বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে চর পড়াসহ প্রভাবশালীদের অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে জাটাকা ইলিশ ধরার ফলে ভোলার মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
একই সাথে জেলেদের সঠিকভাবে নিবন্ধিত না হওয়ায় পুনর্বাসনের চাল থেকেও প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন।
আজ দুপুরে ভোলায় ইলিশ সংরক্ষণ ও মানুষের জীবন জীবিকা বিষয়ক আলোচনা সভা ও ইলিশ নিয়ে যাদের জীবিকা তাদের গল্প নামক তথ্যচিত্রের মঞ্চস্থ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ভোলা সদর রোডের একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বুশরা নিশাতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, মজিবুর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, তোফায়েল মাস্টার, অ্যাডভোকেট তোয়াহা, ফরিদ মাঝি, জেলে নুরুন নবী প্রমুখ।
এ সময় জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশে ২ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হতো। বর্তমানে ৫ লাখ টন উৎপাদন হচ্ছে। অবশ্য ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও প্রভাবশালীদের অবৈধ জালের কারণে ইলিশ উৎপাদনে ক্ষতি হচ্ছে। ভোলায় যাদের অবৈধ জাল রয়েছে, তাদের দ্রুত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভোলার মেঘনা থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে খুটাজালমুক্ত করা হবে। এছাড়াও তিনি দাদনদারদের কাছ থেকে নিজেদের মুক্ত হতে নিজেদেরই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য জেলেদের প্রতি আহ্বান জানান।