ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে বিপদে পড়বে ২৮ লাখ শ্রমিক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগে করেছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গত ১৫ বছর ধরে বিড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে। অথচ সে হারে বাড়ছে না সিগারেটে।

আর অন্য কোনো কাজের ব্যবস্থা না করে এ শিল্প বন্ধ করে দিলে চরম বিপাকে পড়বে এ খাতে জড়িত ২৮ লাখের বেশি মানুষ। বিড়ি শিল্পে জড়িত মালিক-শ্রমিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে প্রতিহাজার বিড়িতে শুল্কের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর নিম্ন স্তরের সিগারেটে প্যাকেট প্রতি শুল্কের পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশ। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিহাজার বিড়িতে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

আর নিম্নস্তরের সিগারেটে প্যাকেট প্রতি শুল্কের পরিমাণ হয়েছে ৬৭ শতাংশ। ফলে প্রতি অর্থবছরে বিড়িতে ট্যাক্সের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বলছে, রংপুর বিভাগে প্রায় ৩৫০টি, রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৫০টি, ঢাকা বিভাগে প্রায় ৩০টি, খুলনা বিভাগে প্রায় ৪০টি, ময়মনসিংহ বিভাগে প্রায় ২৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ১৫টি ও কুমিল্লা বিভাগে প্রায় ৩০টির মতো বিড়ির কারখানা আছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৫৪০ বিড়ি কারখানা সচল রয়েছে।

এরমধ্যে রংপুর বিভাগে বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা ১১ লাখ, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ, ঢাকা বিভাগে ৮০ হাজার, খুলনা বিভাগে ৭৫ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ হাজার, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার, কুমিল্লা বিভাগে ৩৫ হাজার ও বরিশাল বিভাগে ৬০ হাজার বিড়ি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে তামাক চাষিরাও এ শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জানা যায়, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে বাণিজ্যিকভিত্তিতে তামাক চাষ হয়।

আর এসব জেলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এখাতে ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ২ লাখ। সবমিলিয়ে বর্তমানে বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে বিপদে পড়বে ২৮ লাখ শ্রমিক

আপডেট টাইম : ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগে করেছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গত ১৫ বছর ধরে বিড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে। অথচ সে হারে বাড়ছে না সিগারেটে।

আর অন্য কোনো কাজের ব্যবস্থা না করে এ শিল্প বন্ধ করে দিলে চরম বিপাকে পড়বে এ খাতে জড়িত ২৮ লাখের বেশি মানুষ। বিড়ি শিল্পে জড়িত মালিক-শ্রমিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে প্রতিহাজার বিড়িতে শুল্কের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর নিম্ন স্তরের সিগারেটে প্যাকেট প্রতি শুল্কের পরিমাণ ছিল ৫০ শতাংশ। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিহাজার বিড়িতে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

আর নিম্নস্তরের সিগারেটে প্যাকেট প্রতি শুল্কের পরিমাণ হয়েছে ৬৭ শতাংশ। ফলে প্রতি অর্থবছরে বিড়িতে ট্যাক্সের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বলছে, রংপুর বিভাগে প্রায় ৩৫০টি, রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৫০টি, ঢাকা বিভাগে প্রায় ৩০টি, খুলনা বিভাগে প্রায় ৪০টি, ময়মনসিংহ বিভাগে প্রায় ২৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ১৫টি ও কুমিল্লা বিভাগে প্রায় ৩০টির মতো বিড়ির কারখানা আছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৫৪০ বিড়ি কারখানা সচল রয়েছে।

এরমধ্যে রংপুর বিভাগে বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা ১১ লাখ, রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ, ঢাকা বিভাগে ৮০ হাজার, খুলনা বিভাগে ৭৫ হাজার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ হাজার, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার, কুমিল্লা বিভাগে ৩৫ হাজার ও বরিশাল বিভাগে ৬০ হাজার বিড়ি শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে তামাক চাষিরাও এ শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জানা যায়, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে বাণিজ্যিকভিত্তিতে তামাক চাষ হয়।

আর এসব জেলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এখাতে ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ২ লাখ। সবমিলিয়ে বর্তমানে বিড়ি শ্রমিক, তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা।