ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে অর্থমন্ত্রীকে আ হ ম মুস্তফা কামালকে তুলোধুনো করলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রস্তাবিত বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে তুলোধুনো করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। কড়া সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কিম—ওখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না।’ বৃহস্পতিবার বিকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন ক্ষমতাসীন দলের প্রবীণ এই নেতা।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্পর্শকাতর কথা বলব। এতগুলো ভালো কাজ করার পর আপনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। ক্ষম হে মম দীনতা। গত ৫-৬ বছর বলে বলে পারিবারিক সঞ্চায়পত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। ৯ শতাংশ রাখলেন ঠিক, কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারি না। এই পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিম। এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা।’

‘অর্থমন্ত্রী ওইখানে হাত দিলেন। ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, সরকারি-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন, অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন। পারিবারিক সঞ্চপত্রের মালিকরাও তো বাজারের কাস্টমার; কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম’, যোগ করেন মতিয়া চৌধুরী।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘নানাভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। কালোটাকা সাদা করা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবতা হলো কালো টাকা আছে, এটা কোনোরকমে খোয়াড়ে ঢোকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করব না।’

মতিয়া বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের লোকেরা তো তার (অর্থমন্ত্রী) কাছে হাত পাততে পারে না। তারা কার কাছে হাত পাতবে? এই সংসদে বক্তব্য দেওয়ার পর কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন- ‘উনার তো সাইড ইনকাম নেই।’ ঝাড়ু মারি সাইড ইনকামের, অসৎ পথে উপার্জনের! আমার বৈধ টাকা; সেখানে গিয়ে আপনি উৎসে কর কাটবেন, এটা ঠিক না।’

বিএনপির সমালোচনার জবাবে সাবেক এই কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের খাম্বা, হাম্বা বাছুরের খাম্বা—বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় নাই। খাম্বাই দেখছে, বিদ্যুৎ দেখে নাই। এই ছিল দেশের অবস্থা।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে অর্থমন্ত্রীকে আ হ ম মুস্তফা কামালকে তুলোধুনো করলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী

আপডেট টাইম : ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রস্তাবিত বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে তুলোধুনো করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। কড়া সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কিম—ওখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না।’ বৃহস্পতিবার বিকালে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন ক্ষমতাসীন দলের প্রবীণ এই নেতা।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্পর্শকাতর কথা বলব। এতগুলো ভালো কাজ করার পর আপনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। ক্ষম হে মম দীনতা। গত ৫-৬ বছর বলে বলে পারিবারিক সঞ্চায়পত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। ৯ শতাংশ রাখলেন ঠিক, কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারি না। এই পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিম। এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা।’

‘অর্থমন্ত্রী ওইখানে হাত দিলেন। ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, সরকারি-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন, অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন। পারিবারিক সঞ্চপত্রের মালিকরাও তো বাজারের কাস্টমার; কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম’, যোগ করেন মতিয়া চৌধুরী।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘নানাভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। কালোটাকা সাদা করা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবতা হলো কালো টাকা আছে, এটা কোনোরকমে খোয়াড়ে ঢোকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করব না।’

মতিয়া বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের লোকেরা তো তার (অর্থমন্ত্রী) কাছে হাত পাততে পারে না। তারা কার কাছে হাত পাতবে? এই সংসদে বক্তব্য দেওয়ার পর কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন- ‘উনার তো সাইড ইনকাম নেই।’ ঝাড়ু মারি সাইড ইনকামের, অসৎ পথে উপার্জনের! আমার বৈধ টাকা; সেখানে গিয়ে আপনি উৎসে কর কাটবেন, এটা ঠিক না।’

বিএনপির সমালোচনার জবাবে সাবেক এই কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের খাম্বা, হাম্বা বাছুরের খাম্বা—বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় নাই। খাম্বাই দেখছে, বিদ্যুৎ দেখে নাই। এই ছিল দেশের অবস্থা।’