বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শিক্ষার্থীরা যেনো উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিজাত বেকারে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নবম ইউজিসি স্বর্ণপদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সার্কুলার জারি করে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। অভিভাবকগণ অনেক কষ্ট করে তাদের ছেলে-মেয়ের উচ্চশিক্ষার ব্যয় বহন করেন। তাই উচ্চশিক্ষা নিতে এসে তারা যাতে শিক্ষিত ও অভিজাত বেকারে পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি বিশাল অর্জন। সরকারের যুগোপযোগী শিক্ষানীতি, শিক্ষায় অগ্রাধিকারসহ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট না হয়ে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বাড়ানোর ওপর জোর দিতে সংশ্লিষ্টদের বলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, গুণগত উচ্চশিক্ষার ওপর সমধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে এবং নিজেদের স্থান করে নিতে পারে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ, অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধাসহ শিক্ষক স্বল্পতার কারণে মানসম্পন্ন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
‘গবেষণা ও গবেষকদের মান নিয়েও ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাই উচ্চশিক্ষার প্রতিটি স্তরে মূল্যায়ন ও তত্ত্বাবধান জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউজিসিকে শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।’
যারা শিক্ষার নামে বাণিজ্য করছে তাদের সমালোচনা করেন আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ইউজিসি অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৩৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মৌলিক গবেষণা ও প্রকাশনায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন শাখায় প্রবন্ধ ও পুস্তকের জন্য এ পুরস্কার দিয়ে আসছে ইউজিসি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইউজিসির সদস্য দিল আফরোজা বেগম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশীদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বক্তব্য রাখেন।