ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপভোগ করি বলেই খেলি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদেশি লিগগুলোতে একমাত্র নিয়মিত মুখ সাকিব আল হাসান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার যাচ্ছেন আবার সিপিএল খেলতে। যাওয়ার আগে এই লিগের উত্তেজনা, খেলার মজা নিয়ে কথা বললেন। কথা বললেন অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েও—
এখন কী আর এসব বিদেশি লিগ খেলতে যাওয়ার সময় আগের সময় রোমাঞ্চ লাগে?
মজা তো লাগেই। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা থাকে। মজা থাকে। রোমাঞ্চ থাকে। গত ১০-১৫ বছর ধরে ক্রিকেটই খেলছি। যেখানেই খেলি মজাই লাগে। মজার কারণেই খেলে যাচ্ছি।
আইপিএল বা সিপিএলে আপনার ভূমিকাটা কি ভিন্ন ভিন্ন হয়?
আইপিএলে হয় কি, সেখানে প্রতি দলে ১০ জন বিদেশি খেলোয়াড় থাকে। এ কারণে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি। কোন্ চারজন একাদশে খেলবে। ভালো খেলেও পরের ম্যাচে কম্বিনেশনের কারণে খেলা যায় না। সিপিএল বা পিএসএলে যেটা হয়, চারজন মোটামুটি ফিক্সড থাকে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তারা পরিবর্তন করে না। এ ছাড়া আর কোনো পার্থক্য আমি দেখি না। সব জায়গায় পরিবেশ এবং খেলার কোয়ালিটিই ভালো।
কোথায় উপভোগের সুযোগ বেশি থাকে?
সেটা সব জায়গায়ই থাকে। খেললে ভালো খেলার প্রতিযোগিতা থাকে, এটা একটা এনজয় করার ব্যাপার। না খেললে খেলার জন্য অপেক্ষা থাকে। সেটা এক রকম ব্যাপার।
তারপরও সিপিএলে কী একটু বেশি উপভোগ করেন?
অন্য টুর্নামেন্টের চেয়ে এটার পরিবেশ অন্য রকম। খেলার সিরিয়াসনেসটা মাঠেই বেশি। মাঠের বাইরে তেমন কোনো ব্যাপার নেই। জায়গাগুলো খুব সুন্দর। সবাই রিলাক্স থাকতে পছন্দ করে। সেদিক থেকে বলতে গেলে অনেক বেশি এনজয় করি।
মিরাজ খেলছে এবার। আমাদের খেলোয়াড় বাড়ছে— এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার?
আমি তো শিওর যে, এ বছর যদি পুরো টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ থাকত, তাহলে আরো দুই-একজন যেতে পারত। দুই- একজনের নামও বলাবলি হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের তো খেলা আছে। টাইমিং ফিক্সড থাকে না। অন্য টিমগুলোর জন্য আমাদেরকে নিতে ঝামেলা হয়ে যায়। কারণ পরে যদি বলা হয়, টিম আসবে, আমাদের ফিরতে হবে।
এসব টুর্নামেন্টে বাকী বিদেশিদের সাথে কেমন আলাপ হয়?
এখন তো অন্য রকম কথাবার্তা হয়। আমাদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জানতে চায়। টিম হিসেবে আমরা কিভাবে এতো ভালো করছি, সে বিষয়ে প্রশ্ন করে। আমরাও বড় দলের খেলোয়াড়দের মতো কথা বলতে পারি। চিন্তা করি যে, এখন এভাবে কথা বলা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বোলিং করা কতোটা কঠিন বা সহজ?
একটু সহজই। কারণ সেখানে স্পিনারদের জন্য উইকেটে কিছু হেল্প থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের প্রত্যাশা কী?
আগে অস্ট্রেলিয়া আসুক। বড় একটা গ্যাপ গেল। তাদের আসার মাধ্যমে মৌসুম শুরু হবে। তারা যদি না আসে, তাহলে সরাসরি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে। আশা করি অস্ট্রেলিয়া আসবে এবং ভালো একটা সিরিজ হবে।
অনুশীলনে বেশ পরিশ্রম করলেন।
প্রতিটি সিরিজের পর যদি দুই-তিন সপ্তাহের ব্রেক হয়, কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা যায়; তাহলে খেলোয়াড়দের জন্য সেটা ভালো হয়। এতে ফিটনেস নিয়ে বা ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে নানা কাজ করা যায়। একজন খেলোয়াড় তার অনেক ব্যাপারগুলো চিহ্নিত করে কাজ করতে পারে। খেলার মধ্যে থাকলে এগুলো করা যায় না।
সামনে আপনার ৫০তম টেস্ট। অনেক বছর লেগে গেল।
আর কয়েক বছর আগের কথা বললে, মনে হয় ৩০ টেস্ট খেলতাম। সে হিসেবে ঠিক আছে। আশা করি অস্ট্রেলিয়াও আসবে, আমিও ফিট থাকব এবং ভালো একটা সিরিজ হবে।
নতুন সিজনে নতুন কী করতে চাইবেন?
অবশ্যই উন্নতি চাইব। গত বছরের তুলনায় আরো ভালো করতে চেষ্টা করব। উন্নতির তো শেষ নেই। যে জায়গাগুলোতে আমার মন মতো কিছু হয় নেই, সেখানে আরো ভালো করতে চাই।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

উপভোগ করি বলেই খেলি

আপডেট টাইম : ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদেশি লিগগুলোতে একমাত্র নিয়মিত মুখ সাকিব আল হাসান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার যাচ্ছেন আবার সিপিএল খেলতে। যাওয়ার আগে এই লিগের উত্তেজনা, খেলার মজা নিয়ে কথা বললেন। কথা বললেন অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েও—
এখন কী আর এসব বিদেশি লিগ খেলতে যাওয়ার সময় আগের সময় রোমাঞ্চ লাগে?
মজা তো লাগেই। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা থাকে। মজা থাকে। রোমাঞ্চ থাকে। গত ১০-১৫ বছর ধরে ক্রিকেটই খেলছি। যেখানেই খেলি মজাই লাগে। মজার কারণেই খেলে যাচ্ছি।
আইপিএল বা সিপিএলে আপনার ভূমিকাটা কি ভিন্ন ভিন্ন হয়?
আইপিএলে হয় কি, সেখানে প্রতি দলে ১০ জন বিদেশি খেলোয়াড় থাকে। এ কারণে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি। কোন্ চারজন একাদশে খেলবে। ভালো খেলেও পরের ম্যাচে কম্বিনেশনের কারণে খেলা যায় না। সিপিএল বা পিএসএলে যেটা হয়, চারজন মোটামুটি ফিক্সড থাকে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তারা পরিবর্তন করে না। এ ছাড়া আর কোনো পার্থক্য আমি দেখি না। সব জায়গায় পরিবেশ এবং খেলার কোয়ালিটিই ভালো।
কোথায় উপভোগের সুযোগ বেশি থাকে?
সেটা সব জায়গায়ই থাকে। খেললে ভালো খেলার প্রতিযোগিতা থাকে, এটা একটা এনজয় করার ব্যাপার। না খেললে খেলার জন্য অপেক্ষা থাকে। সেটা এক রকম ব্যাপার।
তারপরও সিপিএলে কী একটু বেশি উপভোগ করেন?
অন্য টুর্নামেন্টের চেয়ে এটার পরিবেশ অন্য রকম। খেলার সিরিয়াসনেসটা মাঠেই বেশি। মাঠের বাইরে তেমন কোনো ব্যাপার নেই। জায়গাগুলো খুব সুন্দর। সবাই রিলাক্স থাকতে পছন্দ করে। সেদিক থেকে বলতে গেলে অনেক বেশি এনজয় করি।
মিরাজ খেলছে এবার। আমাদের খেলোয়াড় বাড়ছে— এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার?
আমি তো শিওর যে, এ বছর যদি পুরো টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ থাকত, তাহলে আরো দুই-একজন যেতে পারত। দুই- একজনের নামও বলাবলি হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের তো খেলা আছে। টাইমিং ফিক্সড থাকে না। অন্য টিমগুলোর জন্য আমাদেরকে নিতে ঝামেলা হয়ে যায়। কারণ পরে যদি বলা হয়, টিম আসবে, আমাদের ফিরতে হবে।
এসব টুর্নামেন্টে বাকী বিদেশিদের সাথে কেমন আলাপ হয়?
এখন তো অন্য রকম কথাবার্তা হয়। আমাদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জানতে চায়। টিম হিসেবে আমরা কিভাবে এতো ভালো করছি, সে বিষয়ে প্রশ্ন করে। আমরাও বড় দলের খেলোয়াড়দের মতো কথা বলতে পারি। চিন্তা করি যে, এখন এভাবে কথা বলা যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বোলিং করা কতোটা কঠিন বা সহজ?
একটু সহজই। কারণ সেখানে স্পিনারদের জন্য উইকেটে কিছু হেল্প থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের প্রত্যাশা কী?
আগে অস্ট্রেলিয়া আসুক। বড় একটা গ্যাপ গেল। তাদের আসার মাধ্যমে মৌসুম শুরু হবে। তারা যদি না আসে, তাহলে সরাসরি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে। আশা করি অস্ট্রেলিয়া আসবে এবং ভালো একটা সিরিজ হবে।
অনুশীলনে বেশ পরিশ্রম করলেন।
প্রতিটি সিরিজের পর যদি দুই-তিন সপ্তাহের ব্রেক হয়, কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা যায়; তাহলে খেলোয়াড়দের জন্য সেটা ভালো হয়। এতে ফিটনেস নিয়ে বা ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে নানা কাজ করা যায়। একজন খেলোয়াড় তার অনেক ব্যাপারগুলো চিহ্নিত করে কাজ করতে পারে। খেলার মধ্যে থাকলে এগুলো করা যায় না।
সামনে আপনার ৫০তম টেস্ট। অনেক বছর লেগে গেল।
আর কয়েক বছর আগের কথা বললে, মনে হয় ৩০ টেস্ট খেলতাম। সে হিসেবে ঠিক আছে। আশা করি অস্ট্রেলিয়াও আসবে, আমিও ফিট থাকব এবং ভালো একটা সিরিজ হবে।
নতুন সিজনে নতুন কী করতে চাইবেন?
অবশ্যই উন্নতি চাইব। গত বছরের তুলনায় আরো ভালো করতে চেষ্টা করব। উন্নতির তো শেষ নেই। যে জায়গাগুলোতে আমার মন মতো কিছু হয় নেই, সেখানে আরো ভালো করতে চাই।