ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিঠি লিখে ‘নিরুদ্দেশ’ পুলিশের উপপরিদর্শক

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হানিফ তার স্ত্রীকে চিঠি লিখে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিরুদ্দেশ। তবে পুলিশ বলছে, পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে এমন হতে পারে, তাকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

তবে এ বিষয়ে এসআই হানিফের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

চিঠিতে লেখা ছিল-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম

প্রিয় ইমরাত হিমেলের আম্মু

যখন এই লেখা তোমার হাতে পরবে তখন আমি অনেক দূরে চলে যাব। মরব না। যদি মরতে পারতাম, অনেক আগেই মরে যেতাম। আমি জীবনের কাছে পরাজিত গোলাম।

পুলিশের চাকরি করে জ্ঞাতসারে কারো ক্ষতি অন্যায় করিনি। সহকর্মীদের সাথেও না। জীবনে সবসময় মানিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়েছি। আল্লাহর কাছে কোটি শুকরিয়া আমার দুটি ছেলে মেয়ের জন্য।

তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। ক্ষমা করে দিও। একটি নারীর জীবনে স্বামী থাকাটাই বড় নেয়ামত। আমার ছেলে মেয়ে কে দেখে রেখো।

রাইটার দিপুকে বলবে মামলাগুলো আপডেট করে মুন্সিকে বুঝিয়ে দিতে। নারী ডেস্কে আমার একটা ব্যাগ আছে, যাতে অফিসিয়াল মূল্যবান কাগজপত্র থাকতে পারে।

মোবাইলে Anis GMP লেখা আছে, যে আমার বেতন করে। ATM পাসওয়ার্ডও দিয়ে দিলাম। আমাকে খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করো না।

আল্লাহ যদি চায় দেখা হতেও পারে। পুলিশ অফিসে যোগাযোগ করবে, প্রায় ২৪ বছর চাকরি করেছি যদি কোনো টাকা-পয়সা পাওয়া যায়, ছেলে মেয়ে মোটামুটি ডালভাত খেতে পারবে। জিপি এফ তে কিছু জমেছে, ছেলে মেয়েকে বলবা সেগুলো জমা করে নিতে।

– হানিক

এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তার পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সে অফিসে অনুপস্থিত। তবে আমরা তার সাথে যোগাযোগ করেছি, সে কোথায় আছে জানতে পেরেছি, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই হয়তো সে চলে আসবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চিঠি লিখে ‘নিরুদ্দেশ’ পুলিশের উপপরিদর্শক

আপডেট টাইম : ৫ ঘন্টা আগে

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হানিফ তার স্ত্রীকে চিঠি লিখে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিরুদ্দেশ। তবে পুলিশ বলছে, পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে এমন হতে পারে, তাকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

তবে এ বিষয়ে এসআই হানিফের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

চিঠিতে লেখা ছিল-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম

প্রিয় ইমরাত হিমেলের আম্মু

যখন এই লেখা তোমার হাতে পরবে তখন আমি অনেক দূরে চলে যাব। মরব না। যদি মরতে পারতাম, অনেক আগেই মরে যেতাম। আমি জীবনের কাছে পরাজিত গোলাম।

পুলিশের চাকরি করে জ্ঞাতসারে কারো ক্ষতি অন্যায় করিনি। সহকর্মীদের সাথেও না। জীবনে সবসময় মানিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। ব্যর্থ হয়েছি। আল্লাহর কাছে কোটি শুকরিয়া আমার দুটি ছেলে মেয়ের জন্য।

তোমার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। ক্ষমা করে দিও। একটি নারীর জীবনে স্বামী থাকাটাই বড় নেয়ামত। আমার ছেলে মেয়ে কে দেখে রেখো।

রাইটার দিপুকে বলবে মামলাগুলো আপডেট করে মুন্সিকে বুঝিয়ে দিতে। নারী ডেস্কে আমার একটা ব্যাগ আছে, যাতে অফিসিয়াল মূল্যবান কাগজপত্র থাকতে পারে।

মোবাইলে Anis GMP লেখা আছে, যে আমার বেতন করে। ATM পাসওয়ার্ডও দিয়ে দিলাম। আমাকে খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করো না।

আল্লাহ যদি চায় দেখা হতেও পারে। পুলিশ অফিসে যোগাযোগ করবে, প্রায় ২৪ বছর চাকরি করেছি যদি কোনো টাকা-পয়সা পাওয়া যায়, ছেলে মেয়ে মোটামুটি ডালভাত খেতে পারবে। জিপি এফ তে কিছু জমেছে, ছেলে মেয়েকে বলবা সেগুলো জমা করে নিতে।

– হানিক

এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তার পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সে অফিসে অনুপস্থিত। তবে আমরা তার সাথে যোগাযোগ করেছি, সে কোথায় আছে জানতে পেরেছি, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই হয়তো সে চলে আসবে।’