ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাকালুকি হাওরে বেশি এসেছে ‘পিয়াং হাঁস’

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীত মৌসুমে এবার হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখি হিসেবে সবচেয়ে বেশি এসেছে পিয়াং হাঁস (এধফধিষষ)। হাকালুকি হাওরে অনুষ্ঠিত জলচল পাখিশুমারিতে মোট পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ৪৪ প্রজাতির প্রায় ৪৫ হাজার ১০০টি। হাকালুকি হাওরে সবচেয়ে বেশি পাখি পাওয়া গেলো হাওরখাল বিলে। এখানে মোট পাখির সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৩৫টি।

পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক আজ রোববার সকালে বলেন, ক্রেল প্রজেক্টের সহযোগিতায় ৫ বছর ধরে আমরা হাকালুকিতে গণণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। ৪ ফেব্রুয়ারী পাখিশুমারিতে জলচর পাখির সংখ্যা ৪৫ হাজার ১০০টি পাখির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পাখির সংখ্যার দিক থেকে এ বছরটি সেকেন্ড বেস্ট ইয়ার। গত বছর ছিল সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এই তিন বছরের চেয়ে বেশি পেয়েছি এবার। তবে গত বছরের চেয়ে কম। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ পাখি পেলাম আমরা। পরিযায়ী পাখিদের প্রজাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যেমন ধরুন, ধুপনি বকের সংখ্যা বেড়ে গেলো অথবা এশীয়-শামখোল সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলো, তাহলে মোট সংখ্যা তো বেড়ে যাবে। কিন্তু ধরেন, আগে কয়েক প্রজাতির হাঁস আসতো, এখন আসেই না। এভাবেই প্রজাতি-সংখ্যাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হাকালুকি হাওরে এবারের পাখিশুমারিতে বেশি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি পাওয়া গেছে পিয়াং হাঁস। এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ৫ হাজার ৬৭৫টি। এদের দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৪৩ সেন্টিমিটার। দেহ বাদামি। তবে পুরুষের রয়েছে কালচে বাদামি দেহ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

হাকালুকি হাওরে বেশি এসেছে ‘পিয়াং হাঁস’

আপডেট টাইম : ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীত মৌসুমে এবার হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখি হিসেবে সবচেয়ে বেশি এসেছে পিয়াং হাঁস (এধফধিষষ)। হাকালুকি হাওরে অনুষ্ঠিত জলচল পাখিশুমারিতে মোট পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ৪৪ প্রজাতির প্রায় ৪৫ হাজার ১০০টি। হাকালুকি হাওরে সবচেয়ে বেশি পাখি পাওয়া গেলো হাওরখাল বিলে। এখানে মোট পাখির সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৩৫টি।

পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক আজ রোববার সকালে বলেন, ক্রেল প্রজেক্টের সহযোগিতায় ৫ বছর ধরে আমরা হাকালুকিতে গণণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। ৪ ফেব্রুয়ারী পাখিশুমারিতে জলচর পাখির সংখ্যা ৪৫ হাজার ১০০টি পাখির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পাখির সংখ্যার দিক থেকে এ বছরটি সেকেন্ড বেস্ট ইয়ার। গত বছর ছিল সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ এই তিন বছরের চেয়ে বেশি পেয়েছি এবার। তবে গত বছরের চেয়ে কম। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ পাখি পেলাম আমরা। পরিযায়ী পাখিদের প্রজাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যেমন ধরুন, ধুপনি বকের সংখ্যা বেড়ে গেলো অথবা এশীয়-শামখোল সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলো, তাহলে মোট সংখ্যা তো বেড়ে যাবে। কিন্তু ধরেন, আগে কয়েক প্রজাতির হাঁস আসতো, এখন আসেই না। এভাবেই প্রজাতি-সংখ্যাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হাকালুকি হাওরে এবারের পাখিশুমারিতে বেশি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি পাওয়া গেছে পিয়াং হাঁস। এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ৫ হাজার ৬৭৫টি। এদের দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৪৩ সেন্টিমিটার। দেহ বাদামি। তবে পুরুষের রয়েছে কালচে বাদামি দেহ।