ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যম কমিশন গঠনের ঘোষণা বিভক্তি নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বিএনপি: তারেক রহমান উত্তরায় সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কোটি টাকা ও দুটি দামি গাড়ি জব্দ বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মানবাধিকার পরিপন্থী: জামায়াত সাকিবের ইনজুরি বিতর্ক, আসল রহস্য প্রকাশ করল বিসিবি যমুনায় ধরা পড়লো ৩৯ কেজির বাঘাইড় শুটিংয়ের অজানা গল্প বললেন শাকিব-চঞ্চল-নাবিলা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুড়িবোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলিয়াস কাঞ্চন দুই ভাতিজার হাতুড়িপেটায় চাচার মৃত্যু শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে

ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে : মোস্তাফা জব্বার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘মুঠোফোনের ভয়েস কলের মূল্যসীমা বেধে দেওয়া হলেও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই।

ফলে যে যার ইচ্ছেমতো দামে ইন্টারনেট বিক্রি করছে। আমি ইন্টারনেটের মূল্যসীমা (উচ্চসীমা ও নিম্নসীমা) বেধে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কিনে ডাটা বিক্রি করা যাবে না। গ্রাহক যদি ব্যান্ডউইথ কিনতে চায়, তাহলে তাদের সে সুযোগ থাকতে হবে।

ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। এই অধিকার যেন মানুষের কাছে থাকে, আমি সে চেষ্টাই করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাজের জন্য এক বছর যথেষ্ট সময়। এখন থেকেই আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করব।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর। এ বছরই সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। তাই জনগণের দৃষ্টি এখন সরকারের দিকেই থাকবে। ফলে আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হবে। আবার ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছর নতুন সরকার বাংলাদেরশের দায়িত্ব নেবে।

বিগত দিনের অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছর জনগণ তার রায় দেবে। আইসিটি খাতে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, জানতে চাইলে নবনিযুক্ত এই মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও আইসিটি শিল্প খাতে অবকাঠামো তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে চাই। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রোগ্রামিং শুরু করার মানে হয় না। প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে স্কুল থেকে। তাহলেই আমরা আগামীতে এই খাতে দক্ষ জনবল পাব।’

এ ছাড়া, টেলিকম খাতের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের বিরোধ থাকার কোনো কারণ নেই। তবে আইসিটি বিভাগের চলমান ২২টি প্রকল্প বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকেও (টেশিস) ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হতে দেবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলা হবে।’

ফোনে যখন-তখন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় এসএমএস আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রাণের দাবি এটি। সবাই কমবেশি এ সমস্যায় ভোগেন। এটা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মতবিনিময় সভায় তথ্য উপদেষ্টা আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যম কমিশন গঠনের ঘোষণা

ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে : মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ইন্টারনেটের মূল্যসীমা বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘মুঠোফোনের ভয়েস কলের মূল্যসীমা বেধে দেওয়া হলেও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সীমা নেই।

ফলে যে যার ইচ্ছেমতো দামে ইন্টারনেট বিক্রি করছে। আমি ইন্টারনেটের মূল্যসীমা (উচ্চসীমা ও নিম্নসীমা) বেধে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কিনে ডাটা বিক্রি করা যাবে না। গ্রাহক যদি ব্যান্ডউইথ কিনতে চায়, তাহলে তাদের সে সুযোগ থাকতে হবে।

ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। এই অধিকার যেন মানুষের কাছে থাকে, আমি সে চেষ্টাই করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাজের জন্য এক বছর যথেষ্ট সময়। এখন থেকেই আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করব।’

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর। এ বছরই সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করবে। তাই জনগণের দৃষ্টি এখন সরকারের দিকেই থাকবে। ফলে আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হবে। আবার ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছর নতুন সরকার বাংলাদেরশের দায়িত্ব নেবে।

বিগত দিনের অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই আগামী বছর জনগণ তার রায় দেবে। আইসিটি খাতে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, জানতে চাইলে নবনিযুক্ত এই মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও আইসিটি শিল্প খাতে অবকাঠামো তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

স্কুল পর্যায় থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে চাই। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রোগ্রামিং শুরু করার মানে হয় না। প্রোগ্রামিং শুরু করতে হবে স্কুল থেকে। তাহলেই আমরা আগামীতে এই খাতে দক্ষ জনবল পাব।’

এ ছাড়া, টেলিকম খাতের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের বিরোধ থাকার কোনো কারণ নেই। তবে আইসিটি বিভাগের চলমান ২২টি প্রকল্প বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

টেলিফোন শিল্প সংস্থাকেও (টেশিস) ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হতে দেবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলা হবে।’

ফোনে যখন-তখন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় এসএমএস আসা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রাণের দাবি এটি। সবাই কমবেশি এ সমস্যায় ভোগেন। এটা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীসহ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।