বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তিতকুটে স্বাদের জন্য করলা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু স্বাদ যেমনই হোক না কেন এই সবজিটির গুণের শেষ নেই। এ কারণে বিভিন্ন স্মুদি ও সবজির জুসের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য করলা মেশানো হয়ে থাকে।
রান্না করা ছাড়াও কাঁচা করলার রস এবং চা স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুকনো করলার টুকরাকে সাধারণত পানিতে ভিজিয়ে রেখে তিতকুটে স্বাদের করলা চা তৈরি করা হয়।এই চা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়।
প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চাও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
করলার রস বা চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে করলা চা। এটি বদহজম রোধ করতেও ভূমিকা রাখে।
করলার চায়ে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের যেকোন ধরনের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
করলার চা তৈরির পদ্ধতি :
উপকরণ: এই চা তৈরির জন্য কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলার টুকরো, পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু পাতা সবসময় পাওয়া যায় না তাই করলা ব্যবহার করাই ভাল।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে পানি ফুটিয়ে নিন। এবার তার মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান । এতে করলার সব পুষ্টিগুণ পানিতে মিশে যাবে। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল করলার চা। যেহেতু এই চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তাই এতে চিনি না মেশানোই ভাল।
সূত্র : এনডিটিভি