ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জানুয়ারিতেই পাঠ্যবই পাবে শিক্ষার্থীরা

উৎসব না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃপক্ষ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। তবে বই উৎসব করে অর্থ অপচয় করা হবে না।

তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই চলে যাবে। আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মূল পাঁচটি বই আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই দিতে পারবো বলে আশা করছি। এতে ৭৫ শতাংশ বইয়ের জোগান সম্ভব হবে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো ৯০ শতাংশ বই ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে আসা। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাবে। মাধ্যমিকের এক কোটি বই ছাপানোর জন্য সরাসরি আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দিয়েছি সরাসরি ডিপিএম (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যাটার) পদ্ধতিতে, যাতে বই ছাপার প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয়।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। এর মধ্যে মাদরাসার এবতেদায়ি ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখ এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ২০ লাখ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই উৎসব করে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হতো। তবে এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলেও বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জানুয়ারিতেই পাঠ্যবই পাবে শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

উৎসব না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃপক্ষ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। তবে বই উৎসব করে অর্থ অপচয় করা হবে না।

তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই চলে যাবে। আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মূল পাঁচটি বই আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই দিতে পারবো বলে আশা করছি। এতে ৭৫ শতাংশ বইয়ের জোগান সম্ভব হবে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো ৯০ শতাংশ বই ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে আসা। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাবে। মাধ্যমিকের এক কোটি বই ছাপানোর জন্য সরাসরি আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দিয়েছি সরাসরি ডিপিএম (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যাটার) পদ্ধতিতে, যাতে বই ছাপার প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয়।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। এর মধ্যে মাদরাসার এবতেদায়ি ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখ এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ২০ লাখ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই উৎসব করে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হতো। তবে এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলেও বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।