ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে

ক্রিকেটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় বঙ্গবন্ধু খেলাধূলাপ্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুও ছোটবেলায় খুব খেলাধূলা পছন্দ করতেন। দাদা বলতেন বঙ্গবন্ধু ফুটবলে একটা বাড়ি দিয়েই নাকি পড়ে যেতেন। আর বাবা খুব ক্ষেপে যেতেন।

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খেলাধূলায় আরো বেশি আগ্রহী করে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট ও ফজিলাতুন নেছা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। সেটারই ফলাফল আজকের অনুর্দ্ধ ষোল চ্যাম্পিয়ন। তবে আমরা খেয়াল করে দেখেছি সুস্থ শিশুদের থেকে প্রতিবন্ধীরা


খেলায় ভালো ফল করে। স্পেশাল অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের সন্তানরা ২১টা সোনা আর ৭২ বা ৭৩টা ট্রফি নিয়ে এসেছিলো। তাদের দিকেও এখন বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। প্রতিবন্ধীদের জন্য সংসদ ভবন লাগোয়া খেলার জায়গা করে দিচ্ছি। তাদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স ও একাডেমিও করে দিচ্ছি।

খেলাধূলায় আরো বেশি বেশি সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে এসে দেখলাম বিকেএসপিতে কেবল সাপ বাস করে, কোনো খেলোয়াড় নেই। চারদিকে বড় বড় ঘাস গজিয়ে আছে। পরে আমরা এসে সেটাকে আধুনিক করার প্রচেষ্টা নিলাম। এখন প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপির ডিভিশন তৈরি করে দিচ্ছি আমরা। এর আগে প্রত্যেক জেলায় স্টেডিয়ামও বানানো হয়েছে। কক্সবাজার ও সিলেটে ও রাজশাহীতে খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। রাজশাহীতে খেলাধূলা না হওয়ার কারণ সেখানে কোনো ভালো মানের হোটেল নেই।

গ্রামের খেলাগুলোর কথা টেনে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের কিছু খেলা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেসব আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। যেমন ডাংগুলি, গোল্লাছুট। ছোট বেলায় আমরা গ্রামে গেলে ডাংগুলি খেলেছি। এখন সেসব হারাতে বসেছে। সেসব ফেরাতে স্কুলে স্কুলে কাজ শুরু করেছি।

সামনে খেলাধুলা নিয়ে আরো পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক স্টেডিয়াম করার ইচ্ছা আছে। কক্সবাজারে একটা ফুটবল মাঠ করে দিবো। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিতে চাই। তবে সেসব যেন অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়। ছোট ছোট মাঠ হবে, গ্যালারি লাগবে না। যেন মানুষ পথে যেতে আসতে খেলাধূলা দেখতে পারে। মানুষের চোখের সামনে আসলে খেলায় মানুষের আগ্রহ বাড়বে। আমি চাই দেশে খেলাধূলা আরো উন্নত হোক। জাতিসংঘ একটি তারিখ আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ডে হিসেবে পালন করে। ৬ এপ্রিল। আমরাও সেটাকে স্পোর্টস ডে হিসেবে পালন করতে পারি।

দেশের বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, স্পোর্টস ও সংস্কৃতি চর্চায় সবসময় সহযোগিতা লাগে। আমি আশা করবো দেশের বিত্তশালীরা এসব চর্চার কাজে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবেন।

%80%99#sthash.OD3W1dKy.dpuf

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে

আপডেট টাইম : ০৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ক্রিকেটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় বঙ্গবন্ধু খেলাধূলাপ্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুও ছোটবেলায় খুব খেলাধূলা পছন্দ করতেন। দাদা বলতেন বঙ্গবন্ধু ফুটবলে একটা বাড়ি দিয়েই নাকি পড়ে যেতেন। আর বাবা খুব ক্ষেপে যেতেন।

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খেলাধূলায় আরো বেশি আগ্রহী করে তুলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট ও ফজিলাতুন নেছা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। সেটারই ফলাফল আজকের অনুর্দ্ধ ষোল চ্যাম্পিয়ন। তবে আমরা খেয়াল করে দেখেছি সুস্থ শিশুদের থেকে প্রতিবন্ধীরা


খেলায় ভালো ফল করে। স্পেশাল অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের সন্তানরা ২১টা সোনা আর ৭২ বা ৭৩টা ট্রফি নিয়ে এসেছিলো। তাদের দিকেও এখন বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। প্রতিবন্ধীদের জন্য সংসদ ভবন লাগোয়া খেলার জায়গা করে দিচ্ছি। তাদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স ও একাডেমিও করে দিচ্ছি।

খেলাধূলায় আরো বেশি বেশি সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে এসে দেখলাম বিকেএসপিতে কেবল সাপ বাস করে, কোনো খেলোয়াড় নেই। চারদিকে বড় বড় ঘাস গজিয়ে আছে। পরে আমরা এসে সেটাকে আধুনিক করার প্রচেষ্টা নিলাম। এখন প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপির ডিভিশন তৈরি করে দিচ্ছি আমরা। এর আগে প্রত্যেক জেলায় স্টেডিয়ামও বানানো হয়েছে। কক্সবাজার ও সিলেটে ও রাজশাহীতে খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। রাজশাহীতে খেলাধূলা না হওয়ার কারণ সেখানে কোনো ভালো মানের হোটেল নেই।

গ্রামের খেলাগুলোর কথা টেনে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের কিছু খেলা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেসব আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। যেমন ডাংগুলি, গোল্লাছুট। ছোট বেলায় আমরা গ্রামে গেলে ডাংগুলি খেলেছি। এখন সেসব হারাতে বসেছে। সেসব ফেরাতে স্কুলে স্কুলে কাজ শুরু করেছি।

সামনে খেলাধুলা নিয়ে আরো পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক স্টেডিয়াম করার ইচ্ছা আছে। কক্সবাজারে একটা ফুটবল মাঠ করে দিবো। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিতে চাই। তবে সেসব যেন অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়। ছোট ছোট মাঠ হবে, গ্যালারি লাগবে না। যেন মানুষ পথে যেতে আসতে খেলাধূলা দেখতে পারে। মানুষের চোখের সামনে আসলে খেলায় মানুষের আগ্রহ বাড়বে। আমি চাই দেশে খেলাধূলা আরো উন্নত হোক। জাতিসংঘ একটি তারিখ আন্তর্জাতিক স্পোর্টস ডে হিসেবে পালন করে। ৬ এপ্রিল। আমরাও সেটাকে স্পোর্টস ডে হিসেবে পালন করতে পারি।

দেশের বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, স্পোর্টস ও সংস্কৃতি চর্চায় সবসময় সহযোগিতা লাগে। আমি আশা করবো দেশের বিত্তশালীরা এসব চর্চার কাজে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবেন।

%80%99#sthash.OD3W1dKy.dpuf