ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানে জনবল কাঠামো অনুমোদনে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অবশেষে সময়ের যৌক্তিক দাবি ও সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) পুনর্গঠন অনুমোদনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে দুটি সাব-কমিটির প্রস্তাবিত জনবলের মাঝামাঝি সংখ্যার জনবল কাঠামোই চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে জানিয়েছে বিমান সূত্র।

বিমানের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য এ কে আজাদের সাব-কমিটি প্রস্তাব করেছে ৫ হাজার ২১৯ জন জনবলের। বিমানের বর্তমান অর্গানোগ্রামের জনবল কাঠামোয় রয়েছে ৩ হাজার ৪০০ জন। যদিও ক্যাজুয়াল কর্মীসহ মোট ৬ হাজার ৫৩২ জন। সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য সুরাইয়া বেগমের নেতৃত্বাধীন সাব-কমিটি প্রস্তাব করেছে ৯ হাজার ৭৩৮ জন।

তবে এ কে আজাদের সাব-কমিটিতে মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, অ্যাডমিন সাপোর্ট স্টাফ, মোটর ট্রান্সপোর্ট, ডোমেস্টিক স্টেশন, ফরেন স্টেশন ও পে গ্রুপ-১-এর জনবল যুক্ত ছিল না। এ দুটি সাব-কমিটির প্রস্তাব অর্গানোগ্রামে তুলে ধরা হয়েছে।

জনবল ৪ হাজার ৪০০-এ নামিয়ে আনাসহ চারটি শর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ২০০৭ সালে কোম্পানি করা হয়। ওই সময় স্বেচ্ছা-অবসর স্কিমের আওতায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী বিমানের জনবল কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যকর জনবল কাঠামো তৈরি করা যায়নি।

মঙ্গলবারের সভায় আলোচ্যসূচিতে থাকা উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল কোম্পানির জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) পুনর্গঠন। এ বিষয়ে পর্ষদ সভায় নীতিগত অনুমোদন হওয়ায় শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ।

তিনি বলেন, দুই সাব-কমিটির প্রস্তাবিত অঙ্ক যাচাই-বাচাই করে একটি নির্ভরযোগ্য সংখ্যা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে এবং কয়েকটি পর্যায় ও ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ও চিফ ফিন্যান্স অফিসারের মতো নতুন কয়েকটি পদসহ বিভিন্ন বিভাগে ৩ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে অনুমোদিত নতুন অর্গানোগ্রামে।

উল্লেখ্য, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্থায়ী জনবল ছিল ৪ হাজার ৫৯৯ ও অস্থায়ী (ক্যাজুয়াল) ৭৫৬ জনসহ সর্বমোট ৫ হাজার ৩৫৫ জন। একই বছর ৩১ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় স্থায়ী জনবল ২ হাজার ৭৯২ জনে, অস্থায়ী ১ হাজার ৪২৩ জনসহ সর্বমোট ৪ হাজার ২১৫ জন। আবার ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে স্থায়ী জনবল ২ হাজার ৮৭৪ জন, অস্থায়ী ১ হাজার ৮০৯ জনসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৬৮৩ জন হয়।

বর্তমানে বিমানের জনবল ৬ হাজার ৫৩২ জন। এর মধ্যে স্থায়ী জনবল ৩ হাজার ৪০০ জন এবং ২ হাজার ৩৪৮ জন অস্থায়ী পদ। এছাড়া বিএফসিসিতে ৬৯৪ এবং পোল্ট্রি কমপ্লেক্সে ৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বিমানে জনবল কাঠামো অনুমোদনে নীতিগত সিদ্ধান্ত

আপডেট টাইম : ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অবশেষে সময়ের যৌক্তিক দাবি ও সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) পুনর্গঠন অনুমোদনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে দুটি সাব-কমিটির প্রস্তাবিত জনবলের মাঝামাঝি সংখ্যার জনবল কাঠামোই চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বলে জানিয়েছে বিমান সূত্র।

বিমানের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য এ কে আজাদের সাব-কমিটি প্রস্তাব করেছে ৫ হাজার ২১৯ জন জনবলের। বিমানের বর্তমান অর্গানোগ্রামের জনবল কাঠামোয় রয়েছে ৩ হাজার ৪০০ জন। যদিও ক্যাজুয়াল কর্মীসহ মোট ৬ হাজার ৫৩২ জন। সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য সুরাইয়া বেগমের নেতৃত্বাধীন সাব-কমিটি প্রস্তাব করেছে ৯ হাজার ৭৩৮ জন।

তবে এ কে আজাদের সাব-কমিটিতে মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, অ্যাডমিন সাপোর্ট স্টাফ, মোটর ট্রান্সপোর্ট, ডোমেস্টিক স্টেশন, ফরেন স্টেশন ও পে গ্রুপ-১-এর জনবল যুক্ত ছিল না। এ দুটি সাব-কমিটির প্রস্তাব অর্গানোগ্রামে তুলে ধরা হয়েছে।

জনবল ৪ হাজার ৪০০-এ নামিয়ে আনাসহ চারটি শর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ২০০৭ সালে কোম্পানি করা হয়। ওই সময় স্বেচ্ছা-অবসর স্কিমের আওতায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী বিমানের জনবল কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যকর জনবল কাঠামো তৈরি করা যায়নি।

মঙ্গলবারের সভায় আলোচ্যসূচিতে থাকা উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল কোম্পানির জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) পুনর্গঠন। এ বিষয়ে পর্ষদ সভায় নীতিগত অনুমোদন হওয়ায় শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ।

তিনি বলেন, দুই সাব-কমিটির প্রস্তাবিত অঙ্ক যাচাই-বাচাই করে একটি নির্ভরযোগ্য সংখ্যা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে এবং কয়েকটি পর্যায় ও ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ও চিফ ফিন্যান্স অফিসারের মতো নতুন কয়েকটি পদসহ বিভিন্ন বিভাগে ৩ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে অনুমোদিত নতুন অর্গানোগ্রামে।

উল্লেখ্য, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্থায়ী জনবল ছিল ৪ হাজার ৫৯৯ ও অস্থায়ী (ক্যাজুয়াল) ৭৫৬ জনসহ সর্বমোট ৫ হাজার ৩৫৫ জন। একই বছর ৩১ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় স্থায়ী জনবল ২ হাজার ৭৯২ জনে, অস্থায়ী ১ হাজার ৪২৩ জনসহ সর্বমোট ৪ হাজার ২১৫ জন। আবার ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে স্থায়ী জনবল ২ হাজার ৮৭৪ জন, অস্থায়ী ১ হাজার ৮০৯ জনসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৬৮৩ জন হয়।

বর্তমানে বিমানের জনবল ৬ হাজার ৫৩২ জন। এর মধ্যে স্থায়ী জনবল ৩ হাজার ৪০০ জন এবং ২ হাজার ৩৪৮ জন অস্থায়ী পদ। এছাড়া বিএফসিসিতে ৬৯৪ এবং পোল্ট্রি কমপ্লেক্সে ৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।