে রহিমউদ্দিনের ক্রসে বদলি নামা জুয়েল রানার জোরালো হেড ঠিকানা খুঁজে পেলে স্বস্তি ফেরে ২-২। ৫৫ মিনিটে সাদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর। বাঁদিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া এ ফরোয়ার্ড গোলকিপারকে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে শট নিতে পারেননি। ৮৪ মিনিটে নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর গোলে ফের এগিয়ে যায় আবাহনী। রায়হান হাসানের থ্রোয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের রহমতের ব্যাক হেড থেকে বল পেয়ে যান দূরের পোস্টে থাকা নাসির; নিখুঁত হেডে স্কোরলাইন ৩-১ করেন এ ডিফেন্ডার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নাসিরের গোলে ড্র থেকে রক্ষা পেল আবাহনী

আপডেট টাইম : ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  আর একটু হলেই ম্যাচ ড্র হতে যাচ্ছিল। অনেকটা নিশ্চিত ড্র থেকে আবাহনীকে রক্ষা করলেন নাসিরউদ্দিন। এমেকার জোড়া গোলে এগিয়ে থেকে ঢাকা আবাহনী যেখানে বড় ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, সেখানে কি না প্রতিপক্ষ দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে! কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ম্যাচ শেষে জয়ী দলের নাম ঢাকা আবাহনীই। শেষের দিকে নাসিরউদ্দিনের গোলে আকাশি-হলুদরা ৩-২ গোলে জিতেছে নবাগত সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে। সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি প্রিমিয়ার লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শুভসূচনা বলতে হবে। অন্যদিকে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সাইফ স্পোর্টিং উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে একটি পয়েন্টও নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ ছিল ঢাকা আবাহনীর। আধিপত্য দেখিয়ে দুই গোলে এগিয়ে থাকে। তবে শুরুর দিকে তাদের চাপে রাখে নবাগতরা। ১৮ মিনিটে কলম্বিয়ান এম্বের আর্লে ভ্যালেন্সিয়ার আচমকা নেওয়া শট শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টায় ফেরান শহীদুল আলম সোহেল। ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা আবাহনী ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায়। ইমন বাবুর ছোট কর্নার থেকে ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন, ১-০। ২৮ মিনিটে গোছালো আক্রমণে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় শিরোপাধারীরা। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকা এমেকার ছোট পাস সাদউদ্দিনকে খুঁজে পায়। সাদকে আটকাতে ডি-বক্সের মধ্যে রহমত মিয়া ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আনিসুর রহমান জিকোকে অনায়াসে পরাস্ত করতে সমস্যা হয়নি এমেকার। ৪২ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন এ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ওয়ালীর ছোট ফ্রি-কিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সোহেল রানার ডানদিক দিয়ে ঢুকে শট নেন। গোলকিপার জিকোর হাত ছুঁয়ে বল বেরিয়ে যাওয়ার আগে পা ছোঁয়ানোর কাজটুকু করতে পারেননি গোলমুখে থাকা এমেকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সাইফ স্পোর্টিং সুযোগ খুঁজতে থাকে। ততক্ষণে আবাহনীর খেলাতে কিছুটা ধীরগতি চলে আসে। প্রথমার্ধের শেষদিকে ছন্দ ফিরে পায় কিম্বার্লি গ্রান্টের শিষ্যরা। বাঁদিক থেকে রহিমউদ্দিনের ক্রসে কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ড এম্বেরের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় দলটিকে। তবে ইনজুরি সময়ে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক সতীর্থের মাথা ছুঁয়ে আসার পর তপু বর্মণ হেড করে বল জালে জড়িয়ে দিলে ঘুরে দাঁড়ায় সাইফ স্পোর্টিং, ২-১। বিরতির পরও একই ধারা। আবাহনী কিছুটা চাপে। শুরুতেই তৈরি করা সুযোগটি কাজে লাগায় সাইফ স্পোর্টিং। ৪৮ মিনিটে বাঁদিক থেকে রহিমউদ্দিনের ক্রসে বদলি নামা জুয়েল রানার জোরালো হেড ঠিকানা খুঁজে পেলে স্বস্তি ফেরে ২-২। ৫৫ মিনিটে সাদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি আবাহনীর। বাঁদিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া এ ফরোয়ার্ড গোলকিপারকে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে শট নিতে পারেননি। ৮৪ মিনিটে নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর গোলে ফের এগিয়ে যায় আবাহনী। রায়হান হাসানের থ্রোয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের রহমতের ব্যাক হেড থেকে বল পেয়ে যান দূরের পোস্টে থাকা নাসির; নিখুঁত হেডে স্কোরলাইন ৩-১ করেন এ ডিফেন্ডার।