ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইক্কা হাওরের বিলে বিরল পরিযায়ী ‘খয়রা কাস্তেচরা’

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কয়েকদিন বাদেই তাদের ফিরে যাওয়ার পালা। মার্চের শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে তারা ফিরে যাবে, যেখান থেকে তারা এসেছিল আমাদের জলাশয়ে। ফিরে যাওয়ার এ যাত্রায় রয়েছে ডানায় ভর করে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন। প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরুতে বাইক্কা বিল ভরে উঠে পরিযায়ী পাখিদের কলতানে।

বিভিন্ন প্রজাতির জলচর পাখি পৃথিবীর উত্তরগোলার্ধ থেকে ছুটে আসে বাংলাদেশের জলশয়গুলোতে। নির্দিষ্ট তিন থেকে চার মাস কাটিয়ে সময় হয়েছে পরিযায়ীদের ফিরে যাওয়ার। এসব পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম ‘খয়রা কাস্তেচরা’। এদের শরীরে রয়েছে গাঢ় তামাটে আর ধাতব সবুজ-বেগুনির সৌন্দর্য। এ পাখিদের সহজে দেখা যায় না। বেশিরভাগ সময় বাইক্কা বিলের মধ্যিখানে অবস্থান করে। অন্যপ্রজাতির পাখিদের ভিড়ে তারা নিজেকে সুরক্ষা দান করে।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে বাইক্কা বিলে পরিযায়ীদের মিলনমেলায় ভরে উঠলো। দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ রাখতেই নানা প্রজাতির পাখিদের জীবন্ত ছবিগুলো ভেসে এলো। এগুলো চোখের দ্বারা হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে অসম্ভব ভালো লাগার জন্ম দিয়ে চলেছে। ‘খয়রা কাস্তেচরা’দের দেখা গেল। তারা বিরতিহীনভাবে কাদায় মুখ গুঁজে খাবারের অনুসন্ধানে গভীর ব্যস্ত!

আমাদের মিঠা পানির অগভীর জলাশয়গুলোতে সম্মিলিতভাবে বিচরণ করে এরা। বিশেষ করে জলজ উদ্ভিদে ঢাকা হাওর-বিল অথবা কৃষি জমিগুলোতে একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়।

ঘন উদ্ভিদ সমৃদ্ধ জলাশয় এড়িয়ে চলে ‘খয়রা কাস্তেচরা’ । স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমিতেও শিকার খোঁজে। শিকার খুঁজতে গিয়ে হাঁটু জলের বেশি নামে না। এরা ঝাঁক বেঁধেও বিচরণ করে।বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী সাঈদ বিন জামাল বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের বিরলপ্রায় পরিযায়ী প্রজাতি ‘খয়রা কাস্তেচরা’। একে ‘চকচকে দোচরা’ নামেও ডাকা হয়। ইংরেজিতে নাম Glossy Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Plegadis falcinellus। আমাদের দেশে বর্তমানে কদাচ হাওরে যে নমুনা দেখা যায় তা ছোট, একাকী বা মাঝারি একটি দলে থাকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাইক্কা হাওরের বিলে বিরল পরিযায়ী ‘খয়রা কাস্তেচরা’

আপডেট টাইম : ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কয়েকদিন বাদেই তাদের ফিরে যাওয়ার পালা। মার্চের শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে তারা ফিরে যাবে, যেখান থেকে তারা এসেছিল আমাদের জলাশয়ে। ফিরে যাওয়ার এ যাত্রায় রয়েছে ডানায় ভর করে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন। প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরুতে বাইক্কা বিল ভরে উঠে পরিযায়ী পাখিদের কলতানে।

বিভিন্ন প্রজাতির জলচর পাখি পৃথিবীর উত্তরগোলার্ধ থেকে ছুটে আসে বাংলাদেশের জলশয়গুলোতে। নির্দিষ্ট তিন থেকে চার মাস কাটিয়ে সময় হয়েছে পরিযায়ীদের ফিরে যাওয়ার। এসব পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম ‘খয়রা কাস্তেচরা’। এদের শরীরে রয়েছে গাঢ় তামাটে আর ধাতব সবুজ-বেগুনির সৌন্দর্য। এ পাখিদের সহজে দেখা যায় না। বেশিরভাগ সময় বাইক্কা বিলের মধ্যিখানে অবস্থান করে। অন্যপ্রজাতির পাখিদের ভিড়ে তারা নিজেকে সুরক্ষা দান করে।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে বাইক্কা বিলে পরিযায়ীদের মিলনমেলায় ভরে উঠলো। দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ রাখতেই নানা প্রজাতির পাখিদের জীবন্ত ছবিগুলো ভেসে এলো। এগুলো চোখের দ্বারা হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে অসম্ভব ভালো লাগার জন্ম দিয়ে চলেছে। ‘খয়রা কাস্তেচরা’দের দেখা গেল। তারা বিরতিহীনভাবে কাদায় মুখ গুঁজে খাবারের অনুসন্ধানে গভীর ব্যস্ত!

আমাদের মিঠা পানির অগভীর জলাশয়গুলোতে সম্মিলিতভাবে বিচরণ করে এরা। বিশেষ করে জলজ উদ্ভিদে ঢাকা হাওর-বিল অথবা কৃষি জমিগুলোতে একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়।

ঘন উদ্ভিদ সমৃদ্ধ জলাশয় এড়িয়ে চলে ‘খয়রা কাস্তেচরা’ । স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমিতেও শিকার খোঁজে। শিকার খুঁজতে গিয়ে হাঁটু জলের বেশি নামে না। এরা ঝাঁক বেঁধেও বিচরণ করে।বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী সাঈদ বিন জামাল বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের বিরলপ্রায় পরিযায়ী প্রজাতি ‘খয়রা কাস্তেচরা’। একে ‘চকচকে দোচরা’ নামেও ডাকা হয়। ইংরেজিতে নাম Glossy Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Plegadis falcinellus। আমাদের দেশে বর্তমানে কদাচ হাওরে যে নমুনা দেখা যায় তা ছোট, একাকী বা মাঝারি একটি দলে থাকে।