বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ২০০৬ সালের ২ আগস্ট। ম্যাচ ভেন্যু হারারে। মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের করা ২৩৬ রান টপকে জয় পেতে জিম্বাবুয়ের শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৭ রান। অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বল তুলে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে। প্রথম বলে মুপারিওয়া নিলেন ১ রান। অপরপ্রান্তে ফিরে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন ব্রেন্ডন টেলর।
দ্বিতীয় বলে ছয়, চতুর্থ বলে চার। মাঝে ওয়াইড বল থেকে আরও ১ রান। শেষ দুই বলে রান দরকার মাত্র ৫। মাশরাফির করা পঞ্চম বল থেকেও কোনো রান পেল না জিম্বাবুয়ে। শেষ বলে দরকার একটি বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি। মাশরাফি সময় নিলেন কিন্তু বলটা ঠিকমত করতে পারলেন না! ফুলটস বল মিড উইকেট দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে বল পাঠালেন গ্যালারিতে। ২ উইকেটের জয় জিম্বাবুয়ের।
ওই ম্যাচ হারের বড় খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে। তবে ম্যাচটিতে জয়ের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন। ডানহাতি এ পেসার তখন সবেমাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছেন। হারারেতে খেলছিলেন নিজের নবম ম্যাচ। গতি ও সুইংয়ের যাদুতে শাহাদাত ছিলেন অনন্য। ৩৯তম ওভারে পরপর তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে শাহাদাত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক।
স্মৃতির পাতা উল্টে ১১ বছর আগের দিনটি শাহাদাত স্মরণ করলেন এভাবে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম হ্যাটট্রিক, অবশ্যই এটা দারুণ অনুভূতি। আমরা অল্প স্কোর করেও দারুণ বোলিং করেছি। এটা এখনও ভালো অনুভূতি দেয়। ম্যাচটি, সিরিজটি যদি জিততে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগত।’
শাহাদাতের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন আব্দুর রাজ্জাক, রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ। শাহাদাত এখন লাইমলাইটের বাইরে। অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে! মাঠ ও মাঠের বাইরে বিতর্কিত। তবুও নিজেকে ফেরানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। জানালেন, মৌসুম সামনে রেখে কিছুদিন পরই শুরু করবেন ট্রেনিং। এখন কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে।