ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশ স্বামী কারাগারে হাইকোর্টে উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত যারা দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে: টুকু আবাসন ব্যবসায় মন্দা দ্য ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস ‘আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নদীতে, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ অর্থহীন’ এর সাবেক গিটারিস্ট পিকলু মারা গেছেন নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ‘ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই’

জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি

২০২৪ সালের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারটা জাকের আলী ও শামীম হোসেনকেই দেওয়া হোক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মাধ্যমে আইসিসির কাছে এমনই সুপারিশ করেছেন ইয়ান বিশপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার তার আগেই অবশ্য ধারাভাষ্যকক্ষে বসে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের সময়। গুড়াকেশ মোটির করা ওভারের প্রথম বল টেনে মিড উইকেট বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। সীমানার দিকে যাওয়া বলটি ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাকয়, তবে নিতে পারেননি। উল্টো হাতে আঘাত পান।

জাকের ও শামীম দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। তবে দ্বিতীয় রান নিতে নিতে বুঝতে পারেন ম্যাকয় আঘাত পাওয়াতেই বল তুলে ফেরত পাঠাতে পারছেন না। বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

জাকের-শামীমের এই ঘটনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ বলে আখ্যা দেন বিশপ। পরে ম্যাচ শেষ হলে এক্সে এটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও সুপারিশ করেন।

এক্সে বিশপ লিখেন, ‘যদি আইসিসি ২০২৪ সালের স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেনের রানের জন্য দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন এটা বুঝতে পেরে যে, আউটফিল্ড ক্যাচ নিতে গিয়ে ওবেদ ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন।’

প্রতি বছর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’। ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ সমুন্নত রাখার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দল বা ঘটনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও দল, আম্পায়ারের ভূমিকা, ক্রিকেটের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়।

২০২৩ সালে ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে দল। তার আগে ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা ১২ বছর পুরস্কারটি জিতেছেন খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশের কেউ অবশ্য এখন পর্যন্ত ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পাননি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি

জাকের-শামীমকে যে পুরস্কার দিতে বললেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি

আপডেট টাইম : ৩৬ মিনিট আগে

২০২৪ সালের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারটা জাকের আলী ও শামীম হোসেনকেই দেওয়া হোক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মাধ্যমে আইসিসির কাছে এমনই সুপারিশ করেছেন ইয়ান বিশপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার তার আগেই অবশ্য ধারাভাষ্যকক্ষে বসে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের সময়। গুড়াকেশ মোটির করা ওভারের প্রথম বল টেনে মিড উইকেট বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। সীমানার দিকে যাওয়া বলটি ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাকয়, তবে নিতে পারেননি। উল্টো হাতে আঘাত পান।

জাকের ও শামীম দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। তবে দ্বিতীয় রান নিতে নিতে বুঝতে পারেন ম্যাকয় আঘাত পাওয়াতেই বল তুলে ফেরত পাঠাতে পারছেন না। বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

জাকের-শামীমের এই ঘটনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ বলে আখ্যা দেন বিশপ। পরে ম্যাচ শেষ হলে এক্সে এটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও সুপারিশ করেন।

এক্সে বিশপ লিখেন, ‘যদি আইসিসি ২০২৪ সালের স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেনের রানের জন্য দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন এটা বুঝতে পেরে যে, আউটফিল্ড ক্যাচ নিতে গিয়ে ওবেদ ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন।’

প্রতি বছর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’। ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ সমুন্নত রাখার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দল বা ঘটনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও দল, আম্পায়ারের ভূমিকা, ক্রিকেটের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়।

২০২৩ সালে ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে দল। তার আগে ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা ১২ বছর পুরস্কারটি জিতেছেন খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশের কেউ অবশ্য এখন পর্যন্ত ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পাননি।