ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন কুইনোর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেকেই একে সুপারফুড হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। আমাদের দেশে কুইনো কাউন চাল নামেই বেশি পরিচিত। কুইনো সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে- লাল, সাদা ও কালো। প্রতিটিই রান্না করে খাওয়ার উপযুক্ত। সম্পূর্ণ গ্লুটেন ফ্রি ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে ভরপুর কুইনো হলো সেই অল্প সংখ্যক কয়েকটি খাদ্য উপাদানের মাঝে একটি, যাতে নয়টি এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের সবগুলোই পাওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339300165.jpg

আর কি আছে স্বাস্থ্যকর এই খাদ্য উপাদানে? উচ্চ মাত্রায় আঁশ, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-বি সহ উপকারি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ।

যে খাদ্য উপাদানে এতো সকল পুষ্টি গুণাগুণ বিদ্যমান, বলাই বাহুল্য এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা দারুণ হবে। অনেকেই কুইনোর গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন না। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিতে পারেন সহজেই।

১. কুইনোর অন্যান্য সকল গুণাগুণের মাঝে প্রধান হলো এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোয়েরসেটিন ও ক্যাম্ফেরল হলো দুই ধরণের ফ্ল্যাভনয়েড যা কুইনোতে অনেক বেশি পরিমানে পাওয়া যায়। উভয় ফ্ল্যাভনয়েডেই অ্যান্টি-ভাইরাল, প্রদাহ বিরোধী, অ্যান্টি-ক্যান্সার ও অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট প্রভাব রয়েছে।

২. যেকোন দানাদার খাদ্য উপাদানের চাইতে কুইনোতে আঁশ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339421836.jpg

৩. যাদের গ্লুটেনযুক্ত খাবারে সমস্যা আছে, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন কুইনো। এই খাদ্য উপাদানটিতে প্রাকৃতিকভাবেই কোন গ্লুটেন নেই, বিধায় এর স্বাস্থ্যগুণ সহজেই শরীরে শোষিত হয়।

৪. প্রথমেই বলা হয়েছে কুইনোতে নয়টি এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের সবগুলোই পাওয়া যায়। উদ্ভিজ খাদ্য উপাদানে লাইসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড খুব একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। কুইনো সেক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339582192.jpg

৫. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নির্ণয়ের উপর নির্ভর করেই রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার গ্রহণের ফলে খুব দ্রুত ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। যা থেকে দেখা দেয় ওবেসিটি। কুইনোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো মাত্র ৫৩, যা খুবই কম।

৬. কুইনোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও আয়রণ থাকার ফলে নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

৭. ওজন কমানোর জন্য কুইনো সবচেয়ে সাহায্যকারী একটি খাদ্য। কেনো? কারন কুইনোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। এতে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনে নিন কুইনোর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে

আপডেট টাইম : ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেকেই একে সুপারফুড হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। আমাদের দেশে কুইনো কাউন চাল নামেই বেশি পরিচিত। কুইনো সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে- লাল, সাদা ও কালো। প্রতিটিই রান্না করে খাওয়ার উপযুক্ত। সম্পূর্ণ গ্লুটেন ফ্রি ও স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে ভরপুর কুইনো হলো সেই অল্প সংখ্যক কয়েকটি খাদ্য উপাদানের মাঝে একটি, যাতে নয়টি এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের সবগুলোই পাওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339300165.jpg

আর কি আছে স্বাস্থ্যকর এই খাদ্য উপাদানে? উচ্চ মাত্রায় আঁশ, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-বি সহ উপকারি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ।

যে খাদ্য উপাদানে এতো সকল পুষ্টি গুণাগুণ বিদ্যমান, বলাই বাহুল্য এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কতটা দারুণ হবে। অনেকেই কুইনোর গুণাগুণ সম্পর্কে জানেন না। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিতে পারেন সহজেই।

১. কুইনোর অন্যান্য সকল গুণাগুণের মাঝে প্রধান হলো এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোয়েরসেটিন ও ক্যাম্ফেরল হলো দুই ধরণের ফ্ল্যাভনয়েড যা কুইনোতে অনেক বেশি পরিমানে পাওয়া যায়। উভয় ফ্ল্যাভনয়েডেই অ্যান্টি-ভাইরাল, প্রদাহ বিরোধী, অ্যান্টি-ক্যান্সার ও অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট প্রভাব রয়েছে।

২. যেকোন দানাদার খাদ্য উপাদানের চাইতে কুইনোতে আঁশ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339421836.jpg

৩. যাদের গ্লুটেনযুক্ত খাবারে সমস্যা আছে, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন কুইনো। এই খাদ্য উপাদানটিতে প্রাকৃতিকভাবেই কোন গ্লুটেন নেই, বিধায় এর স্বাস্থ্যগুণ সহজেই শরীরে শোষিত হয়।

৪. প্রথমেই বলা হয়েছে কুইনোতে নয়টি এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের সবগুলোই পাওয়া যায়। উদ্ভিজ খাদ্য উপাদানে লাইসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড খুব একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। কুইনো সেক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537339582192.jpg

৫. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নির্ণয়ের উপর নির্ভর করেই রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার গ্রহণের ফলে খুব দ্রুত ক্ষুধাভাব দেখা দেয়। যা থেকে দেখা দেয় ওবেসিটি। কুইনোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো মাত্র ৫৩, যা খুবই কম।

৬. কুইনোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও আয়রণ থাকার ফলে নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

৭. ওজন কমানোর জন্য কুইনো সবচেয়ে সাহায্যকারী একটি খাদ্য। কেনো? কারন কুইনোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। এতে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।