ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলে, কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলেরা, করে হকারি।  জনগণের কণ্ঠরোধ করতেই সরকার নতুন নতুন আইন করছে।  যে আইনে এখন কথাও বলা যাবে না।  বলেই কাঁদলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নতুন নতুন আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, কোটি টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন বিধান রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন ক্রসফায়ার, একটা, দুটা, তিনটা, চারটা চলছে।  যতজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার


করা হয়েছে, একটা লোক বেঁচে আছে? সবাইকে ক্রসফায়ার, গান ব্যাটলের অদ্ভুত সব গল্প, অলীক গল্প তৈরি করে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সিগন্যালে থামে গাড়ি। হকার ছেলেপেলে, ইয়াং ছেলেপেলে সব আসে, তাদের কিছু দিতে গেলেই বলে যে, স্যার, আমি বিএনপি করতাম লক্ষ্মীপুরে।  এত মামলা যে, পালিয়ে চলে এসেছি, এখন হকারি করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা ধরে নিয়েছি শেষ জীবনেও হয়তো জেলে কাটাতে হবে।  কারণ যে মামলা আছে, সেই মামলায় যদি ৫-১০ বছর করে জেল হয়, তাহলে হিসাব করেছি তখন ২৫০ থেকে ২৬০ বছর জেলে হবে।

দেশে রাজনৈতিক স্পেস নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কথা বলারও অধিকার নেই।  কথা বললেই আটক হতে হয়।  পল্টন ময়দান, মুক্তঙ্গনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে এক সময় বিএনপি জনসভা করলেও এখন আর অনুমতি দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। গুম করে দেয়, খুঁজে পাওয়া যায় না।  বাচ্চাগুলো এখানে দাঁড়িয়ে (ডেইস) বলল আপনাদের সামনেই। দেখতে দেখতে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলে, কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলেরা, করে হকারি।  জনগণের কণ্ঠরোধ করতেই সরকার নতুন নতুন আইন করছে।  যে আইনে এখন কথাও বলা যাবে না।  বলেই কাঁদলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নতুন নতুন আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, কোটি টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন বিধান রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিন ক্রসফায়ার, একটা, দুটা, তিনটা, চারটা চলছে।  যতজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার


করা হয়েছে, একটা লোক বেঁচে আছে? সবাইকে ক্রসফায়ার, গান ব্যাটলের অদ্ভুত সব গল্প, অলীক গল্প তৈরি করে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সিগন্যালে থামে গাড়ি। হকার ছেলেপেলে, ইয়াং ছেলেপেলে সব আসে, তাদের কিছু দিতে গেলেই বলে যে, স্যার, আমি বিএনপি করতাম লক্ষ্মীপুরে।  এত মামলা যে, পালিয়ে চলে এসেছি, এখন হকারি করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা ধরে নিয়েছি শেষ জীবনেও হয়তো জেলে কাটাতে হবে।  কারণ যে মামলা আছে, সেই মামলায় যদি ৫-১০ বছর করে জেল হয়, তাহলে হিসাব করেছি তখন ২৫০ থেকে ২৬০ বছর জেলে হবে।

দেশে রাজনৈতিক স্পেস নেই দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কথা বলারও অধিকার নেই।  কথা বললেই আটক হতে হয়।  পল্টন ময়দান, মুক্তঙ্গনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে এক সময় বিএনপি জনসভা করলেও এখন আর অনুমতি দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। গুম করে দেয়, খুঁজে পাওয়া যায় না।  বাচ্চাগুলো এখানে দাঁড়িয়ে (ডেইস) বলল আপনাদের সামনেই। দেখতে দেখতে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।