ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই পদে ঝুলছে বিএনপি’র পাঁচ নেতার আশা

দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে চারমাস পর বিএনপির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির ১৭ জনের নাম। এই ফাঁকা দুই পদের জন্য লড়াই চলছে বিএনপির কমপক্ষে পাঁচ সিনিয়র নেতার মধ্যে।

রাজধানীর নয়পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুমোদিত কমিটি ঘোষণা করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত স্থায়ী কমিটিতে পুরনোদের পাশপাশি নতুন মুখও যোগ হয়েছে।

পুরনো কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সারওয়ারী রহমান ও শামসুল ইসলাম। এর মধ্যে সারওয়ারী রহমানকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে। নতুন যোগ হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থায়ী কমিটির দুটি পদে মনোনীত নেতাদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে বলে ঘোষনায় উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী কমিটির শূন্য দুই পদে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ ও মো. শাহজাহানের নাম শোনা যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন আবদুল আউয়াল মিন্টুর নামও। এ পাঁচজনের মধ্যে প্রথম তিনজন সিনিয়র ভিত্তিতে আর মো. শাহজাহানের নাম এসেছে সাম্প্রতিক দলের বিভিন্ন কর্মসূচি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য। মেজর (অব.) হাফিজ এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে সূত্র জানায়।

স্থায়ী কমিটি পদপ্রত্যাশি পাঁচ নেতার মধ্যে শুধু আব্দুল্লাহ আল নোমন গণমাধ্যমে নিজের হতাশার কথা জানালেও অন্যরা একেবারেই মুখ খুলছেন। একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগযোগ করলেও এ বিষয়ে তারা কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি কমিটি সর্ম্পকে তারা কোন মন্তব্য করতেও নারাজ। নীরবের পদপ্রত্যাশি চেয়ারপারসনের আস্থা অর্জন করে কাক্ষিত পদ পেতে লবিং করে যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘণিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা হয়ে গেছে এবং খালেদা জিয়ার কয়েকটি মামলার কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাকে যে কোন মামলায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা আছে।এ অবস্থায় দলের ঐক্য ধরে রাখা কঠিন হবে। উদ্ভূত দলের ঐক্য ধরে রাখতে তুরুপের তাস হিসেবে জোবাইদা রহমানের বিকল্প নেই। বিএনপি ভাঙন ঠেকাতে এমনই কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এতে দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থায়ী কমিটির অপর পদে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমানকে দেখা যেতে পারে বলেও বিএনপি সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। কৌশলগত কারণেই দুটি পদ ঘোষণা করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন পদে আরও নেতার অন্তর্ভুক্তি হওয়ার সুযোগ আছে। কমিটির বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। হয়তো অনেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ পাচ্ছেন না, কিন্তু বিএনপির কমিটিতে থাকতে পারছেন। আর স্থায়ী কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাকে নিবেন তা তিনিই নির্বাচন করবেন। কাউন্সিলরা তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুই পদে ঝুলছে বিএনপি’র পাঁচ নেতার আশা

আপডেট টাইম : ০৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৬

দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে চারমাস পর বিএনপির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির ১৭ জনের নাম। এই ফাঁকা দুই পদের জন্য লড়াই চলছে বিএনপির কমপক্ষে পাঁচ সিনিয়র নেতার মধ্যে।

রাজধানীর নয়পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুমোদিত কমিটি ঘোষণা করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত স্থায়ী কমিটিতে পুরনোদের পাশপাশি নতুন মুখও যোগ হয়েছে।

পুরনো কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সারওয়ারী রহমান ও শামসুল ইসলাম। এর মধ্যে সারওয়ারী রহমানকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে। নতুন যোগ হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থায়ী কমিটির দুটি পদে মনোনীত নেতাদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে বলে ঘোষনায় উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী কমিটির শূন্য দুই পদে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ ও মো. শাহজাহানের নাম শোনা যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন আবদুল আউয়াল মিন্টুর নামও। এ পাঁচজনের মধ্যে প্রথম তিনজন সিনিয়র ভিত্তিতে আর মো. শাহজাহানের নাম এসেছে সাম্প্রতিক দলের বিভিন্ন কর্মসূচি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য। মেজর (অব.) হাফিজ এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে সূত্র জানায়।

স্থায়ী কমিটি পদপ্রত্যাশি পাঁচ নেতার মধ্যে শুধু আব্দুল্লাহ আল নোমন গণমাধ্যমে নিজের হতাশার কথা জানালেও অন্যরা একেবারেই মুখ খুলছেন। একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগযোগ করলেও এ বিষয়ে তারা কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি কমিটি সর্ম্পকে তারা কোন মন্তব্য করতেও নারাজ। নীরবের পদপ্রত্যাশি চেয়ারপারসনের আস্থা অর্জন করে কাক্ষিত পদ পেতে লবিং করে যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘণিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা হয়ে গেছে এবং খালেদা জিয়ার কয়েকটি মামলার কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাকে যে কোন মামলায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা আছে।এ অবস্থায় দলের ঐক্য ধরে রাখা কঠিন হবে। উদ্ভূত দলের ঐক্য ধরে রাখতে তুরুপের তাস হিসেবে জোবাইদা রহমানের বিকল্প নেই। বিএনপি ভাঙন ঠেকাতে এমনই কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এতে দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থায়ী কমিটির অপর পদে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমানকে দেখা যেতে পারে বলেও বিএনপি সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। কৌশলগত কারণেই দুটি পদ ঘোষণা করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন পদে আরও নেতার অন্তর্ভুক্তি হওয়ার সুযোগ আছে। কমিটির বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। হয়তো অনেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ পাচ্ছেন না, কিন্তু বিএনপির কমিটিতে থাকতে পারছেন। আর স্থায়ী কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাকে নিবেন তা তিনিই নির্বাচন করবেন। কাউন্সিলরা তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছেন।