ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মপালনে আগ্রহী হচ্ছে ফিজির মুসলিম যুবকরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ৮৪৪ দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র ফিজির মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে। বিশেষত মুসলিমরা যুবকরা ধর্মপালনে আগ্রহী উঠছে। দিনদিন তারা মসজিদমুখী হচ্ছে। ইসলামবিরোধী নানা প্রচার থাকার পরও ফিজির সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রতি ঝুঁকছে।

গত ৬ এপ্রিল ফিজির সর্ববৃহৎ মসজিদ উদ্বোধনের সময় এমনটি বলেন ফিজির অন্যতম মুসলিম নেতা নাসির খান। তিনি বলেন, যুবকদের মাঝে ইতিবাচক চিন্তার বিস্তার ঘটছে। তারা এখন মসজিদমুখী। তাই সার্বিক ধর্মীয় কাজের বিস্তৃতির সাথে মসজিদ প্রসারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

নাসির খান আরও বলেন, এখন অনেক মুসলিম মসজিদে আসে এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে তারা এমন অনেক কাজ করে যা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাই আমরা মসজিদভিত্তিক ইসলামি শিক্ষা বিস্তারেরও চিন্তা করছি।

ফিজির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাউটোকার সিওয়ানি বিচে স্থাপিত ‘মসজিদে হেলাল’-এ এক সঙ্গে চার হাজার মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারবে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মসজিদের স্থান নির্বাচনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করা হয়েছে যারা নামাজ আদায়ের জন্য দূরে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে না।

১৮ হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের দ্য রিপাবলিক অব ফিজির মোট জনসংখ্যার (৯ লাখ) ৭ ভাগ মুসলিম (৬৩ হাজার)। তবে দিনদিন মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফিজির অধিকাংশ মুসলিম ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং তারা সুন্নি ও হানাফি মতাদর্শে বিশ্বাসী। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে তারা ফিজিতে শ্রমিক হিসেবে আগমন করেন।

তবে ফিজির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মুসলিমদের জাগরণ শুরু হয়েছে। তারা জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্মপালনে আগ্রহী হচ্ছে ফিজির মুসলিম যুবকরা

আপডেট টাইম : ১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ৮৪৪ দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র ফিজির মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে। বিশেষত মুসলিমরা যুবকরা ধর্মপালনে আগ্রহী উঠছে। দিনদিন তারা মসজিদমুখী হচ্ছে। ইসলামবিরোধী নানা প্রচার থাকার পরও ফিজির সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রতি ঝুঁকছে।

গত ৬ এপ্রিল ফিজির সর্ববৃহৎ মসজিদ উদ্বোধনের সময় এমনটি বলেন ফিজির অন্যতম মুসলিম নেতা নাসির খান। তিনি বলেন, যুবকদের মাঝে ইতিবাচক চিন্তার বিস্তার ঘটছে। তারা এখন মসজিদমুখী। তাই সার্বিক ধর্মীয় কাজের বিস্তৃতির সাথে মসজিদ প্রসারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

নাসির খান আরও বলেন, এখন অনেক মুসলিম মসজিদে আসে এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে তারা এমন অনেক কাজ করে যা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাই আমরা মসজিদভিত্তিক ইসলামি শিক্ষা বিস্তারেরও চিন্তা করছি।

ফিজির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাউটোকার সিওয়ানি বিচে স্থাপিত ‘মসজিদে হেলাল’-এ এক সঙ্গে চার হাজার মুসলিম নামাজ আদায় করতে পারবে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মসজিদের স্থান নির্বাচনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করা হয়েছে যারা নামাজ আদায়ের জন্য দূরে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে না।

১৮ হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের দ্য রিপাবলিক অব ফিজির মোট জনসংখ্যার (৯ লাখ) ৭ ভাগ মুসলিম (৬৩ হাজার)। তবে দিনদিন মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফিজির অধিকাংশ মুসলিম ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং তারা সুন্নি ও হানাফি মতাদর্শে বিশ্বাসী। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলে তারা ফিজিতে শ্রমিক হিসেবে আগমন করেন।

তবে ফিজির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মুসলিমদের জাগরণ শুরু হয়েছে। তারা জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে।