ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিমিটেড কোম্পানি গঠন করার নিয়ম

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোম্পনি হল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। সাধারণত কোম্পানি আইনে গঠিত কোন প্রতিষ্ঠানকে কোম্পনি বলে। কোম্পানি হল আইনসৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান।

কোম্পানি গঠনের সুবিধাগুলো কি কিঃ

বৃহদায়তন পদ্ধতির উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা
ঝুঁকির পরিমান শেয়ার হোল্ডারদের কম থাকা
কোম্পানির প্রতি জনগণের আস্থা বেশি থাকা
সহজে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ থাকা
চিরন্তন অস্তিত্ব থাকা
কৃত্রিম ব্যক্ত সত্ত্বা থাকা
সহজেই মালিকানা শেয়ার হস্তান্তর যোগ্য

কোম্পনি করতে কি কি লাগেঃ

সর্বনিন্ম ২ জন উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তাদের পরিচয়পত্র

রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকাঃ

কোম্পানির ফি নির্ভর করে অথরাইজড ক্যাপিটালের উপর। কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল ১০ লক্ষ টাকা হলে সরকারি ফি হবে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো।

২০ হাজারের উপর আছে ১৫% ভ্যাট (২০,০০০*১৫%) = ৩০০০ টাকা

তাহলে দেখা যাচ্ছে মোট সরকারি খরচ ফি ২৩ হাজার টাকা

কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো বেশি হলে ফি বাড়বে আর অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো কম হলে ফি আরো কমবে। এছাড়া সরকারি ফি ছাড়াও আরো কিছু খরচ আছে যেমন, আইনজীবী ফি, অফিস ফি ডকুমেন্টেশন ফি ইত্যাদি।

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াঃ

১. কোম্পনি গঠনের জন্য প্রথমে ২ থেকে ৫০ জনের মধ্যে যেকোন সংখক উদ্যোক্তা একত্রিত হতে হবে।

২. আপনাদের কোম্পানির জন্য একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে। এখানে মনে রাখবেন আপনাদের পছন্দের নামের শেষে অবশ্যই লিমিটেড কথাটি থাকতে হবে।

৩. এবার আপনাদের পছন্দের নামটি জয়েনস্টোকের নামের তালিকায় খালি আছে কিনা তা নিচের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে দেখুন।

http://app.roc.gov.bd:7781/psp/rjschome

৪. আপনাদের পছন্দের নামটি খালি থাকলে একজন দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক পছন্দের নামটি আপনাদের নামে রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করুন।

৫. জয়েনস্টোক আপনাদের নামের আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাচাই করে সন্তুষ্ট হলে উক্ত নামের ছাড়পত্র প্রদান করবেন।

৬. নামের ছাড়পত্র পাবার পর এবার আপনারা একজন দক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানির গঠনতন্ত্র হিসাবে পরিচিত কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করতে হবে।

৭. মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করার পর এবার কোম্পানি নিবন্ধের আরো অনেকগুলো ফরম আছে উক্ত ফরম গুলো সঠিকভাবে পুরন করুন।

৮. সবকিছু সম্পাদন করার পর এবার কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন চূড়ান্তভাবে সম্পাদন করার জন্য জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইটে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সাবমিট করুন।

৯. স্ক্যান কপি সাবমিট করার পর জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইট থেকে আপনার কোম্পানির অথরাইজ ক্যাপিটালের উপর নির্বর করে নির্ধারিত ফি প্রদানের রসিদ প্রদর্শন করবে।

১০. এবার আপনাদের উল্লেখিত ফি ব্যংকে প্রদান করতে হবে।

১১. ফি জমা দেওয়ার পর মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন, ব্যংকের ফি জমা রসিদ এবং অন্যান্য অনুসাংগিক কাগজপত্র জয়েনস্টোকের অফিসে গিয়ে জমা প্রদান করতে হবে।

১২. জয়েনস্টোক থেকে আপনার প্রদানকৃত কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের কোম্পানি লাইসেন্স ( Certificate of Incorporation) প্রদান করবেন।

১৩. কোম্পানি লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাদের প্রথম কাজ হল উক্ত কোম্পানির নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খোলা।

তথ্যসুত্র: বিডি আইন কানুন ডটকম

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

লিমিটেড কোম্পানি গঠন করার নিয়ম

আপডেট টাইম : ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোম্পনি হল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। সাধারণত কোম্পানি আইনে গঠিত কোন প্রতিষ্ঠানকে কোম্পনি বলে। কোম্পানি হল আইনসৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান।

কোম্পানি গঠনের সুবিধাগুলো কি কিঃ

বৃহদায়তন পদ্ধতির উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা
ঝুঁকির পরিমান শেয়ার হোল্ডারদের কম থাকা
কোম্পানির প্রতি জনগণের আস্থা বেশি থাকা
সহজে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ থাকা
চিরন্তন অস্তিত্ব থাকা
কৃত্রিম ব্যক্ত সত্ত্বা থাকা
সহজেই মালিকানা শেয়ার হস্তান্তর যোগ্য

কোম্পনি করতে কি কি লাগেঃ

সর্বনিন্ম ২ জন উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তাদের পরিচয়পত্র

রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকাঃ

কোম্পানির ফি নির্ভর করে অথরাইজড ক্যাপিটালের উপর। কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল ১০ লক্ষ টাকা হলে সরকারি ফি হবে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো।

২০ হাজারের উপর আছে ১৫% ভ্যাট (২০,০০০*১৫%) = ৩০০০ টাকা

তাহলে দেখা যাচ্ছে মোট সরকারি খরচ ফি ২৩ হাজার টাকা

কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো বেশি হলে ফি বাড়বে আর অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো কম হলে ফি আরো কমবে। এছাড়া সরকারি ফি ছাড়াও আরো কিছু খরচ আছে যেমন, আইনজীবী ফি, অফিস ফি ডকুমেন্টেশন ফি ইত্যাদি।

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াঃ

১. কোম্পনি গঠনের জন্য প্রথমে ২ থেকে ৫০ জনের মধ্যে যেকোন সংখক উদ্যোক্তা একত্রিত হতে হবে।

২. আপনাদের কোম্পানির জন্য একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে। এখানে মনে রাখবেন আপনাদের পছন্দের নামের শেষে অবশ্যই লিমিটেড কথাটি থাকতে হবে।

৩. এবার আপনাদের পছন্দের নামটি জয়েনস্টোকের নামের তালিকায় খালি আছে কিনা তা নিচের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে দেখুন।

http://app.roc.gov.bd:7781/psp/rjschome

৪. আপনাদের পছন্দের নামটি খালি থাকলে একজন দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক পছন্দের নামটি আপনাদের নামে রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করুন।

৫. জয়েনস্টোক আপনাদের নামের আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাচাই করে সন্তুষ্ট হলে উক্ত নামের ছাড়পত্র প্রদান করবেন।

৬. নামের ছাড়পত্র পাবার পর এবার আপনারা একজন দক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানির গঠনতন্ত্র হিসাবে পরিচিত কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করতে হবে।

৭. মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করার পর এবার কোম্পানি নিবন্ধের আরো অনেকগুলো ফরম আছে উক্ত ফরম গুলো সঠিকভাবে পুরন করুন।

৮. সবকিছু সম্পাদন করার পর এবার কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন চূড়ান্তভাবে সম্পাদন করার জন্য জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইটে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সাবমিট করুন।

৯. স্ক্যান কপি সাবমিট করার পর জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইট থেকে আপনার কোম্পানির অথরাইজ ক্যাপিটালের উপর নির্বর করে নির্ধারিত ফি প্রদানের রসিদ প্রদর্শন করবে।

১০. এবার আপনাদের উল্লেখিত ফি ব্যংকে প্রদান করতে হবে।

১১. ফি জমা দেওয়ার পর মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন, ব্যংকের ফি জমা রসিদ এবং অন্যান্য অনুসাংগিক কাগজপত্র জয়েনস্টোকের অফিসে গিয়ে জমা প্রদান করতে হবে।

১২. জয়েনস্টোক থেকে আপনার প্রদানকৃত কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের কোম্পানি লাইসেন্স ( Certificate of Incorporation) প্রদান করবেন।

১৩. কোম্পানি লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাদের প্রথম কাজ হল উক্ত কোম্পানির নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খোলা।

তথ্যসুত্র: বিডি আইন কানুন ডটকম