গুলশানের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর থেকে জঙ্গি হিসেবে যে পাঁচজনের লাশের ছবি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের নাম সাইফুল তালুকদার।
তিনি জঙ্গি নন, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর শেফ বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক সাদাত মেহেদি।
পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো একটি ই-মেইলে তার নাম আকাশ বলে উল্লেখ করা হয়।
সাইফুল তালুকদারের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা কলুকাঠি গ্রামে বলে জানা গেছে।
রেস্তোরাঁয় হামলার খবরের সংবাদ টিভিতে দেখে শনিবার সকালে দুই বোন সাইফুলকে খুঁজতে গুলশানে আসেন। এ সময় তাদের একজন মোবাইলে সাইফুলের শেফের পোশাক পরা ছবি সাংবাদিকদের দেখান।
অন্যদিকে তার ভায়রা কবির লাশ নিতে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সাইফুল আগে দেশের বাইরে ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি আর্টিজানে শেফের চাকরি নেন।
এদিকে রোববার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইফুল তালুদারকে নিহত জঙ্গিদের তালিকায় দেখানোর বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এসময় তার সঙ্গে থাকা পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, ‘এরা (বন্দুকধারী) নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত হতে দেন। এরপর বলা যাবে আসলে তারা কারা।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজেন রেস্তোরাঁয় একদল অস্ত্রধারী ঢুকে বিদেশীসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সেখান থেকে ২০টি মৃতদেহ বের করা হয় যাদেরকে রাতেই গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে আইএসপিআর জানিয়েছে। নিহতদের ১৭ জন বিদেশী এবং তিনজন বাংলাদেশী।
এছাড়া হামলার শুরুতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। কমান্ডো অভিযানে ছয় বন্দুকধারী নিহত হয় আর এক বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।