ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈমানদীপ্ত মহিলা সাহাবি হজরত জানিরা (রা.)

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইসলাম গ্রহণ করার কারণে যেসব মনীষী কাফেরদের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের অন্যতম একজন হলেন অপ্রসিদ্ধ সাহাবি মনীষা হজরত জানিরা (রা.)। অবশ্য তাফসিরে মাজহারিতে তার নাম ‘রানিন’ বলা হয়েছে। তিনি হজরত ওমর (রা.) এর দাসী ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার কারণে হজরত ওমর (রা.) (মুসলমান হওয়ার আগে) তাকে প্রচুর প্রহার করতেন। এমনকি হজরত জানিরা (রা.) বেহুঁশ হয়ে যেতেন। আবু জাহেলও তাকে অনেক কষ্ট দিত ইসলাম পরিত্যাগ করতে; কিন্তু জানিরা (রা.) ইসলাম ধর্ম থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হননি!

হজরত জানিরা (রা.) এর ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আহকাফের ১১নং আয়াত নাজিল করেন। যেমন ইবনে মুনজির প্রমুখ এক রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন, হজরত ওমর (রা.) যখন মুসলমান ছিলেন না, তখন তার রানিন নাম্নী এক বাঁদি ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এ কারণে তিনি বাঁদিকে প্রচুর মারধর করতেন, যাতে সে ইসলাম ত্যাগ করে। তখন কাফের কোরাইশরা বলত, ইসলাম ভালো হলে রানিনের মতো নীচ বাঁদি আমাদের পেছনে ফেলে যেতে পারত না। এ পরিপ্রেক্ষিতেই নিম্নের আয়াত অবতীর্ণ হয়। (মাজহারি/কুতুবি)।
‘আর কাফেররা মোমিনদের বলতে লাগল, যদি এ দ্বীন ভালো হতো, তবে এরা আমাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারত না। তারা (কাফেররা) যখন এর মাধ্যমে (দ্বীনের মাধ্যমে) সুপথ পায়নি, তখন শিগগিরই বলবে এ তো (ইসলাম) এক পুরনো মিথ্যাচার!’ (সূরা আহকাফ : ১১)।
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘এমন তিনটি বস্তু রয়েছে, যে ব্যক্তির মধ্যে সেগুলো বিদ্যমান থাকবে, শুধু সে-ই এগুলোর কারণে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে পারবে। ১. যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা সব কিছু থেকে অধিক পরিমাণে রয়েছে। ২. যে ব্যক্তি কোনো বান্দাকে শুধু আল্লাহর উদ্দেশে ভালোবাসে। ৩. যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা কুফর থেকে মুক্তি দেয়ার পর পুনরায় কুফুরিতে ফিরে যাওয়াকে অনুরূপভাবে অপছন্দ করে, যেমন অপছন্দ করে অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে।’ (বোখারি/মুসলিম/মিশকাত)।
বস্তুত হজরত জানিরা (রা.) ঈমানের এমন এক স্বর্গীয় স্বাদ আস্বাদন করেছিলেন, যে কারণে কাফেরদের শত অত্যাচার-নির্যাতন ধৈর্যের ঢাল দিয়ে প্রতিহত করেছেন। আর উল্লেখিত হাদিসেও ঈমানের স্বাদের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শায়েখ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (রা.) বলেন, ‘দ্বীনের পথে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া এবং জাগতিক বিষয়ের ওপর দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়ার মনোবৃত্তি গড়ে ওঠাই হলো ঈমানের বিশেষ স্বাদ’
হাদিসের অপর অংশে বলা হয়েছে. ঈমান গ্রহণ করার পর পুনরায় কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে তেমনটাই অপছন্দ করে, যেমন অপছন্দ করে অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে। আল্লামা আইনি (রা.) এর ব্যাখ্যায় বলেন, এর দ্বারা ওই ব্যক্তির মর্যাদা ফুটে উঠেছে যাকে কুফরের ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে; কিন্তু এ অবস্থা থেকে বাঁচার চেয়ে সে মৃত্যুকে অধিক পছন্দ করে। (ফতহুল মুলহিম)।
হজরত জানিরা (রা.) কেও মক্কার কাফেররা ঈমান থেকে কুফুরিতে ফিরে আসার জন্য সীমাহীন নির্যাতন করেছে। কিন্তু এর চেয়ে তিনি মৃত্যুকেই অধিক পছন্দ করতেন।
একবার রাসুল (সা.) সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফি (রা.) কে বলেলন, ‘বলো! আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি, অতঃপর এর ওপর ইস্তিকামাত তথা অবিচল থাকো।’ (মুসলিম/মেশকাত)। শরিয়তের পরিভাষায় অনুকূল ও প্রতিকূল সর্বাবস্থায় ঈমানের ওপর অবিচল থাকাকে ইস্তিকামাত (অবিচলতা) বলা হয়। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকাই ইস্তিকামাত! খেকশিয়ালের মতো সুবিধাবাদীর ভূমিকায় থেকো না!’
অনুকূল পরিবেশে দ্বীন ও ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কাছে অনেকটা সহজ মনে হলেও বৈরী বা প্রতিকূল অবস্থায় ঈমানের ওপর অবিচল থাকা যে কতটা কষ্টের, তা প্রাক-ইসলাম যুগের স্বর্ণমানব হজরত খুবাইব, খাব্বাব, বেলাল, সুহাইব, আম্মার, সুমাইয়া (রা.) এদের মতো মহান ব্যক্তিই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন! বস্তুত দ্বীনের ওপর অটল থাকা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এ জন্যই সুফিয়ায়ে কেরামরা বলেছেন, ‘দ্বীনের ওপর অটল ও দৃঢ় থাকা সহস্রাধিক কারামাত থেকেও উত্তম! তাই তো ইমাম গাজ্জালি (রা.) বলেন, ‘পার্থিব জীবনে দ্বীনের ওপর ইস্তিকামাতের অধিকারী হওয়া এমন কঠিন, যেমন পুলসিরাত অতিক্রম করা কঠিন!’
কাফের-মুশরিকদের অমানবিক অত্যাচারে এক সময় হজরত জানিরা (রা.) তার চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন মুশরিকরা বলতে লাগল ‘লাত, উজ্জা, তাকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে।’ জানিরা (রা.) তখনই বললেন, ‘আরে তোমাদের লাত, উজ্জা তো এটাও জানে না যে, কে তার পূজা করছে! আমার চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া এটা আমার রবের পক্ষ থেকেই হয়েছে। আল্লাহ যদি চান তবে আমার দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরিয়ে দিতে পারেন! দয়াময় প্রভু তাঁর কুদরতের কারিশমা দিখিয়েছেন।’ পরদিন ভোরে দেখা গেল জানিরা (রা.) এর চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে এসেছে। তখন কাফেররা বলতে লাগল, ‘মুহাম্মদ তাকে জাদু করেছে।’ ঈমানের নূর হজরত জানিরা (রা.) কে এমন ধৈর্যসীমার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিয়েছিল যে, মুশরিকদের অমানুষিক নির্যাতন নিপীড়ন কোনোই কাজে আসেনি। নিষ্ফল আর ব্যর্থ হয়েছে কাফেরদের কূটকৌশল! বিজয়ী ও সফলকাম হয়েছে ঈমানের মহাশক্তি! অবশেষে হজরত আবু বকর (রা.) এ স্বর্ণমানবীকে খরিদ করে আজাদ (মুক্ত) করে দেন।
ভাষান্তর : নাসরুল আমীন সিরাজী
উর্দু সিরাতে মুস্তফা অবলম্বনে

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈমানদীপ্ত মহিলা সাহাবি হজরত জানিরা (রা.)

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইসলাম গ্রহণ করার কারণে যেসব মনীষী কাফেরদের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের অন্যতম একজন হলেন অপ্রসিদ্ধ সাহাবি মনীষা হজরত জানিরা (রা.)। অবশ্য তাফসিরে মাজহারিতে তার নাম ‘রানিন’ বলা হয়েছে। তিনি হজরত ওমর (রা.) এর দাসী ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার কারণে হজরত ওমর (রা.) (মুসলমান হওয়ার আগে) তাকে প্রচুর প্রহার করতেন। এমনকি হজরত জানিরা (রা.) বেহুঁশ হয়ে যেতেন। আবু জাহেলও তাকে অনেক কষ্ট দিত ইসলাম পরিত্যাগ করতে; কিন্তু জানিরা (রা.) ইসলাম ধর্ম থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হননি!

হজরত জানিরা (রা.) এর ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আহকাফের ১১নং আয়াত নাজিল করেন। যেমন ইবনে মুনজির প্রমুখ এক রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন, হজরত ওমর (রা.) যখন মুসলমান ছিলেন না, তখন তার রানিন নাম্নী এক বাঁদি ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এ কারণে তিনি বাঁদিকে প্রচুর মারধর করতেন, যাতে সে ইসলাম ত্যাগ করে। তখন কাফের কোরাইশরা বলত, ইসলাম ভালো হলে রানিনের মতো নীচ বাঁদি আমাদের পেছনে ফেলে যেতে পারত না। এ পরিপ্রেক্ষিতেই নিম্নের আয়াত অবতীর্ণ হয়। (মাজহারি/কুতুবি)।
‘আর কাফেররা মোমিনদের বলতে লাগল, যদি এ দ্বীন ভালো হতো, তবে এরা আমাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারত না। তারা (কাফেররা) যখন এর মাধ্যমে (দ্বীনের মাধ্যমে) সুপথ পায়নি, তখন শিগগিরই বলবে এ তো (ইসলাম) এক পুরনো মিথ্যাচার!’ (সূরা আহকাফ : ১১)।
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘এমন তিনটি বস্তু রয়েছে, যে ব্যক্তির মধ্যে সেগুলো বিদ্যমান থাকবে, শুধু সে-ই এগুলোর কারণে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে পারবে। ১. যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা সব কিছু থেকে অধিক পরিমাণে রয়েছে। ২. যে ব্যক্তি কোনো বান্দাকে শুধু আল্লাহর উদ্দেশে ভালোবাসে। ৩. যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা কুফর থেকে মুক্তি দেয়ার পর পুনরায় কুফুরিতে ফিরে যাওয়াকে অনুরূপভাবে অপছন্দ করে, যেমন অপছন্দ করে অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে।’ (বোখারি/মুসলিম/মিশকাত)।
বস্তুত হজরত জানিরা (রা.) ঈমানের এমন এক স্বর্গীয় স্বাদ আস্বাদন করেছিলেন, যে কারণে কাফেরদের শত অত্যাচার-নির্যাতন ধৈর্যের ঢাল দিয়ে প্রতিহত করেছেন। আর উল্লেখিত হাদিসেও ঈমানের স্বাদের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শায়েখ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (রা.) বলেন, ‘দ্বীনের পথে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া এবং জাগতিক বিষয়ের ওপর দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়ার মনোবৃত্তি গড়ে ওঠাই হলো ঈমানের বিশেষ স্বাদ’
হাদিসের অপর অংশে বলা হয়েছে. ঈমান গ্রহণ করার পর পুনরায় কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে তেমনটাই অপছন্দ করে, যেমন অপছন্দ করে অগ্নিকু-ে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে। আল্লামা আইনি (রা.) এর ব্যাখ্যায় বলেন, এর দ্বারা ওই ব্যক্তির মর্যাদা ফুটে উঠেছে যাকে কুফরের ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে; কিন্তু এ অবস্থা থেকে বাঁচার চেয়ে সে মৃত্যুকে অধিক পছন্দ করে। (ফতহুল মুলহিম)।
হজরত জানিরা (রা.) কেও মক্কার কাফেররা ঈমান থেকে কুফুরিতে ফিরে আসার জন্য সীমাহীন নির্যাতন করেছে। কিন্তু এর চেয়ে তিনি মৃত্যুকেই অধিক পছন্দ করতেন।
একবার রাসুল (সা.) সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ছাকাফি (রা.) কে বলেলন, ‘বলো! আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি, অতঃপর এর ওপর ইস্তিকামাত তথা অবিচল থাকো।’ (মুসলিম/মেশকাত)। শরিয়তের পরিভাষায় অনুকূল ও প্রতিকূল সর্বাবস্থায় ঈমানের ওপর অবিচল থাকাকে ইস্তিকামাত (অবিচলতা) বলা হয়। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত থাকাই ইস্তিকামাত! খেকশিয়ালের মতো সুবিধাবাদীর ভূমিকায় থেকো না!’
অনুকূল পরিবেশে দ্বীন ও ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা আমাদের কাছে অনেকটা সহজ মনে হলেও বৈরী বা প্রতিকূল অবস্থায় ঈমানের ওপর অবিচল থাকা যে কতটা কষ্টের, তা প্রাক-ইসলাম যুগের স্বর্ণমানব হজরত খুবাইব, খাব্বাব, বেলাল, সুহাইব, আম্মার, সুমাইয়া (রা.) এদের মতো মহান ব্যক্তিই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন! বস্তুত দ্বীনের ওপর অটল থাকা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এ জন্যই সুফিয়ায়ে কেরামরা বলেছেন, ‘দ্বীনের ওপর অটল ও দৃঢ় থাকা সহস্রাধিক কারামাত থেকেও উত্তম! তাই তো ইমাম গাজ্জালি (রা.) বলেন, ‘পার্থিব জীবনে দ্বীনের ওপর ইস্তিকামাতের অধিকারী হওয়া এমন কঠিন, যেমন পুলসিরাত অতিক্রম করা কঠিন!’
কাফের-মুশরিকদের অমানবিক অত্যাচারে এক সময় হজরত জানিরা (রা.) তার চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন মুশরিকরা বলতে লাগল ‘লাত, উজ্জা, তাকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে।’ জানিরা (রা.) তখনই বললেন, ‘আরে তোমাদের লাত, উজ্জা তো এটাও জানে না যে, কে তার পূজা করছে! আমার চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়া এটা আমার রবের পক্ষ থেকেই হয়েছে। আল্লাহ যদি চান তবে আমার দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরিয়ে দিতে পারেন! দয়াময় প্রভু তাঁর কুদরতের কারিশমা দিখিয়েছেন।’ পরদিন ভোরে দেখা গেল জানিরা (রা.) এর চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে এসেছে। তখন কাফেররা বলতে লাগল, ‘মুহাম্মদ তাকে জাদু করেছে।’ ঈমানের নূর হজরত জানিরা (রা.) কে এমন ধৈর্যসীমার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিয়েছিল যে, মুশরিকদের অমানুষিক নির্যাতন নিপীড়ন কোনোই কাজে আসেনি। নিষ্ফল আর ব্যর্থ হয়েছে কাফেরদের কূটকৌশল! বিজয়ী ও সফলকাম হয়েছে ঈমানের মহাশক্তি! অবশেষে হজরত আবু বকর (রা.) এ স্বর্ণমানবীকে খরিদ করে আজাদ (মুক্ত) করে দেন।
ভাষান্তর : নাসরুল আমীন সিরাজী
উর্দু সিরাতে মুস্তফা অবলম্বনে