বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ রান্না ঘর মানেই পেঁয়াজের বাড়াবাড়ি। প্রতিটি ঘরেই স্বাদের বৈচিত্র আনতে পেঁয়াজ প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। বিশেষ করে বাঙালিদের রান্নায় পেঁয়াজ ছাড়া একদিনও চিন্তা করা যায় না।
দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক সময় কম হয়। তখন আমরা বছরের অনেকটা সময় আমদানি নির্ভর হয়ে থাকি। যার ফলে পেঁয়াজের দামও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। এর পেছনের আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, গুটি পেঁয়াজ চাষ করা। যাকে আমরা দেশি পেঁয়াজ বলি। লোকমুখে প্রচলিত আছে, দেশি পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি। কথা সত্য। তবে এখন আর আগের দিন নেই। বড় পেঁয়াজও এখন দেশি পেঁয়াজের চেয়ে কম ঝাঁঝালো নয়।
সময় বদলেছে। চাহিদা বেড়েছে। কৃষিতে মনোযোগ দেয়ার সময় এসেছে। এখনো যদি আমরা কৃষিতে স্বনির্ভর হতে না পারি তবে ভবিষ্যতে পেঁয়াজ, লবণ, চালের মতো আরো অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে হুমকির কারণ হতে পারে।
এবার আসা যাক মূল কথায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ আছেন, যারা রান্নায় কখনো পেঁয়াজ ব্যবহার করেন না। এমনকি মাটির অভ্যন্তরে জন্ম নেয়া আদা, রসুন, গাজর, মুলা, আলু এসব কিছুই তারা খান না। এর মূল কারণ হচ্ছে, কোনো গাছের মূল তুলে ফেললে সে গাছ মরে যায়। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
তবে মাটির উপরে জন্মে এমন সবজি খেতে তাদের বাধা নেই। তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে না মাছ, মাংস, ডিম কিংবা দুধ। তবে কেউ কেউ শুধু দুধ পান করেন। জীবের বংশবিস্তার রক্ষা করতে তারা এই নীতি মেনে চলেন। তাদের খাদ্য তালিকায় আরো মেনে চলতে হয় কড়া নিয়ম। সন্ধ্যার আগেই সেরে ফেলতে হয় রাতের আহার। খাবার জমিয়ে রাখাও নিষিদ্ধ। ভারতের অঙ্গরাজ্য গুজরাটে জৈন ধর্মাবলম্বীদের মেনে চলতে হয় এসব নির্দেশনা। যে কারণে আলু, পেঁয়াজের দাম ওঠা-নামায় তাদের জীবনযাপনে কোনো প্রভাবই ফেলে না।