বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব চাল বিতরন করা হয় গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত।
অভিযোগ ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ২২ হাজার ২৩৪ জন গরীব দুঃস্থ্যদের তালিকা প্রনয়ন করে তাদের খাদ্য বান্ধব কমর্সূচীর রেশনিং কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এজন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে ৫৩ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। রেশনিং কার্ড প্রাপ্তরা ডিলারদের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিবস্তা (৩০কেজি) চাল ক্রয় করতে পারবে। কিন্তু ডিলাররা কার্ড প্রাপ্তদের কাছ ৩০০ টাকার স্থলে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা করে আদায় করেছে।
পুটিমারী ছাদুরারপুল পয়েন্টের ডিলার ও ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মুকুল হোসেন আব্দুল্লাহ রেশনিং উপকার ভোগিদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে আদায় করেছেন। পুটিমারী ৩ নম্বর ওয়াডের মানিক চন্দ্র কার্ড নম্বর ৭০০, কাঞ্চন অধিকারী কার্ড নম্বর ৭০১, তারা অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এরকম ভুক্তভোগি সেরাজুল ইসলাম কার্ড নম্বর ১৮০৭, মাহুবার রহমান কার্ড নম্বর ১০০২, খলিল মিয়া নম্বর ১৮১৩, এরা সবাই বলেন ডিলাবরা অতিরিক্ত ২০ থেকে ৩০ টাকা না দিলে চাল দেয়না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, কয়েকজন ডিলার বলেন চাল উত্তোলনের সময় খাদ্য গোডাউনের কর্মকর্তাকে দিতে হয় ২ হাজার ৪০০টাকা। আবার চাল বিতরন শেষে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কর্যলয়ে দিতে ৫০০ টাকা। আমরা অতিরিক্ত টাকা না নিলে তাদের কোথায় পেয়ে টাকা দিব।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি ডিলারদের অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে আমার অফিসে ডিলারদের টাকা দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা ডিরারদের কাছ থেকে লেবার খরচ বাদে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকলে তা নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন ডিলারদের অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে আইন মোতাবেক তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থ্য নেয়া হবে।