ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন শেখ রেহানা ও জয়

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা মাঠের রাজনীতিতে ততোটা সরব না থাকলেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ থেকেই অংশ নিবেন নাকি অন্য কোন আসন থেকে অংশ নিবেন তা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনাই করেই সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনে পীরগঞ্জ থেকে অংশ নেওয়ার।

শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন এটা বলতে পারি তিনি গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তবে এই জন্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন এটা নিশ্চিত হয়নি কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ভেবে চিন্তে ও ধীর স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নেন না।
তিনি গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন এই ব্যাপারে শেখ রেহানা কোন ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ধীর স্থির। তিনি হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেন না। অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন। তার টুঙ্গিপাড়ায় রাজনীতিতে জড়িত হওয়া একটি সূদূর প্রসারী চিন্তার অংশ।

শেখ হাসিনার একটি ঘনিষ্ট সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এইটুকু জানি তিনি গোপালগঞ্জে ভোট দিবেন। ভোট দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হয়েছেন। ভোট দেওয়ার জন্যতো পদে জড়িত হতে হয় না। তিনি
 যে এলাকার ভোটার সেখান থেকেই ভোট দিতে পারেন।

ওই সূত্র জানায়, আগামীতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ভোট দিবেন।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের তিনটি পদ খালি রাখা হয়েছে। একটিতে শেখ রেহানা। একটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকলে দুই জনই তৃণমূল রাজনীতিতে রয়েছেন। জয় রংপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সূত্র জানায়, দুটি পদে তাদের নেওয়া হতে পারে। আর আর একটি পদে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম শোনা যায়।

সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের আগেও এটা হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চান। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে, কাউন্সিলে এবং কাউন্সিলের পরেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা বলেছেন। তিনি বার বারই এটা বলেছেন। তার ওই কথার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচনের ইঙ্গিত ছিল।

সূত্র জানায়, শেখ রেহানাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে বিষয়টি শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক এই কথা বলেছেন।

গত ১৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জন কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টামন্ডলরি সদস্য। শেখ রেহানাকে উপদেষ্টামন্ডলীর ৩ নম্বর সদস্য।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইলিয়াস হক গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ আবুৃল বাশার খায়েরের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ও ১৪ জনকে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য করা হয়।

সরকারের নীতি নির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আছেন। তবে তারা যেহেতু আরও অন্যান্য কাজ করেন এই কারণে পুরোপুরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। তবে আগামী দিনে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটাতো হতেই পারে। তবে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হবে এই ব্যাপারে নেত্রী বলতে পারবেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া যাদের নিয়ে আলোচনা তাদেরও মতামতের দরকার হবে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হতে পারে।-আমাদের সময়

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন শেখ রেহানা ও জয়

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা মাঠের রাজনীতিতে ততোটা সরব না থাকলেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ থেকেই অংশ নিবেন নাকি অন্য কোন আসন থেকে অংশ নিবেন তা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনাই করেই সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনে পীরগঞ্জ থেকে অংশ নেওয়ার।

শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন এটা বলতে পারি তিনি গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তবে এই জন্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন এটা নিশ্চিত হয়নি কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ভেবে চিন্তে ও ধীর স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নেন না।
তিনি গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন এই ব্যাপারে শেখ রেহানা কোন ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ধীর স্থির। তিনি হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেন না। অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন। তার টুঙ্গিপাড়ায় রাজনীতিতে জড়িত হওয়া একটি সূদূর প্রসারী চিন্তার অংশ।

শেখ হাসিনার একটি ঘনিষ্ট সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এইটুকু জানি তিনি গোপালগঞ্জে ভোট দিবেন। ভোট দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হয়েছেন। ভোট দেওয়ার জন্যতো পদে জড়িত হতে হয় না। তিনি
 যে এলাকার ভোটার সেখান থেকেই ভোট দিতে পারেন।

ওই সূত্র জানায়, আগামীতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ভোট দিবেন।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের তিনটি পদ খালি রাখা হয়েছে। একটিতে শেখ রেহানা। একটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকলে দুই জনই তৃণমূল রাজনীতিতে রয়েছেন। জয় রংপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

সূত্র জানায়, দুটি পদে তাদের নেওয়া হতে পারে। আর আর একটি পদে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম শোনা যায়।

সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনের আগেও এটা হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি চান। তবে তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে, কাউন্সিলে এবং কাউন্সিলের পরেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা বলেছেন। তিনি বার বারই এটা বলেছেন। তার ওই কথার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচনের ইঙ্গিত ছিল।

সূত্র জানায়, শেখ রেহানাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে বিষয়টি শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক এই কথা বলেছেন।

গত ১৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জন কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টামন্ডলরি সদস্য। শেখ রেহানাকে উপদেষ্টামন্ডলীর ৩ নম্বর সদস্য।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইলিয়াস হক গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ আবুৃল বাশার খায়েরের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ও ১৪ জনকে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য করা হয়।

সরকারের নীতি নির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আছেন। তবে তারা যেহেতু আরও অন্যান্য কাজ করেন এই কারণে পুরোপুরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। তবে আগামী দিনে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটাতো হতেই পারে। তবে এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হবে এই ব্যাপারে নেত্রী বলতে পারবেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া যাদের নিয়ে আলোচনা তাদেরও মতামতের দরকার হবে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হতে পারে।-আমাদের সময়