বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। পরিবর্তন মানব জীবনে অনস্বীকার্য একটি বিষয়। গতিই জীবন আর স্থিতি মানেই মৃত্যু। আর জীবনকে গতিময় করে তোলার একমাত্র নিয়ামক হচ্ছে পরিবর্তন। সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া একজন মানুষ হচ্ছেন অনন্ত জলিল। চিত্রনায়ক থেকে নিজেকে বদলে পুরোদস্তুর ধার্মিক বনে গিয়েছেন তিনি।
এদিকে ধার্মিক হওয়ার পূর্বে অনন্ত জলিলের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে সাধারণ সমাজে বেশ হাসাহাসি, ট্রল কিংবা ব্যঙ্গ রসাত্মক গল্প সল্প চললেও, বর্তমানে তিনি তার কৃতকর্ম দ্বারা মানুষের হৃদয়ে পুনরায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন স্বমহিমায়। অবশ্য অনন্ত জলিলের ভেতর যে একজন মানবিক অনন্ত জলিল লুকিয়েছিলেন, সেটা আগেই জানতে পেরেছিলাম। তার প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরত কিছু কর্মচারীর সান্নিধ্য পেয়েছিলাম আমি, তাও অনেকদিন আগে। তারা বলেছিলেন- স্যার, খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। সেই ভালো মানুষটিই যেন হুট করে বাইরে বের হয়ে এসে মানুষের নজর কেড়ে নিয়েছেন।
অনন্ত জলিল বর্তমানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে পরে যাচ্ছেন ধর্মীয় লেবাস। কোনো পার্টি কিংবা গণমাধ্যমে স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে উপস্থিত হন- একেবারেই ধার্মিক বেশে। এইতো কদিন আগেও ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরবরে গিয়েছিলেন ভক্তদের সঙ্গে কিছু কথা বলতে। কথা বলা মানে হচ্ছে- ভক্তদের ধর্মের পথে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে রয়েছেন তাবলিক জামায়াতে। গিয়েছেন ১৮ আগস্ট, ফিরে আসবেন আজ, মানে ২০ আগস্ট। উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন- তিনি ফাজায়েলে আমল নামক একটি ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ছেন মনোযোগ দিয়ে।
যার যার ধর্ম পালন করার অধিকার তার তার রয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রিয়.কম তাকে স্বাগত জানাচ্ছে। তার পরিবর্তন ও ধর্ম কর্ম তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। কিছুদিন আগে একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে বিশেষ সংবাদ করেছে।
অবশ্য অভিনয় জগতকে থেকে ধর্ম কর্মে মনোনিবেশ করার ঘটনা এবারই নতুন নয়। আমাদের শ্রদ্ধেয় কীংবদন্তি চিত্রনায়িকা শাবানা তো বটেই, ধর্ম কর্মে মনোযোগ দিয়েছেন এ প্রজন্মের তারকা হ্যাপি তথা আমাতুল্লাহ। সে ঘটনা এখন আর কারো অজানা নয়। কিন্তু কেন তারা অভিনয় জগত ছেড়ে ধর্ম কর্মে মনোযোগ দিচ্ছেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে পরে নাহয় কোনো একটি সংবাদে জানিয়ে দেবো। আজ এ পর্যন্তই থাক। ভালো থাকুন অনন্ত জলিল, পূর্ণ হোক তার মনোবাঞ্ছা- এই কামনাই করি।