ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশ স্বামী কারাগারে হাইকোর্টে উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত যারা দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে: টুকু আবাসন ব্যবসায় মন্দা দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস ‘আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নদীতে, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ অর্থহীন’ এর সাবেক গিটারিস্ট পিকলু মারা গেছেন নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ‘ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই’

শাটডাউন এড়াতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ট্রাম্প-সমর্থিত বিল পাস হয়নি

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিম্নকক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত একটি বিল পাস হয়নি। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ প্রান্তে। এ কারণে নতুন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে দেশটির সরকার শাটডাউনের মধ্যে পড়বে। সেই শোচনীয় পরিণতি এড়াতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাচ্ছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা। খবর বিবিসি।

সরকারি তহবিল শেষ হয়ে গেলে আজ শনিবার থেকেই শাটডাউনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে শনিবার থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার (শাটডাউন) আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর অর্থ হলো, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল নানা কর্মসূচি ব্যাহত হবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দেবে। বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়ে আসন্ন বড়দিনের ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে।তা ছাড়া, ২০ লাখের বেশি সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বন্ধ হতে পারে ন্যাশনাল পার্ক, খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শন স্থগিত হওয়াসহ পরিবেশসংক্রান্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ হতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা এবং মেডিকেয়ারের চেক বিতরণ চালু থাকলেও অন্যান্য সুবিধা স্থগিত হতে পারে।

এদিকে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে মার্কিন ক্যাপিটলে পৌঁছেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি উপায় পেয়েছি।’ কিন্তু এ নিয়ে বিস্তারিত তিনি বলেননি। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেছেন, এটি বাইডেনের সমস্যা, তাকেই সমাধান করতে হবে। তবে তিনি বলেন, রিপাবলিকানরা তাদের সহযোগিতা করবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য গত বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে আনা বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি, আর বিপক্ষে পড়ে ২৩৫টি। বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলেরই ৩৮ জন আইনপ্রণেতা। তারা বিল পাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়ে এই ভোট দেন। এটি পাস করার জন্য প্রতিনিধি পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। বিলটি পাসে কংগ্রেসের এই ব্যর্থতা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ফাটলকে সামনে এনেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি

শাটডাউন এড়াতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ট্রাম্প-সমর্থিত বিল পাস হয়নি

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিম্নকক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত একটি বিল পাস হয়নি। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ প্রান্তে। এ কারণে নতুন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে দেশটির সরকার শাটডাউনের মধ্যে পড়বে। সেই শোচনীয় পরিণতি এড়াতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাচ্ছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা। খবর বিবিসি।

সরকারি তহবিল শেষ হয়ে গেলে আজ শনিবার থেকেই শাটডাউনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে শনিবার থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার (শাটডাউন) আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর অর্থ হলো, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল নানা কর্মসূচি ব্যাহত হবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দেবে। বিমানবন্দরগুলোতে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়ে আসন্ন বড়দিনের ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে।তা ছাড়া, ২০ লাখের বেশি সরকারি কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বন্ধ হতে পারে ন্যাশনাল পার্ক, খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শন স্থগিত হওয়াসহ পরিবেশসংক্রান্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ হতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা এবং মেডিকেয়ারের চেক বিতরণ চালু থাকলেও অন্যান্য সুবিধা স্থগিত হতে পারে।

এদিকে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে মার্কিন ক্যাপিটলে পৌঁছেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি উপায় পেয়েছি।’ কিন্তু এ নিয়ে বিস্তারিত তিনি বলেননি। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেছেন, এটি বাইডেনের সমস্যা, তাকেই সমাধান করতে হবে। তবে তিনি বলেন, রিপাবলিকানরা তাদের সহযোগিতা করবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য গত বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে আনা বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি, আর বিপক্ষে পড়ে ২৩৫টি। বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলেরই ৩৮ জন আইনপ্রণেতা। তারা বিল পাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়ে এই ভোট দেন। এটি পাস করার জন্য প্রতিনিধি পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল। বিলটি পাসে কংগ্রেসের এই ব্যর্থতা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ফাটলকে সামনে এনেছে।