ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী বাজেট অধিবেশনে উঠতে পারে বস্ত্র আইন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি বাড়ানো, দেশি চাহিদা পূরণ, দক্ষ জনবল তৈরি ও মান রক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ তৈরি করছে সরকার। এরই মধ্যে এ আইনের ভেটিং সম্পন্ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোন নিয়ে সংসদে পাস করার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত এ নতুন আইনের লক্ষ্যই হচ্ছে বস্ত্রজাত পণ্যের মান বজায় রাখা। কারণ তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। গত অর্থ বছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে।

গত অর্থ বছরে ২৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। জানা গেছে, খসড়া আইনের সেকশন ৬ অনুযায়ী, আইনটি প্রণয়নের লক্ষ্য অজর্নে যেকোনো বস্ত্রশিল্পের জন্য সরকার ইনসেন্টিভ দিতে পারবে। আইনের আলোকে একটি অধিদপ্তর গঠিত হবে। সরকার সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে। সংস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ডিজি সংস্থার রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করবেন। উৎপাদিত পণ্যে ব্যবহৃত রং ও অন্যান্য কেমিক্যালসহ অন্যান্য বিষয়ের মান যাচাই করে দেখতে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকবেন। সরকার এ ধরনের কর্মকা- পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে পারবে।

সূত্র আরো জানায়, নিবন্ধন নেওয়ার সময়ে কোনো মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে সংস্থা কোম্পানিটির নিবন্ধন বাতিল অথবা স্থগিত করতে পারবে। সরকার বায়িং হাউজগুলোও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসবে। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন করা হবে। এই আইনের মাধ্যমে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যেকোনো শিল্প পরিদর্শন করতে পারবেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিতে পারবেন। যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন।

সরকার অথবা অধিদপ্তরের নির্দেশে নির্ধারিতব্য শর্ত অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা অথবা সংস্থাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। বস্ত্র খাতে টেকসই উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে রয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় এ শিল্পের আধুনিকায়ন, সমন্বয়, মান নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে বস্ত্র আইন শীর্ষক আইনটি ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জানা গেছে, আশির দশকে বাংলাদেশে পোশাকশিল্প বিস্তারের শুরু। এ শিল্পের সংযোগ শিল্প হিসেবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগামী বাজেট অধিবেশনে উঠতে পারে বস্ত্র আইন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি বাড়ানো, দেশি চাহিদা পূরণ, দক্ষ জনবল তৈরি ও মান রক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ তৈরি করছে সরকার। এরই মধ্যে এ আইনের ভেটিং সম্পন্ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোন নিয়ে সংসদে পাস করার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত এ নতুন আইনের লক্ষ্যই হচ্ছে বস্ত্রজাত পণ্যের মান বজায় রাখা। কারণ তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। গত অর্থ বছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে।

গত অর্থ বছরে ২৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। জানা গেছে, খসড়া আইনের সেকশন ৬ অনুযায়ী, আইনটি প্রণয়নের লক্ষ্য অজর্নে যেকোনো বস্ত্রশিল্পের জন্য সরকার ইনসেন্টিভ দিতে পারবে। আইনের আলোকে একটি অধিদপ্তর গঠিত হবে। সরকার সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে। সংস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ডিজি সংস্থার রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করবেন। উৎপাদিত পণ্যে ব্যবহৃত রং ও অন্যান্য কেমিক্যালসহ অন্যান্য বিষয়ের মান যাচাই করে দেখতে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকবেন। সরকার এ ধরনের কর্মকা- পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে পারবে।

সূত্র আরো জানায়, নিবন্ধন নেওয়ার সময়ে কোনো মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে সংস্থা কোম্পানিটির নিবন্ধন বাতিল অথবা স্থগিত করতে পারবে। সরকার বায়িং হাউজগুলোও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসবে। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন করা হবে। এই আইনের মাধ্যমে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যেকোনো শিল্প পরিদর্শন করতে পারবেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে সুপারিশসংবলিত একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিতে পারবেন। যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন।

সরকার অথবা অধিদপ্তরের নির্দেশে নির্ধারিতব্য শর্ত অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা অথবা সংস্থাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। বস্ত্র খাতে টেকসই উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে রয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় এ শিল্পের আধুনিকায়ন, সমন্বয়, মান নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে বস্ত্র আইন শীর্ষক আইনটি ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জানা গেছে, আশির দশকে বাংলাদেশে পোশাকশিল্প বিস্তারের শুরু। এ শিল্পের সংযোগ শিল্প হিসেবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে।