হিমালয়কন্যাখ্যাত উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে কোনো দিন বইছে মৃদু আর কোনো দিন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আবার কোনো কোনো দিন তাপমাত্রা একটু বেড়ে যাচ্ছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিযাস। তবে, গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সবচেয়ে কম।
আজ শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তরের হিমশীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। শীতল বাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে সকালে রোদের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে জনজীবনে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৮-১০ কিলোমিটার।
এর আগে ৩ জানুয়ারি এবারের মৌসুমে পঞ্চগড়ে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন বিকেলে পঞ্চগড়ে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য, কোনো এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
রবিবার সকালে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। তবে সকাল ৯টার পরে রোদে দেখা মিলেছে কনকনে শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। কেউ সবজি খেতে সংগ্রহ করছেন সবজি, কেউবা তা ভ্যানে করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন বাজারে। আবার কেউ কৃষিজমিতে হালচাষ করার পাশাপাশি নিড়ানি দিচ্ছেন ফসলের খেত। অনেক চাষী আলু ক্ষেত পরিচার্যা করছেন। শহরে যাত্রী নিয়ে ছুটছেন রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের চালকেরা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আজ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে এই এলাকার ওপর দিয়ে হিম শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে পঞ্চগড়ের আকাশ মেঘ রয়েছে। হিমালয়ের হিমবায়ু সরাসরি পঞ্চগড়ে প্রবেশ করায় এখানে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে সকাল সকাল রোদের দেখা মিলেছে।
আজ দিনের বেলা রোদ থাকায় দিনভর জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি থাকবে বলে তিনি জানান।