ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে বর্ষার হাসিতে ফুটেছে কদম ফুল

বাঙালি ও কদম ফুল একই সূত্রে গাঁথা৷ কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে  প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে৷ কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত৷ প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল৷ আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম৷ বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল৷ হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে৷ বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভূতি৷ আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়৷ বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে৷ আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ৷

গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো৷ মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত৷ কিন্ত আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে৷ কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে৷ লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না৷ কদম গাছের জায়গায় মেহগিনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা৷ তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে৷

গাছে ফোটা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে৷ সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া   দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু৷ আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগতো রয়েছেই৷ সৌভাগ্যক্রমে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন জনপদে এ কদম ফুল গাছটি এখনও টিকে রয়েছে৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

চিরিরবন্দরে বর্ষার হাসিতে ফুটেছে কদম ফুল

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬

বাঙালি ও কদম ফুল একই সূত্রে গাঁথা৷ কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে  প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে৷ কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত৷ প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল৷ আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম৷ বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল৷ হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে৷ বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভূতি৷ আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়৷ বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে৷ আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ৷

গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো৷ মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত৷ কিন্ত আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে৷ কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে৷ লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না৷ কদম গাছের জায়গায় মেহগিনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা৷ তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে৷

গাছে ফোটা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে৷ সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া   দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু৷ আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগতো রয়েছেই৷ সৌভাগ্যক্রমে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন জনপদে এ কদম ফুল গাছটি এখনও টিকে রয়েছে৷