বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের শিক্ষা খাতে কোচিং সেন্টার ও গাইড বই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক বিগত কয়েক যুগের। এর পক্ষে-বিপক্ষে আছে বহু মানুষ, বহু যুক্তি। তবে, সাধারণভাবে রাষ্ট্রীয় নীতি ও আইনকানুন কোচিং সেন্টার ও গাইড বইকে নিরুৎসাহিত করার পক্ষে। তারপরও এসব বাণিজ্য অবাধেই চলে আসছে। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের অসহায়ত্ব বেশ স্পষ্ট।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তাথৈ। ঢাকার স্বনামখ্যাত স্কুল ভিকারুননিসা থেকে এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেবে। ছোট্ট শিশুদের এই পরীক্ষার জন্য মাসের পর মাস নিতে হচ্ছে কোচিংয়ের মতো বাড়তি চাপ, যা স্কুলেই হয়।
নানা স্কুলে এমন কোচিং চলে। আবার স্কুলের শিক্ষকরা নিজের বাসায় ছাত্রদের কোচিং করায়। এই দুই আয়োজনের বাইরে বাণিজ্যিকভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই শহরগুলোতে কোচিং সেন্টার নামে অগণিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এসব কোচিং সেন্টারের প্রচলন কবে থেকে শুরু হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে তার দিনক্ষণ কোথাও পাওয়া না গেলেও শিক্ষাবিদদের পর্যবেক্ষণেএর বয়স চার-দশকের বেশি।
কোনো পরিবারে ছাত্র বা ছাত্রী থাকলে তাকে স্কুলের বাইরে বাড়তি পড়ানোর জন্য আবাসিক শিক্ষক রাখা হতো। জায়গীর নামে এই প্রথা কালক্রমে পাল্টে ‘প্রাইভেট টিউশনি” বা অনাবাসিক শিক্ষকের প্রচলন ঘটে। তারপর শুরু হয় শিক্ষকদের ব্যাচে ছাত্র পড়ানোর চর্চা। এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পর বিশেষ করে আশির দশকে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠে কোচিং সেন্টারের মতো লাভজনক উদ্যোগ।
একইসাথে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড বইয়ের বিপুল প্রচলন ঘটে। যার উপর বিশাল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর নির্ভরতা তৈরি হয়।
খোদ রাজধানীর বহু এলাকা আছে যেখানে কোচিং সেন্টারের ব্যানার সাইনবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের ভিড়ে অন্যসব কিছু ঢেকে যায়। বহু বইয়ের দোকান আছে পাঠ্যপুস্তকের চেয়ে গাইড বইয়ে ঠাসা।