ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

চিরিরবন্দরে বর্ষার হাসিতে ফুটেছে কদম ফুল

বাঙালি ও কদম ফুল একই সূত্রে গাঁথা৷ কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে  প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে৷ কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত৷ প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল৷ আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম৷ বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল৷ হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে৷ বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভূতি৷ আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়৷ বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে৷ আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ৷

গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো৷ মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত৷ কিন্ত আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে৷ কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে৷ লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না৷ কদম গাছের জায়গায় মেহগিনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা৷ তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে৷

গাছে ফোটা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে৷ সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া   দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু৷ আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগতো রয়েছেই৷ সৌভাগ্যক্রমে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন জনপদে এ কদম ফুল গাছটি এখনও টিকে রয়েছে৷

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

চিরিরবন্দরে বর্ষার হাসিতে ফুটেছে কদম ফুল

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬

বাঙালি ও কদম ফুল একই সূত্রে গাঁথা৷ কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে  প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে৷ কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত৷ প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল৷ আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম৷ বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল৷ হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে৷ বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভূতি৷ আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়৷ বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে৷ আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ৷

গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো৷ মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত৷ কিন্ত আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে৷ কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে৷ লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না৷ কদম গাছের জায়গায় মেহগিনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা৷ তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে৷

গাছে ফোটা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে৷ সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া   দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু৷ আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগতো রয়েছেই৷ সৌভাগ্যক্রমে চিরিরবন্দরে বিভিন্ন জনপদে এ কদম ফুল গাছটি এখনও টিকে রয়েছে৷