চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তিন মোটরসাইকেল আরোহী ছাড়াও ‘ব্যাকআপ গ্রুপ’ অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডটি ছিল সমন্বিত। তবে ব্যাকআপ গ্রুপে কারা তার সন্ধানে মাঠে রয়েছে পুলিশ।
৮ জুন বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য দুপুরে সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে ফতেয়াবাদ থেকে সাবেক শিবির নেতা আবু নছরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ জুন রোববার সকালে জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডে নছরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার আবু নছর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে হত্যায় তার যে সম্পৃক্ততা আছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।
এ ঘটনায় সমন্বিত একটি টিম কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু তিনজনই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল এমন নয়। মাহমুদা খানম মিতু কখন বের হবেন এটা পর্যবেক্ষণ এবং হত্যার পর মোটরসাইকেলে করে যারা পালাবে তাদের ‘ব্যাকআপের’ জন্য আলাদা গ্রুপ ছিল। তবে ওরা কারা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় আটক ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আবু নছর গুন্নু (৪০) দুই দফায় মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কাজে অংশ নেয়ার তথ্য আছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি নিজের পরিচয় আড়াল করতেই এই মাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দেবদাস ভট্টাচার্য।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তরা যখন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করছিল, তখন জিইসি মোড়ের দিকে কিছুটা অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল একটি কালো মাইক্রোবাস।
মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে মাইক্রোবাসটি। পাঁচ সেকেন্ডের মতো ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে চলা শুরু করে মাইক্রোবাসটি।
পরে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে চলে যায় মাইক্রোবাসটি। কালো কাচের মাইক্রোবাসের চালকের আসনের পাশের জানালাটা খোলা ছিল। অন্যসব জানালা বন্ধ ছিল।
এ কারণেই গোয়েন্দারা মাইক্রোবাসের যাত্রীর সঙ্গে এ খুনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আগের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দেখেছি শিবিরের একটি অংশ পর্যায়ক্রমে জেএমবিতে যোগ দেয়। এ কারণেই হত্যাকাণ্ডে জেএমবির সঙ্গে শিবিরও জড়িত ছিল কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।