আগামী শনিবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ক্যাম্পসহ ভ্রাম্যমাণ অতিরিক্ত ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।’
দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকার ১২ জেলার ৪৬ উপজেলায় আরো চারদিন যে শিশুরা বাদ পড়বে তাদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’
জাতীয় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে এটি একটি ভিত্তিহীন গুজব-মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুরা কখনই অসুস্থ হয় না। এ ভিটামিনটি ডেনমার্ক থেকে আনা হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত, ডব্লিউএইচও (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত। এটি নিয়ে কোনো রকমের আশঙ্কা বা শঙ্কা নেই।’
ভিটামিন-এ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করে। ভিটামিন-এ ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমায় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য প্রতিটি উপজেলায়, জেলায় ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।